সেসময় আফ্রিকাকে পটভূমি করে লেখা একটা বই থেকে পাওয়া একটা কথা অনেক ভাল লেগেছিল। কিলিমাঞ্জারোর শিখরে একটা ফলকে লেখা আছে-
"আমরা তাঙ্গানিকার অধিবাসীরা, একটি মোমবাতি জ্বালাতে চাই এবং তা রেখে দিতে চাই কিলিমাঞ্জারোর শীর্ষে। যে মোমবাতির আলো আমাদের দেশের সীমান্ত ছাড়িয়েও দেখা যাবে দূর থেকে; যেখানে শুধুই হতাশা, সেখানে আশা জাগাবে; যেখানে শুধুই ঘৃণা, সেখানে ভালবাসা সৃষ্টি করবে; যেখানে শুধুই অপমান, সেখানে ডেকে আনবে মর্যাদা। "
বই থেকে উক্তিটাই শুধু পেয়েছিলাম। কার উক্তি সেটা পাইনি। পরে মালিকের খোজে নেট ঘাটতে ঘাটতে পেয়ে গেলাম (বেচে থাক বাবা গুগল)। তাঙ্গানিকার(পরবর্তীতে তাঞ্জানিয়া) প্রথম প্রধানমন্ত্রী জুলিয়াস কে. নিয়েরের এর উক্তি এটা। আফ্রিকার আশা, মর্যাদা ও সাফল্যের প্রতীক মনে করা হত তাকে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করা সুশিক্ষিত ও স্বশিক্ষিত নিয়েরের প্রথম তাঙ্গানিকান হিসেবে কোন ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে (এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ছিলেন আফ্রিকান সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী। শিক্ষকতা দিয়ে জীবন শুরু করে ধীরে ধীরে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন ও পরে অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে তাঙ্গানিকার স্বায়ত্তশাসন ও পরবর্তীতে পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জনে মূখ্য ভুমিকা পালন করেন। তার আরেকটি কথা অনেক ভাল লেগেছে। অনুবাদ না করে সরাসরিই দিলাম
"I have learned how to be a moderate through observing the inflexible behavior of the Europeans. "
দ্বন্দ্বযুদ্ধে আহত হয়ে আমরা প্রত্যাঘাত করার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকি, সামান্য সুযোগ পেলেই মনুষ্যত্ব শব্দটা মন থেকে ধুয়ে মুছে প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করে উল্লসিত হই ... উদারভাবে ভাবতে কজনই বা পারি। নিয়েরের মহত্ত্বে মুগ্ধ হই তাই..
শুরু করেছিলাম উদ্ধৃতি নিয়ে। এখন দেখি উদ্ধৃতির মালিক নিয়েই বেশি কথা বলে ফেললাম। যাহোক, ফাও হিসেবে কিলিমাঞ্জারোর ছবি দেই। তুষারাচ্ছাদিত ছবিটা হচ্ছে সর্বোচ্চ বিন্দু উহুরু শৃঙ্গের। এখানেই কোথাও নিয়েরের কথাটা লেখা আছে।
আর এটা ফুজিয়ামা(জাপান) তে ওঠার মাঝপথে তোলা সূর্যোদয়ের ছবি। সারারাত ধরে পাহাড়ে চড়ার সেই কাহিনী পরে সুযোগ পেলে লেখা যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:৫০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




