১ম ভিক্ষুকঃ এই মিয়া তুমিনা আগে রেল
স্টেশনে ভিক্ষা করতা। এইখানে আইছ
কেন?
২য় ভিক্ষুকঃ ওই জায়গাডা মেয়ের
জামাইরে যৌতুক দিছি।
পথচারীঃ এই মিথ্যুক! তুমি তো অন্ধ নও।
তুমি অন্ধ সেজে ভিক্ষা করছ কেন?
ভিক্ষুকঃ ঠিকই ধরেছেন স্যার। যে অন্ধ
সে আজ ছুটিতে গেছে। তার জায়গায়
আমার ডিউটি পড়েছে। আসলে আমি
বোবা।
একটা মেয়ে ফার্মেসীতে গিয়েছে
সেনেটারি ন্যাপকিন কিনতে। তো
ন্যাপকিন কেনার পর বাসায় আসার পথে
এক ছেলে মেয়েটির হাতে ন্যাপকিন
দেখে টিজিং করতে গেলো –
– এই যে আপু, কি কিনলেন ?
– দেখতেছেন না কি কিনছি ?
– ওহ ব্রেড ? এক পিছ ব্রেড হবে ? খুব খুদা
লাগছে আপু।
– এখনই দেবো, খাবেন ?
– হুম, এখনই খাবো, খুব খুদা লাগছে।
– কালকে দেই ভাই ? জেলীসহ খাবেন,
হুম… ?
মঞ্জু ও বাবুল খেতে কাজ করছিল। একটু
দূরেই গাছের ছায়ায় বসে আরাম করছিল
সগীর।
মঞ্জু বলল বাবুলকে, ‘এই কড়া রোদে আমরা
কাজ করছি। আর ওই ব্যাটা আয়েশ করে
বসে আছে কেন?’
বাবুল বলল, ‘তাই তো! দাঁড়া, গিয়ে
জিজ্ঞেস করে আসি।’
বাবুল গেল সগীরের কাছে, ‘এই যে নবাব!
আমরা কাজ করছি, আর আপনি হাত-পা
গুটিয়ে বসে আছেন কেন?’
সগীর হাসে। বলে, ‘কারণ, আমি
বুদ্ধিমান।’
‘কীভাবে?’ বাবুলের প্রশ্ন।
‘দাঁড়া, দেখাচ্ছি।’ সগীর তাঁর এক হাত
একটা বড় পাথরের সামনে ধরে বলে,
‘আমার হাতে জোরে একটা ঘুষি মার তো
দেখি।’
বাবুল যেই ঘুষি মারতে গেছে, অমনি সগীর
হাত সরিয়ে ফেলে। ঘুষি লাগে পাথরের
গায়ে। ব্যথায় ককিয়ে ওঠে বাবুল।
সগীর হো হো করে হেসে ওঠে, ‘দেখলি
তো, তোকে কেমন বোকা বানালাম।
একেই বলে বুদ্ধি।’
মন খারাপ করে বাবুল যায় মঞ্জুর কাছে।
মাথা নিচু করে বলে, ‘ও বসে আছে। কারণ
ও বুদ্ধিমান।’
‘কেমন বুদ্ধি?’ এবার মঞ্জুর জিজ্ঞাসা।
বাবুলের চোখ আনন্দে ঝলমল করে ওঠে।
হাসিমুখে সে বলে, ‘দেখতে চাস?’ নিজের
নাকের কাছে হাত রেখে সে বলে, ‘আমার
হাতে একটা জোরে ঘুষি মার তো দেখি…!’
PK- একটা ভগবান দাওনা ভাই।
মূর্তি বিক্রেতা- কোনটা দেবো? ২০, ৫০,
নাকি ৫০০ টাকা দামেরটা?
PK- পার্থক্য কোন জায়গায়?
বিক্রেতা- সাইজে পার্থক্য। বাকি সব
একই।
অতঃপর দোকানদার তাকে ভগবানের
একটা মূর্তি হাতে ধরিয়ে বিদায় করলো…
কিছুক্ষণ পর PK মূর্তিরুপী ভগবানের কাছে
প্রার্থনা করে বিফল হল। সে আবার
দোকানদারের কাছে গেল-
PK- ভাইসাব। এই ভগবানের ব্যাটারী খতম
হয়ে গেছে নাকি? একটু আগে কাজ করলো,
তারপর লুল হয়ে গেল…
বিক্রেতা- মানে কি?
PK- মানে…নতুন ব্যাটারী লাগিয়ে দাও…
কোথায় লাগাতে হয়?
বিক্রেতা- আরে ভাই! এটাতে কোন
ব্যাটারী লাগাতে হয় না।
PK- তাহলে কাজ করছে না কেন?
ম্যানুফ্যাকচারে ত্রুটি আছে নাকি?
বিক্রেতা- ত্রুটিপুর্ণ জিনিস আমরা
বানাই না ভাই।
PK- (অবাক হয়ে) এই ভগবানকে আপনি
বানিয়েছেন!?
বিক্রেতা- জ্বি হ্যাঁ!! আমার নিজের এই
দুই হাত দিয়ে …
PK- আপনি ভগবানকে বানিয়েছেন নাকি
ভগবান আপনাকে বানিয়েছে?
বিক্রেতা- ভগবান তো আমাদের সবাইকে
বানিয়েছেন। আমরা তো কেবল তার মূর্তি
বানিয়েছি।
PK- কেন বানালেন?
বিক্রেতা- যাতে আমরা তার পূজা করতে
পারি। আমাদের সুখ দুঃখের কথা বলতে
পারি…
PK- মূর্তির ভেতরে কি ট্রান্সমিটার
লাগানো নাকি…ভগবানের কাছে কথা
পৌছায় কেমনে?
