somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

তানজীর আহমেদ সিয়াম
সবার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে আমি কোন ব্লগার নই মন চায় তাই লিখি তথ্য-উপাত্ত সবার সাথে শেয়ার করি ।nজব এর পাশাপাশি এয়ার টিকেট ও ট্রাভেল ভিসার ব্যাবসা করি ।nধন্যবাদn

কুড়ানো ( পর্ব- ৫০ ) অমীমাংসিত

১৫ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




মার্চের ২৪ তারিখ পূর্যন্ত মুজিব - ইয়াহিয়া - ভুট্টোর অমীমাংসিত বৈঠক চলে, ঢাকা ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে। সব আলোচনা ব্যর্থ,
আমরা ভ্রাম্যমান গণসংগীত শেষ করে ক্লান্ত, এতোদিনের পরিশ্রম সফল হয়েছে, দেশ উজ্জিবিত।
অমীমাংসিত বৈঠক, ব্যর্থ আলোচনা, অনিশ্চত ভবিষৎ

আলোচনারত অবস্থায়, ইয়াহিয়া - ভুট্টো বুনছে ষড়যন্তের জাল, কোন যুক্তি মানছে না।
২৫ মার্চ সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ঢাকা ত্যাগ করেন।

অপারেশন সার্চ লাইট

বাঙালি নিধনযজ্ঞের পরিকল্পনা হয়েছিল একাত্তরের মার্চের শুরুতেই, জুলফিকার আলী ভুট্টোর বাড়ি পাকিস্তানের লারকানায়৷ শিকারের নামে এই গণহত্যার ষড়যন্ত্রে যারা অংশ নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জুলফিকার আলী ভুট্টো, জেনারেল ইয়াহিয়া এবং জেনারেল হামিদ অন্যতম৷
ওরা ভেবেছে মনে করেছে কয়েক হাজার মানুষ হত্যা করলেই ভয় পেয়ে যাবে বাঙালি, ভুলে যাবে স্বাধীনতা এবং স্বাধিকারের কথা।
কতটা নির্বোধ, আমরা জেগেছি, আমরা লড়বো।
এতো সব আলোচনার আড়ালে ছিলো, সেই নির্মম পরিকল্পনা।

সেদিন মধ্য রাতে

২৫শে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ‘অপারেশন সার্চ লাইট'-এর নামে একযোগে ভারী অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়, সারা দেশে একযোগে।
ঢাকায় তখনকার পুলিশ (ইপিআর) সদর দপ্তর, রাজারবাগ পুলিশ লাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবাস৷
গোলা নিক্ষেপ করে মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রাবাসে, হামলা চালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বস্তি এলাকায়৷ জগন্নাথ হলে, সদর ঘাটে, রেল ষ্টেশনে, বেছে বেছে হিন্দু বাড়িতে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে বাড়িতে।

২৫শে মার্চ রাতে ইয়াহিয়া ঢাকা ত্যাগের পর পাকিস্তান পৌঁছানোর আগেই বাংলায় গণহত্যা শরু হয়ে যায়।

বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ২৫ শে মার্চ রাতের ১২.২০ মিনিটে, ওয়্যারলেস বার্তার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দিয়ে যান।

'This may be the my last message, from to-day Bangladesh is independent. I call upon the people of Bangaladesh weherever you might be and whatever you have, to resist the army of occupation to the last. You fighit must go on until the last soider of the Pakistan occupation army is expelled from the soil of Bangaladesh and final victory is achieved.'

এই ঘোষনা বাংলাদেশের সর্বত্র ওয়্যারলেস, টেলিফোন ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে প্ররিত হয়। এর সঙ্গে সঙ্গেই বাংলায় তিনি নিম্নলিখিত একটি বার্তা পাঠান।

'পাকিস্তান সেনাবাহিনী অতর্কিতভাবে পিলখানা ইপিআর ঘাটি, রাজারবাগ পুলিশ লাইন আক্রমন করেছে এবং শহরের রাস্তায় রাস্তায় যুদ্ধ চলছে, আমি বিশ্বের জাতিসমুহের কাছে সাহায্যের আবেদন করছি। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা বীরত্বের সঙ্গে মাতৃভূমি মুক্তকরার জন্য শত্রুদের সঙ্গে যুদ্ধ করছে। সর্বশক্তিমান আল্লাহর নামে আপনাদের কাছে আমার আবেদন ও আদেশ দেশকে স্বধীন করার জন্য শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যান। আপনাদের পাশে এসে যুদ্ধ করার জন্য পুলিশ, ইপিআর, বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও আনসারদের সাহায্য চান। কোন আপোশ নাই। জয় আমাদের হবেই। পবিত্র মাতৃভূমি থেকে শেষ শত্রুকে বিতাড়িত করুন। সকল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং অনান্য দেশ প্রেমিক প্রিয় লোকদের কাছে এ সংবাদ পৌঁছে দিন।আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করুন। জয় বাংলা।

বঙ্গবন্ধুর এই বার্তা তাৎক্ষণিক বিশেষ ব্যবস্থায় সারা দেশে পাঠনো হয়। সর্বস্তরের জনগণের পাশাপাশি কুমিল্লা, ঢাকা, যশোর, চট্টগ্রামে জওয়ানরা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

রাত ১.৩০ মিনিটে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে, শেখ মুজিবর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।
এবং তিন দিন পর বন্দী অবস্থায় পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়।

আর আগে ৭ই মার্চের ভাষণেই তিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন বলেছিলেন, যার যা আছে তা নিয়ে তা নিয়ে প্রস্তুত থাকতে। ঝাঁপিয়ে পড়তে, স্বাধীনতা সংগ্রামে। 'এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম'।
স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণা, আগেই করেছেন। আমরা প্রস্তুত।

ইতিহাসের এই নির্মম নিধনযজ্ঞ, রাতেই ছড়িয়ে পরে পুরো শহরে৷ ঘুমন্ত মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হায়নারা৷ সেই রাতেই রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে প্রতিরোধ শুরু হয়৷ ইপিআর সদস্যরাও প্রতিরোধের চেষ্টা করে।

কুমিল্লায় ‘অপারেশন সার্চ লাইট'- ছিল অন্যনামে 'কিল এন্ড বার্ণ'
কুমিল্লা পুলিশ লাইনে ঝাঁপিয়ে পরে পাকিস্তানি সেনা, নির্বিচারে পুলিশ লাইনে, পুলিশ ইপিআর হত্যা করে।

অরণি

অরণি এখন কলিকাতা সল্টলেকে, কি করছে, কি ভাবছে, চিঠি দিয়েছে রাঙা মাসির মেয়ের বিয়ে হয়েছে, সহাসাই ফিরবে।

আমি ভাবছি।
অরণি কিভাবে ফিরে আসবে!


শওকত আহসান ফারুক
(সত্বর এটি বই আকারে আসছে)
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×