আমার অনেক দিনের প্রশ্ন ছিল কেন মুসলমানগণ শুক্রবারে সাপ্তাহিক মানে জুম্মার নামাজ আদায় করেন। অন্যদিন নয় কেন? আর কেনই বা পশ্চিম দিকে মুখ করে নামাজ পড়া হয়? যাই হোক বন্ধুদের কাছে জিজ্ঞাসা করে যা জানতে পেরেছি। তা আমাদের সবারই জান। আর ইতিহাস থেকে যা পেলাম তা নিম্নরুপঃ
………“ইহুদীদের ব্যাপারে বোধহয় অভিজ্ঞতার জন্যই মুহাম্মদ (সঃ) একটি স্বাধীন কর্মসূচি গ্রহণ করেন এবং একটি আরব ধর্মীয় সম্প্রদায় সৃষ্টি করার সিদ্ধান্ত নেন। ইহুদী খ্রিষ্টান ঐতিহ্য তিনি পরিত্যাগ করেন নি। উপরন্তু তিনি দাবি করেন, ইহুদী ও খ্রিষ্টানগণ আল্লাহর আদেশাবলী অমান্য করেছে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে তাদের ধর্মগ্রন্থ বিকৃত করেছে। যিনি ইহুদী রিতি অনুসারে উত্তরে জেরুজালেমের দিকে মুখ করে নামাজ পড়িতেন তিনি দক্ষিণে মক্কার দিকে মুখ ঘুড়ায়ে ফেলেন । তখন হতে সমস্ত মুসলমান মক্কার দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করে। তখন তারা বিশ্বাস করে যে, আল্লাহর আদেশে ইব্রাহীম (আঃ)কা’বা নির্মাণ করেছেন। দেবদেবীর মূর্তি স্থাপনের কারনে যেহেতু কা’বা গৃহকে অপবিত্র করা হয়েছে, সুতরাং মুহাম্মদের (সঃ) কর্তব্য হলো মূর্তিগুলো ধ্বংস করে আল্লাহর উপাসনালয় প্রতিষ্ঠা করা। শনিবার ও রবিবার ইহুদী ও খ্রিষ্টানদের পবিত্র দিন । মুহাম্মদ শুক্রবার কে পবিত্র দিন হিসাবে বেছে নেন। শিঙ্গা ফুকিয়া ইহুদীগণ লোকজনকে উপসনালয়ে আসার জন্য আহবান করত এবং খ্রিষ্টানগণ ঘন্টার ধ্বনি দ্বারা আহবান করত । মুহাম্মদ (সঃ) আজান বা মানুষের কন্ঠ ব্যবহারের প্রচলন করেন। একটি পৃথক ও স্বতন্ত্র ধর্মীয় সম্প্রদায় গঠন করার নিমিত্তে নিতি নামাজ, রোজা, আহার্যের আইন-কানুন ও অন্যান্য রীতি-নীতিতে অনেক পরিবর্তন সূচনা করে। ………
“মুহাম্মদ (সঃ) সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, যিশু এবং অন্যান্য নবিগণ যেইভাবে আল্লাহর বাণীর সাধারণ মানুষের হাতে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি সেইভাবে ছড়ায়ে দিবেন না । বরং মুসার (আঃ) ন্যায় তিনি পৃথিবীর উপর স্বয়ং আল্লাহর প্রদত্ত আইনের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন । এটা একমাত্র কূটনীতি, যুদ্ধ ও বিজয়ের মাধ্যমে করা সম্ভব” ।……..

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