বিক্রেতা- আরে! ভগবানের কোন
ট্রান্সমিটারের প্রয়োজন নেই। উনি তো
এমনিই সব কথা শুনতে পারেন।
PK- এমনিতেই শুনতে পায় তাহলে এই
মূর্তির কি দরকার?
বিক্রেতা- আমাদের ধান্ধা (ব্যবসা) বন্ধ
করাতে চাও নাকি? সমস্যা কি তোমার?
ছয় বছরের এক বাচ্চা তার বাবার কাছে
এসে জিজ্ঞাসা করে–”বাবা, সেক্স মানে
কী?”
“বাবা বেশ চিন্তায় পড়ে গেলেন।
ভাবলেন, এসব বিষয়ে কৌতুহলই
ছেলেমেয়েদের বিপথে টেনে নেয়। তাই
কৌতুহল জেগে উঠার আগেই তার সব
বিষয়ে জানা উচিৎ। তাই এই বিষয়ে
তিনি একে একে সব বুঝিয়ে বলা শুরু
করলেন। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে বাচ্চাকে
বোঝালেন, সেক্স কি, বিয়ে কি,
জন্মদানের প্রক্রিয়া, সেক্স করার
প্রয়োজনীয়তা, বিয়ের আগে সেক্স করার
নিষেধাজ্ঞা… ইত্যাদি ইত্যাদি…
সব কথা শেষে ছেলে বললো, “সবই বুঝলাম
বাবা। কিন্তু যেটা বুঝতে চেয়েছিলাম
সেটাই তো বুঝলাম না।” এই বলে সে
দৌড়ে গিয়ে স্কুলের এডমিশন ফর্ম এনে
দেখালো। যেখানে লেখা– Sex: Male/
Female
বাবার এক বন্ধু বেড়াতে এসেছেন
আমাদের বাড়ি। সাথে তার মেয়ে। খুব
সুন্দরী। প্রেমে পড়ে গেলাম। প্রতিদিন
মেয়েটিকে সাথে নিয়ে বাগানে
বেড়াতে যাই। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে
বলি, এই একটু আম পাড়তে যাচ্ছি।
তো একদিন দুজনের প্রচণ্ড ঝগড়া হলো।
মেয়েটি রাগ করে চলে গেল। মন খারাপ
করে বাড়ি ফিরছিলাম। পথে বাবার বন্ধুর
সাথে দেখা। জিজ্ঞেস করল, কিরে
বাগানে কী করছিলি?
– এই আম পাড়ছিলাম।
– কই আজকে আমার মেয়ে তো তোর সাথে
যায়নি।
– ও যায়নি তো কী হয়েছে। আমি নিজেই
ডালটা ধরে দুবার ঝাকাতে আমটা পড়ে
গেল।
স্যার খাতা দিচ্ছেন, হঠাৎ, ‘কী রে, তুই
এইখানে কী করিস?’
পরীক্ষার্থী উত্তর দেন, ‘মামা, পরীক্ষা।
ভালো আছেন?’
‘তুই এইবার পরীক্ষা দিচ্ছিস? বলিস কী!
তোকে এইটুকুন দেখেছিলাম? তোর
বাবা-মা কেমন আছে···।’
স্যারের হুঁশ ফেরে পাশের পরীক্ষার্থীর
ডাকে, ‘স্যার, খাতা দ্যান!’
সবাই প্রথমে অবাক হলেও পরে বুঝতে
পারে, তারা দুজন গ্রাম সম্পর্কের মামা-
ভাগ্নে। দীর্ঘদিন পর হঠাৎ দেখা হয়েছে
আজই।
ভাগ্নেঃ আচ্ছা মামা, বলতো সবচেয়ে
সাহসী কে?
মামাঃ কেন, মানুষ ।
ভাগ্নেঃ দূর মামা, তুমি যে কি বল না!
আরে মানুষ যদি এত সাহসীই হত তাহলে
সামান্য মশার ভয়ে কি মশারির ভেতর
লুকাত?
মামাঃ এখন কোন ক্লাসে পড়িস
ভাগনে?
ভাগনাঃ ক্লাস টুতে মামা।
মামাঃ তোর লজ্জা করা উচিত। তোর
বয়সে নেপোলিয়ন ক্লাস ফাইভে
পড়তেন।
ভাগনাঃ তাহলে মামা, আপনারও লজ্জা
করা উচিত, আপনার বয়সে নেপোলিয়ান
সম্রাট হয়েছিলেন!
দুই মাতাল গ্যালারিতে বসে ক্রিকেট
ম্যাচ দেখছে।
এমন সময় ব্যাটসম্যান ছক্কা হাঁকালেন।
১ম মাতাল: ওহ! কী দারুণ একটা গোল দিল!
২য় মাতাল: আরে বুদ্ধু, গোল কি এই খেলায়
হয় নাকি? গোল তো হয় ক্রিকেট খেলায়!
মদ্য পান করতে করতে চিৎকার করে
কাঁদছিল জন। একজন জিজ্ঞেস করল, ‘কী,
কাঁদছ কেন?’
জন বলল, ‘যে মেয়েটাকে ভোলার জন্য পান
করছি, তার নাম মনে পড়ছে না!’
