পরশ স্কুল জীবন থেকেই উচ্ছৃংখলভাবে চলতো। বাসায় কারো কথা শুনতো না। ওর সবচাইতে ভালো ফ্রেন্ডের নাম ছিলো পলাশ, একজন সাবেক সাংসদের ছেলে। নেশার জগতে তার প্রবেশ স্কুল লাইফেই।এত কিছুর পরও এস.এস.সিতে সে জিপিএ-৫ পায়। ধানমন্ডি আইডিয়ালে এইচএসসিতে ভর্তি হয়েই সে এবং তার ফ্রেন্ড মিলে একটা গ্যাংস্টার টাইপ গ্রুপ বানায়। তারা মারামারি করার জন্য শেকল, হকিস্টিক, রিং, রড আরো আনেক ছোটখাটো ইনস্ট্রুমেন্ট কেনে। তাদের টার্গেট থাকে ধানমন্ডি এলাকা দখলে রাখা। এইচ.এস.সি দুইবছর অনেক মারামারি করে। এসব মারামারির অনেক গুলো আবার বিভিন্ন মিডিয়াতে ফ্লাশ হয়। এই ভাবে কলেজ শেষ হয়। এইচ.এস.সিতে জিপিএ-৪.২ পেয়ে পাশ করে।
স্কুল এবং কলেজ লাইফে সব অসংখ্য মেয়ের সাথে প্রেম করে। এরপর মিরপুরে BUBT এ বিবিএতে ভর্তি হয়। ভার্সিটিতে পরশের সাথে একই ক্লাসের ছোঁয়া নামে একটি মেয়ের সাথে পরিচয় হয়। ওদের ভিতর ভাল একটা বন্ধুত্ত্ব গড়ে ওঠে। এক সময় তারা দুজন দুজনাকে পছন্দ করতে শুরু করে। ছোঁয়া পরশের আতীতের সব কিছু জানতো। সবকিছু জানার পরও পরশকে ভালোবেসে ফেলে। কিন্তু পরশ কোন ধরনের রিলেশন করতে চাইতো না। কারণ হিসাবে বলতো সে একটা খারাপ ছেলে, তার লাইফের সাথে ছোঁয়াকে জরাবে না। আমরা ফ্রেন্ডরা বুঝানোর পর সে ক্রমশ রাজী হয়। মেয়েটির প্রেমে ও আস্তে আস্তে ভালো হতে থাকে। তারপর ধীরে ধীরে পুরানো সব বাজে ফ্রেন্ডদের এড়াতে শুরু করে। এক কথায় বলতে গেলে খুব বেশি ভদ্র হয়ে যায়। বন্ধুদের আড্ডায় সিগারেটও খেত না। ভালোবাসার একবছর পার হতেই তারা দুজন গোপনে বিয়ে করে ফেলে। কিছু দিন আগে পরশ ও ছোঁয়ার পরিবারের মধ্যে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। অনেক গ্যাঞ্জামের পর ছোঁয়া রিলেশন কনটিনিউ করা সম্ভব নয় বলে জানায় পরশকে। ডিভোর্স চায়। একসময় ডিভোর্সও হয়।
পরশ ইদানিং সিগারেট খায়। প্রায় এক সপ্তাহ পর ওর সাথে আমার দেখা হলো। তার চোখ দেখে লাল মনে হলো।
আমাকে বললো পুরানো ফ্রেন্ডদের সাথে আড্ডা দিতে গেছিলো।
বুঝলাম লাল চোখের মহাত্ম।
ও আবার খারাপ পথে এগুচ্ছে।
পরশকে অনেক বুঝালাম কিন্তু কোন লাভ হলো না।
এখন কি করা উচিত আমার?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





