মানুষের মন ছুটে চলে কোটি কোটি মাইল স্পীডে! ঘুরে বেড়ায় এখানে সেখানে। মনের প্রিয়জন হতে পারে আমি, তুমি, সে! বাস্তবের প্রেক্ষাপট আবার ঠিক উল্টো! এখানে আমার, আমিত্বের বিসর্জন চলে হরহামেশা। সত্যিই বিচিত্র!! বিচিত্র হলেও এডজাস্ট ও কমপ্রোমাইজকে বন্ধুত্ব করেই চলতে হয়। এভাবে চলতে চলতে একটা সময় ব্যক্তি ক্লান্ত হয়ে পড়েন নিজের অজান্তে! পরিণাম... হতাশা... দুঃখবোধ। অনেকেই বুঝতেই পারেন না তিনি ভাল নেই! অনেকে আবার বুঝেও বুঝতে চাননা, কিংবা সত্যি, সত্যিই বোঝেন না!! আবার দেখা গেছে নিজে বুঝতে পারলেও করার কিছু থাকেনা, কারন তার খুব কাছের মানুষগুলোর চেহারা হয়ে যায় অন্যরকম! বিভৎস...ভায়াবহ...যা কিনা এতদিন অচেনা হয়েই ছিল!! তাহলে এখন করণীয় কি???
করণীয় হল:
১। সচেতনতা: সেই পরিস্থিতিতে যাওয়ার আগেই নিজে সচেতন হওয়া। নিজের লিমিটকে একটু ঝালাই করা। নিজেই নিজেকে চিনতে শেখা।
২। নিজেকে ভাল রাখা: নিজে ভাল থাকা মানে এই নয় অন্য সব কিছু বাদ দিয়ে শুধু নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকা। এটা আবার স্বার্থঃপরতাও বটে! ভাল থাকা মানে... অন্তত ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৩০ মিনিট বা ১ ঘন্টা হলেও নিজের জগতে বিচরণ করা। নিজের মনের সাথে কথা বলা! নিজের সাথে চলা! যেখানে কারো দখল থাকবে না। গান শোনা, বই পড়া, মুভি দেখা, আড্ডা মারা, রুপচর্চা করা, ব্যয়াম করা এমনকি আয়না দেখাও হতে পারে।
৩। আত্মনিয়ন্ত্রণ: নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার ফর্মুলাটা একটু সচেতন হলেই শেখা যায়। তাই এই ক্ষেত্রে আত্মনিয়ন্ত্রণটা খুবই জরুরী। নিজের খেয়াল খুশি, ইচ্ছা মত কোন কিছু করা বোকামী ছাড়া কিছুই নয়। এতে অন্যের বিরক্তি ও রাগের উদ্রেক হতে পারে।
৪। সামাজিক নিয়ন্ত্রণ: মানুষ মাত্রই সামাজিক জীব। পারিবারিক, সামাজিক জীবনকে বাদ দিলে নিজেকেই বাদ দেয়া হয়ে যায়! এছাড়া ব্যক্তি একটা সময় ভীষণ একা হয়ে পড়বেন। তাই অন্যের কাছাকাছি আসার চেস্টা করুন। অন্যকেও ভালবাসুন। সামাজিক হোন
৫। নিজের যথাযথ ভূমিকা পালন করা: আমদের একেক জনের একের অধিক ভূমিকা বা রোল পালন করতে হয়। যেমন আপনি কারো মা-বাবা, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, বন্ধু-বান্ধবী, প্রেমিক-প্রেমিকা ইত্যাদি। সেই হিসাবে ভূমিকাও অনেক! একেক জনের সাথে ডিলিংসটাও একেক রকম হবে। নিজের বাইরে অন্যকে নিয়েও ভাবুন এবং রোলটা যথাযথ পালন করুন। তাহলে দেখবেন একটা সময় অন্যরাও আপনাকে নিয়ে ভাবছেন.....
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:৫০