ট্যাক্সিতে উঠেছে তিন মাতাল।
এক মাতাল বলল, এই, মালিবাগ চলো।
ট্যাক্সির চালক বুঝতে পারছিল, লোকগুলো
মাতাল। তার মাথায় একটা দুষ্টু বুদ্ধি
খেলে গেল। চালক কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে
থেকে বলল, চলে এসেছি স্যার, নামেন।
আর ভাড়া দেন।
প্রথম মাতাল ভাড়া মিটিয়ে নেমে গেল।
দ্বিতীয়জনও চুপচাপ নেমে গেল।
তৃতীয়জন গাড়ি থেকে না নেমে রাগী
চোখে তাকিয়ে থাকল চালকের দিকে।
চালক তো ভয়ে কাবু! মাতাল ব্যাটা
জারিজুরি ধরে ফেলল নাকি!
হঠাৎ তৃতীয় মাতাল চালকের গালে ঠাস
করে একটা চড় বসিয়ে দিল। বলল, এই
ব্যাটা, এত জোরে কেউ গাড়ি চালায়?
ধীরে চালাতে পারিস না? আরেকটু হলেই
তো আমরা মরতে বসেছিলাম!
দুই মাতাল কথা বলছে।
প্রথম মাতাল: ওরে, তুই আর খাইস না।
দ্বিতীয় মাতাল: কেন?
প্রথম মাতাল: এখনই তোকে ঝাপসা দেখা
যাচ্ছে। আরেকটু খেলে উধাও হয়ে যাবি!
এক মাতালকে ধরে এনেছেন থানার
হাবিলদার।
ইন্সপেক্টর: এটাকে নিয়ে এসেছ কেন?
হাবিলদার: স্যার, সে রাত দুইটার সময়
একটা ট্যাক্সির সামনে দাঁড়িয়ে চালককে
অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিল।
ইন্সপেক্টর: চালককে নিয়ে এসো।
হাবিলদার: এটাই তো সমস্যা স্যার।
ট্যাক্সির ভেতরে কোনো চালক ছিল না!
নববর্ষের রাত। গভীর রাত পর্যন্ত বন্ধুদের
সঙ্গে আড্ডা দিয়ে মাতাল অবস্থায়
বাড়ি ফিরছিল উইলিয়াম। মাঝরাস্তায়
পুলিশ তার পথ রোধ করে দাঁড়াল।
পুলিশ: কোথায় যাচ্ছেন?
উইলিয়াম: বক্তৃতা শুনতে।
পুলিশ: এত রাতে আপনাকে বক্তৃতা
শোনাতে কে বসে আছে, শুনি?
উইলিয়াম: আমার স্ত্রী।
—কিছু পান করবেন?
—না, ধন্যবাদ।
—চা?
—না, চা খাই না।
—কফি?
—কফিও খাই না।
—সোডাসহ হুইস্কি?
—সোডা খাই না।
রুশ রস
ঘটনা ১.
—এত মদ খাও কেন?
—খাব না কেন! বেতন কম। কত দিন ধরে
অনুরোধ করছি বাড়ানোর! বাড়িয়ে দিন,
এক ফোঁটাও মুখে নেব না।
ঘটনা ২.
—কিন্তু এখনো কেন মদ খাও?
—খাব না কেন! আর কত ভবঘুরের মতো
জীবন যাপন করব? ফ্ল্যাট নেই। কত অনুরোধ
করেছি! থাকার জায়গার বন্দোবস্ত করে
দিন, এ জীবনে আর মদ ছোঁব না।
ঘটনা ৩.
—এর পরেও মাতাল হয়েছ?
—হব না! আমার বাচ্চা-ছেলেটাকে
দিনের বেলায় কোথায় রাখব, ভেবে পাই
না। কোনো নার্সারিতে নাকি জায়গা
নেই। ব্যবস্থা করে দিন, মদ খাওয়া বিলকুল
ছেড়ে দেব।
ঘটনা ৪.
—এর পরও মদ খাওয়া ছাড়োনি?
—ছাড়ব কেন! কাজ থেকে বাসায় ফিরে
বেকার বসে থাকতে হয়। কিচ্ছু করার নেই।
অন্যদের পাঠানো হয়েছে
কোয়ালিফিকেশন বাড়ানোর কোর্সে,
আমার বেলায় ঠনঠন। কতবার অনুরোধ
করেছি, আমাকে কোর্সে পাঠিয়ে দিন,
আর যদি কখনো মদ খেয়েছি!
ঘটনা ৫.
—এখনো মদ খেয়ে বেড়াচ্ছ? তোমার বেতন
বাড়ানো হয়েছে, ফ্ল্যাট দেওয়া হয়েছে,
ছেলে নার্সারিতে যায়, তোমাকে
কোর্সে পাঠানো হয়েছে…আরও কী চাই
তোমার?
—আর কিছু চাই না তো! এখন আমার সব
আছে। এমন অবস্থায় মদ না খাওয়াটাই তো
পাপ!
দুই মাতাল ইতালীয় পুলিশ রেললাইন ধরে
গড়িয়ে গড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
—এত লম্বা সিঁড়ি! উঠতে উঠতে ক্লান্ত
হয়ে গেলাম।
—আরেকটু অপেক্ষা করো। ওই দেখো, লিফট
আসছে।
প্রচণ্ড মদ্যপানের পর কোভালস্কি বাড়ি
ফিরল গভীর রাতে। ঘরে ঢুকতেই দেয়াল
ঘড়ি বেজে উঠল ঢং-ঢং-ঢং।
বিরক্তির সুরে সে বলল:
—বুঝেছি তো, বাবা, রাত একটা বাজে।
তাই বলে সেটা তিনবার জানান দিতে
হবে?
দুই মাতালের কথোপকথন।
—স্ট্র দিয়ে ভোদকা খাচ্ছ কেন?
—ডাক্তার আমাকে বলেছেন পানপাত্র
থেকে দূরে থাকতে।
নাইট-শো সিনেমা দেখে বাড়ি ফিরছে
এক লোক। হঠাৎ দেখল, তার আগে একটা
মাতাল টলতে-টলতে যাচ্ছে। তার একটা
পা ফুটপাতের উপরে, একটা পা রাস্তায়।
লোকটি এগিয়ে গিয়ে মাতালটাকে
রাস্তায় নামিয়ে দিল।
মাতাল তখন সোজা হয়ে হাঁটতে হাঁটতে
বলল, আমি ভেবেছিলাম আমি বুঝি
খোড়া হয়ে গেছি।
প্রথম মাতাল : আরে দেখেছিস, আমাদের
চারপাশে শহরটা কী রকম শাইঁশাঁই করে
ঘুরছে।
দ্বিতীয় মাতাল : দেখেছি বৈকি, তাই
তো এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। বাড়ির
দরজাটা সামনে এলেই টুক করে ঢুকে পড়ব।
একটি বিমূর্ত চিত্র এঁকেছেন শিল্পী
ডোনাল্ড বব। নিজের আঁকা চিত্রের দিকে
নিজেই ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে ছিলেন তিনি।
এমন সময় এক ভক্ত পাশে এসে দাঁড়ালেন।
বললেন, ‘বাহ্! চমৎকার এঁকেছেন! তা
কিসের ছবি আঁকলেন বলুন তো?’
ডোনাল্ড বললেন, ‘একটা নারীমূর্তি’।
ভক্ত বললেন, ‘হু হু! ভালো তো!’
ডোনাল্ড হতাশ কণ্ঠে বললেন, ‘কিন্তু
আমি তো অভিনেত্রী লিলি বিরিয়ানকে
আঁকতে চেষ্টা করছিলাম।’
‘ও! তা হলে আপনি বরং নারীমূর্তিটির
নাকটা একটু ছোট করে দিন।’ পরামর্শ
দেওয়ার চেষ্টা করল ভক্ত।
ডোনাল্ড এবার বিরক্তি নিয়ে বললেন,
‘আরে, ওটাই তো খুঁজছি!’
দীর্ঘক্ষণ ধরে আঁকায় মনোনিবেশ করতে
চেষ্টা করছেন শিল্পী হরিপদ। কিন্তু
মডেল মেয়েটা এত নড়াচড়া করছে,
বারবারই তাঁর মনোসংযোগে ব্যাঘাত
ঘটছে। একসময় রেগেই গেলেন হরিপদ।
আঁকার চেয়ার থেকে উঠে মডেল মেয়েটার
দিকে এগিয়ে গেলেন। এবং চটাস করে
মেয়েটার গালে একটা চড় বসিয়ে দিলেন!
হতভম্ব হয়ে মেয়েটা বলল, ‘আপনি বুঝি
আপনার সব মডেলকেই এভাবে মারেন?’
হরিপদ বললেন, ‘কখনোই না। এর আগে
আমি চারটা মডেলের ছবি এঁকেছি। তারা
কেউই তোমার মতো নড়াচড়া করেনি।’
মেয়েটা একটু দুখী দুখী স্বরে বলল, ‘কোন
মডেলের ছবি এঁকেছেন, দেখি।’
হরিপদ একটা থালা, দুটো গ্লাস, একটা আধ
খাওয়া পেঁপে ...
একটি প্রদর্শনীর আয়োজক বলছেন একজন
চিত্রশিল্পীকে, ‘আপনার জন্য একটি
সুসংবাদ এবং একটি দুঃসংবাদ আছে।’
চিত্রশিল্পী: বলুন, শুনি।
আয়োজক: গতকাল সন্ধ্যায় এক লোক
এসেছিল প্রদর্শনীতে। সে আমাকে ডেকে
আপনার আঁকা ছবিগুলো দেখিয়ে বলল, ‘এই
লোকের মৃত্যুর পর তাঁর আঁকা ছবিগুলোর
দাম কেমন হতে পারে?’ আমি বললাম,
‘অবশ্যই খুব চড়া দাম হবে।’ লোকটা আমার
উত্তরে সন্তুষ্ট হয়ে আপনার আঁকা ১৫টা
ছবিই কিনে নিয়ে গেল।
চিত্রশিল্পী: বাহ্! এ তো দারুণ খবর।
আয়োজক: আর দুঃসংবাদটাও শুনুন। লোকটা
আর কেউ নয়, আপনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক!
এক ধনাঢ্য ব্যক্তি একবার পাবলো
পিকাসোকে মোটা অঙ্কের টাকা দিলেন
তাঁর স্ত্রীর ছবি এঁকে দেওয়ার জন্য।
পিকাসো এঁকে দিলেন। ছবি দেখে ধনাঢ্য
ব্যক্তিটি খুবই বিরক্ত হলেন এবং বললেন,
‘এটা মোটেও আমার স্ত্রীর মতো হয়নি।’
পিকাসো বললেন, ‘তা হলে কেমন আঁকা
উচিত ছিল?’
ধনাঢ্য ব্যক্তি পকেট থেকে মানিব্যাগ
বের করলেন এবং তাঁর স্ত্রীর একটা
পাসপোর্ট সাইজের ছবি বের করে
দেখালেন। পিকাসো ছবিটি ফিরিয়ে
দিতে দিতে বললেন, ‘হু, ছোট করে আঁকতে
হবে, তাই তো?!’
শিল্পী পল ক্লিকে একবার প্রশ্ন করা
হলো, ‘আপনার আঁকা চিত্রটি আসলে কী?’
পল ক্লি উত্তর করলেন, ‘আমার আঁকা
চিত্রটি আসলে একটি বিন্দুর, যে কি না
খানিকটা হাঁটতে বেরিয়েছে!’
একজন শিল্পীকে পাঁচ মাইল লম্বা একটা
রাস্তাজুড়ে বিশাল আল্পনা করার কাজ
দেওয়া হলো। প্রথম দিন তিনি দুই মাইল
পর্যন্ত আঁকলেন, দ্বিতীয় দিন আল্পনা
করলেন আরও এক মাইলজুড়ে। তৃতীয় দিন
আঁকলেন আধা মাইল।
কেউ একজন প্রশ্ন করল, ‘দিনে দিনে
আপনার কাজের পরিধি কমছে কেন?’
শিল্পী বললেন, ‘কারণ দিনে দিনে আমি
আমার রঙের বাক্সটা থেকে দূরে সরে
যাচ্ছি!’
– কেমন বাজালাম বলুন তো?
— থামার পর বেশ লাগছে।
নতুন অভিনেত্রীর অভিনয়ে মুগ্ধ
পরিচালক: সত্যি যন্ত্রনার যে অভিব্যক্তি
তুমি প্রকাশ করেছে, ঝানু অভিনেত্রীও
তা পারবে না। তোমাকে ধন্যবাদ।
অভিনেত্রী: ধন্যবাদ আমাকে নয়, এই
পেরেকটাকে দিন। এটা পায়ে বিঁধেছিল
বলেই না…
চিত্র প্রদর্শনীতে আপনার আকাঁ ছবি
দেখলাম শুধু আপনার ছবিগুলোরই পর্ব
প্রশংসা করতে পারি।
শিল্পীঃ কেন অন্যদের আকা ছবিগুলো
কি একেবারেই ভালো হয়নি।
দর্শকঃ না ঠিক তা নয়। আসলে অন্যদের
আঁকা ছবিগুলোর সামনে এত ভিড় ছিল যে
ওগুলো আমি দেখতে পাইনি।
PK- একটা ভগবান দাওনা ভাই।
মূর্তি বিক্রেতা- কোনটা দেবো? ২০, ৫০,
নাকি ৫০০ টাকা দামেরটা?
PK- পার্থক্য কোন জায়গায়?
বিক্রেতা- সাইজে পার্থক্য। বাকি সব
একই।
অতঃপর দোকানদার তাকে ভগবানের
একটা মূর্তি হাতে ধরিয়ে বিদায় করলো…
কিছুক্ষণ পর PK মূর্তিরুপী ভগবানের কাছে
প্রার্থনা করে বিফল হল। সে আবার
দোকানদারের কাছে গেল-
PK- ভাইসাব। এই ভগবানের ব্যাটারী খতম
হয়ে গেছে নাকি? একটু আগে কাজ করলো,
তারপর লুল হয়ে গেল…
বিক্রেতা- মানে কি?
PK- মানে…নতুন ব্যাটারী লাগিয়ে দাও…
কোথায় লাগাতে হয়?
বিক্রেতা- আরে ভাই! এটাতে কোন
ব্যাটারী লাগাতে হয় না।
PK- তাহলে কাজ করছে না কেন?
ম্যানুফ্যাকচারে ত্রুটি আছে নাকি?
বিক্রেতা- ত্রুটিপুর্ণ জিনিস আমরা
বানাই না ভাই।
PK- (অবাক হয়ে) এই ভগবানকে আপনি
বানিয়েছেন!?
বিক্রেতা- জ্বি হ্যাঁ!! আমার নিজের এই
দুই হাত দিয়ে …
PK- আপনি ভগবানকে বানিয়েছেন নাকি
ভগবান আপনাকে বানিয়েছে?
বিক্রেতা- ভগবান তো আমাদের সবাইকে
বানিয়েছেন। আমরা তো কেবল তার মূর্তি
বানিয়েছি।
PK- কেন বানালেন?
বিক্রেতা- যাতে আমরা তার পূজা করতে
পারি। আমাদের সুখ দুঃখের কথা বলতে
পারি…
PK- মূর্তির ভেতরে কি ট্রান্সমিটার
লাগানো নাকি…ভগবানের কাছে কথা
পৌছায় কেমনে?
বিক্রেতা- আরে! ভগবানের কোন
ট্রান্সমিটারের প্রয়োজন নেই। উনি তো
এমনিই সব কথা শুনতে পারেন।
PK- এমনিতেই শুনতে পায় তাহলে এই
মূর্তির কি দরকার?
বিক্রেতা- আমাদের ধান্ধা (ব্যবসা) বন্ধ
করাতে চাও নাকি? সমস্যা কি তোমার?
ছয় বছরের এক বাচ্চা তার বাবার কাছে
এসে জিজ্ঞাসা করে–”বাবা, সেক্স মানে
কী?”
“বাবা বেশ চিন্তায় পড়ে গেলেন।
ভাবলেন, এসব বিষয়ে কৌতুহলই
ছেলেমেয়েদের বিপথে টেনে নেয়। তাই
কৌতুহল জেগে উঠার আগেই তার সব
বিষয়ে জানা উচিৎ। তাই এই বিষয়ে
তিনি একে একে সব বুঝিয়ে বলা শুরু
করলেন। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে বাচ্চাকে
বোঝালেন, সেক্স কি, বিয়ে কি,
জন্মদানের প্রক্রিয়া, সেক্স করার
প্রয়োজনীয়তা, বিয়ের আগে সেক্স করার
নিষেধাজ্ঞা… ইত্যাদি ইত্যাদি…
সব কথা শেষে ছেলে বললো, “সবই বুঝলাম
বাবা। কিন্তু যেটা বুঝতে চেয়েছিলাম
সেটাই তো বুঝলাম না।” এই বলে সে
দৌড়ে গিয়ে স্কুলের এডমিশন ফর্ম এনে
দেখালো। যেখানে লেখা– Sex: Male/
Female
বাবার এক বন্ধু বেড়াতে এসেছেন
আমাদের বাড়ি। সাথে তার মেয়ে। খুব
সুন্দরী। প্রেমে পড়ে গেলাম। প্রতিদিন
মেয়েটিকে সাথে নিয়ে বাগানে
বেড়াতে যাই। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে
বলি, এই একটু আম পাড়তে যাচ্ছি।
তো একদিন দুজনের প্রচণ্ড ঝগড়া হলো।
মেয়েটি রাগ করে চলে গেল। মন খারাপ
করে বাড়ি ফিরছিলাম। পথে বাবার বন্ধুর
সাথে দেখা। জিজ্ঞেস করল, কিরে
বাগানে কী করছিলি?
– এই আম পাড়ছিলাম।
– কই আজকে আমার মেয়ে তো তোর সাথে
যায়নি।
– ও যায়নি তো কী হয়েছে। আমি নিজেই
ডালটা ধরে দুবার ঝাকাতে আমটা পড়ে
গেল।
স্যার খাতা দিচ্ছেন, হঠাৎ, ‘কী রে, তুই
এইখানে কী করিস?’
পরীক্ষার্থী উত্তর দেন, ‘মামা, পরীক্ষা।
ভালো আছেন?’
‘তুই এইবার পরীক্ষা দিচ্ছিস? বলিস কী!
তোকে এইটুকুন দেখেছিলাম? তোর
বাবা-মা কেমন আছে···।’
স্যারের হুঁশ ফেরে পাশের পরীক্ষার্থীর
ডাকে, ‘স্যার, খাতা দ্যান!’
সবাই প্রথমে অবাক হলেও পরে বুঝতে
পারে, তারা দুজন গ্রাম সম্পর্কের মামা-
ভাগ্নে। দীর্ঘদিন পর হঠাৎ দেখা হয়েছে
আজই।
ভাগ্নেঃ আচ্ছা মামা, বলতো সবচেয়ে
সাহসী কে?
মামাঃ কেন, মানুষ ।
ভাগ্নেঃ দূর মামা, তুমি যে কি বল না!
আরে মানুষ যদি এত সাহসীই হত তাহলে
সামান্য মশার ভয়ে কি মশারির ভেতর
লুকাত?
মামাঃ এখন কোন ক্লাসে পড়িস
ভাগনে?
ভাগনাঃ ক্লাস টুতে মামা।
মামাঃ তোর লজ্জা করা উচিত। তোর
বয়সে নেপোলিয়ন ক্লাস ফাইভে
পড়তেন।
ভাগনাঃ তাহলে মামা, আপনারও লজ্জা
করা উচিত, আপনার বয়সে নেপোলিয়ান
সম্রাট হয়েছিলেন!
দুই মাতাল গ্যালারিতে বসে ক্রিকেট
ম্যাচ দেখছে।
এমন সময় ব্যাটসম্যান ছক্কা হাঁকালেন।
১ম মাতাল: ওহ! কী দারুণ একটা গোল দিল!
২য় মাতাল: আরে বুদ্ধু, গোল কি এই খেলায়
হয় নাকি? গোল তো হয় ক্রিকেট খেলায়!
মদ্য পান করতে করতে চিৎকার করে
কাঁদছিল জন। একজন জিজ্ঞেস করল, ‘কী,
কাঁদছ কেন?’
জন বলল, ‘যে মেয়েটাকে ভোলার জন্য পান
করছি, তার নাম মনে পড়ছে না!’
ট্যাক্সিতে উঠেছে তিন মাতাল।
এক মাতাল বলল, এই, মালিবাগ চলো।
ট্যাক্সির চালক বুঝতে পারছিল, লোকগুলো
মাতাল। তার মাথায় একটা দুষ্টু বুদ্ধি
খেলে গেল। চালক কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে
থেকে বলল, চলে এসেছি স্যার, নামেন।
আর ভাড়া দেন।
প্রথম মাতাল ভাড়া মিটিয়ে নেমে গেল।
দ্বিতীয়জনও চুপচাপ নেমে গেল।
তৃতীয়জন গাড়ি থেকে না নেমে রাগী
চোখে তাকিয়ে থাকল চালকের দিকে।
চালক তো ভয়ে কাবু! মাতাল ব্যাটা
জারিজুরি ধরে ফেলল নাকি!
হঠাৎ তৃতীয় মাতাল চালকের গালে ঠাস
করে একটা চড় বসিয়ে দিল। বলল, এই
ব্যাটা, এত জোরে কেউ গাড়ি চালায়?
ধীরে চালাতে পারিস না? আরেকটু হলেই
তো আমরা মরতে বসেছিলাম!
দুই মাতাল কথা বলছে।
প্রথম মাতাল: ওরে, তুই আর খাইস না।
দ্বিতীয় মাতাল: কেন?
প্রথম মাতাল: এখনই তোকে ঝাপসা দেখা
যাচ্ছে। আরেকটু খেলে উধাও হয়ে যাবি!
এক মাতালকে ধরে এনেছেন থানার
হাবিলদার।
ইন্সপেক্টর: এটাকে নিয়ে এসেছ কেন?
হাবিলদার: স্যার, সে রাত দুইটার সময়
একটা ট্যাক্সির সামনে দাঁড়িয়ে চালককে
অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিল।
ইন্সপেক্টর: চালককে নিয়ে এসো।
হাবিলদার: এটাই তো সমস্যা স্যার।
ট্যাক্সির ভেতরে কোনো চালক ছিল না!
নববর্ষের রাত। গভীর রাত পর্যন্ত বন্ধুদের
সঙ্গে আড্ডা দিয়ে মাতাল অবস্থায়
বাড়ি ফিরছিল উইলিয়াম। মাঝরাস্তায়
পুলিশ তার পথ রোধ করে দাঁড়াল।
পুলিশ: কোথায় যাচ্ছেন?
উইলিয়াম: বক্তৃতা শুনতে।
পুলিশ: এত রাতে আপনাকে বক্তৃতা
শোনাতে কে বসে আছে, শুনি?
উইলিয়াম: আমার স্ত্রী।
—কিছু পান করবেন?
—না, ধন্যবাদ।
—চা?
—না, চা খাই না।
—কফি?
—কফিও খাই না।
—সোডাসহ হুইস্কি?
—সোডা খাই না।
রুশ রস
ঘটনা ১.
—এত মদ খাও কেন?
—খাব না কেন! বেতন কম। কত দিন ধরে
অনুরোধ করছি বাড়ানোর! বাড়িয়ে দিন,
এক ফোঁটাও মুখে নেব না।
ঘটনা ২.
—কিন্তু এখনো কেন মদ খাও?
—খাব না কেন! আর কত ভবঘুরের মতো
জীবন যাপন করব? ফ্ল্যাট নেই। কত অনুরোধ
করেছি! থাকার জায়গার বন্দোবস্ত করে
দিন, এ জীবনে আর মদ ছোঁব না।
ঘটনা ৩.
—এর পরেও মাতাল হয়েছ?
—হব না! আমার বাচ্চা-ছেলেটাকে
দিনের বেলায় কোথায় রাখব, ভেবে পাই
না। কোনো নার্সারিতে নাকি জায়গা
নেই। ব্যবস্থা করে দিন, মদ খাওয়া বিলকুল
ছেড়ে দেব।
ঘটনা ৪.
—এর পরও মদ খাওয়া ছাড়োনি?
—ছাড়ব কেন! কাজ থেকে বাসায় ফিরে
বেকার বসে থাকতে হয়। কিচ্ছু করার নেই।
অন্যদের পাঠানো হয়েছে
কোয়ালিফিকেশন বাড়ানোর কোর্সে,
আমার বেলায় ঠনঠন। কতবার অনুরোধ
করেছি, আমাকে কোর্সে পাঠিয়ে দিন,
আর যদি কখনো মদ খেয়েছি!
ঘটনা ৫.
—এখনো মদ খেয়ে বেড়াচ্ছ? তোমার বেতন
বাড়ানো হয়েছে, ফ্ল্যাট দেওয়া হয়েছে,
ছেলে নার্সারিতে যায়, তোমাকে
কোর্সে পাঠানো হয়েছে…আরও কী চাই
তোমার?
—আর কিছু চাই না তো! এখন আমার সব
আছে। এমন অবস্থায় মদ না খাওয়াটাই তো
পাপ!
দুই মাতাল ইতালীয় পুলিশ রেললাইন ধরে
গড়িয়ে গড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
—এত লম্বা সিঁড়ি! উঠতে উঠতে ক্লান্ত
হয়ে গেলাম।
—আরেকটু অপেক্ষা করো। ওই দেখো, লিফট
আসছে।
প্রচণ্ড মদ্যপানের পর কোভালস্কি বাড়ি
ফিরল গভীর রাতে। ঘরে ঢুকতেই দেয়াল
ঘড়ি বেজে উঠল ঢং-ঢং-ঢং।
বিরক্তির সুরে সে বলল:
—বুঝেছি তো, বাবা, রাত একটা বাজে।
তাই বলে সেটা তিনবার জানান দিতে
হবে?
দুই মাতালের কথোপকথন।
—স্ট্র দিয়ে ভোদকা খাচ্ছ কেন?
—ডাক্তার আমাকে বলেছেন পানপাত্র
থেকে দূরে থাকতে।
নাইট-শো সিনেমা দেখে বাড়ি ফিরছে
এক লোক। হঠাৎ দেখল, তার আগে একটা
মাতাল টলতে-টলতে যাচ্ছে। তার একটা
পা ফুটপাতের উপরে, একটা পা রাস্তায়।
লোকটি এগিয়ে গিয়ে মাতালটাকে
রাস্তায় নামিয়ে দিল।
মাতাল তখন সোজা হয়ে হাঁটতে হাঁটতে
বলল, আমি ভেবেছিলাম আমি বুঝি
খোড়া হয়ে গেছি।
প্রথম মাতাল : আরে দেখেছিস, আমাদের
চারপাশে শহরটা কী রকম শাইঁশাঁই করে
ঘুরছে।
দ্বিতীয় মাতাল : দেখেছি বৈকি, তাই
তো এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। বাড়ির
দরজাটা সামনে এলেই টুক করে ঢুকে পড়ব।
একটি বিমূর্ত চিত্র এঁকেছেন শিল্পী
ডোনাল্ড বব। নিজের আঁকা চিত্রের দিকে
নিজেই ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে ছিলেন তিনি।
এমন সময় এক ভক্ত পাশে এসে দাঁড়ালেন।
বললেন, ‘বাহ্! চমৎকার এঁকেছেন! তা
কিসের ছবি আঁকলেন বলুন তো?’
ডোনাল্ড বললেন, ‘একটা নারীমূর্তি’।
ভক্ত বললেন, ‘হু হু! ভালো তো!’
ডোনাল্ড হতাশ কণ্ঠে বললেন, ‘কিন্তু
আমি তো অভিনেত্রী লিলি বিরিয়ানকে
আঁকতে চেষ্টা করছিলাম।’
‘ও! তা হলে আপনি বরং নারীমূর্তিটির
নাকটা একটু ছোট করে দিন।’ পরামর্শ
দেওয়ার চেষ্টা করল ভক্ত।
ডোনাল্ড এবার বিরক্তি নিয়ে বললেন,
‘আরে, ওটাই তো খুঁজছি!’
দীর্ঘক্ষণ ধরে আঁকায় মনোনিবেশ করতে
চেষ্টা করছেন শিল্পী হরিপদ। কিন্তু
মডেল মেয়েটা এত নড়াচড়া করছে,
বারবারই তাঁর মনোসংযোগে ব্যাঘাত
ঘটছে। একসময় রেগেই গেলেন হরিপদ।
আঁকার চেয়ার থেকে উঠে মডেল মেয়েটার
দিকে এগিয়ে গেলেন। এবং চটাস করে
মেয়েটার গালে একটা চড় বসিয়ে দিলেন!
হতভম্ব হয়ে মেয়েটা বলল, ‘আপনি বুঝি
আপনার সব মডেলকেই এভাবে মারেন?’
হরিপদ বললেন, ‘কখনোই না। এর আগে
আমি চারটা মডেলের ছবি এঁকেছি। তারা
কেউই তোমার মতো নড়াচড়া করেনি।’
মেয়েটা একটু দুখী দুখী স্বরে বলল, ‘কোন
মডেলের ছবি এঁকেছেন, দেখি।’
হরিপদ একটা থালা, দুটো গ্লাস, একটা আধ
খাওয়া পেঁপে ...
একটি প্রদর্শনীর আয়োজক বলছেন একজন
চিত্রশিল্পীকে, ‘আপনার জন্য একটি
সুসংবাদ এবং একটি দুঃসংবাদ আছে।’
চিত্রশিল্পী: বলুন, শুনি।
আয়োজক: গতকাল সন্ধ্যায় এক লোক
এসেছিল প্রদর্শনীতে। সে আমাকে ডেকে
আপনার আঁকা ছবিগুলো দেখিয়ে বলল, ‘এই
লোকের মৃত্যুর পর তাঁর আঁকা ছবিগুলোর
দাম কেমন হতে পারে?’ আমি বললাম,
‘অবশ্যই খুব চড়া দাম হবে।’ লোকটা আমার
উত্তরে সন্তুষ্ট হয়ে আপনার আঁকা ১৫টা
ছবিই কিনে নিয়ে গেল।
চিত্রশিল্পী: বাহ্! এ তো দারুণ খবর।
আয়োজক: আর দুঃসংবাদটাও শুনুন। লোকটা
আর কেউ নয়, আপনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক!
এক ধনাঢ্য ব্যক্তি একবার পাবলো
পিকাসোকে মোটা অঙ্কের টাকা দিলেন
তাঁর স্ত্রীর ছবি এঁকে দেওয়ার জন্য।
পিকাসো এঁকে দিলেন। ছবি দেখে ধনাঢ্য
ব্যক্তিটি খুবই বিরক্ত হলেন এবং বললেন,
‘এটা মোটেও আমার স্ত্রীর মতো হয়নি।’
পিকাসো বললেন, ‘তা হলে কেমন আঁকা
উচিত ছিল?’
ধনাঢ্য ব্যক্তি পকেট থেকে মানিব্যাগ
বের করলেন এবং তাঁর স্ত্রীর একটা
পাসপোর্ট সাইজের ছবি বের করে
দেখালেন। পিকাসো ছবিটি ফিরিয়ে
দিতে দিতে বললেন, ‘হু, ছোট করে আঁকতে
হবে, তাই তো?!’
শিল্পী পল ক্লিকে একবার প্রশ্ন করা
হলো, ‘আপনার আঁকা চিত্রটি আসলে কী?’
পল ক্লি উত্তর করলেন, ‘আমার আঁকা
চিত্রটি আসলে একটি বিন্দুর, যে কি না
খানিকটা হাঁটতে বেরিয়েছে!’
একজন শিল্পীকে পাঁচ মাইল লম্বা একটা
রাস্তাজুড়ে বিশাল আল্পনা করার কাজ
দেওয়া হলো। প্রথম দিন তিনি দুই মাইল
পর্যন্ত আঁকলেন, দ্বিতীয় দিন আল্পনা
করলেন আরও এক মাইলজুড়ে। তৃতীয় দিন
আঁকলেন আধা মাইল।
কেউ একজন প্রশ্ন করল, ‘দিনে দিনে
আপনার কাজের পরিধি কমছে কেন?’
শিল্পী বললেন, ‘কারণ দিনে দিনে আমি
আমার রঙের বাক্সটা থেকে দূরে সরে
যাচ্ছি!’
– কেমন বাজালাম বলুন তো?
— থামার পর বেশ লাগছে।
নতুন অভিনেত্রীর অভিনয়ে মুগ্ধ
পরিচালক: সত্যি যন্ত্রনার যে অভিব্যক্তি
তুমি প্রকাশ করেছে, ঝানু অভিনেত্রীও
তা পারবে না। তোমাকে ধন্যবাদ।
অভিনেত্রী: ধন্যবাদ আমাকে নয়, এই
পেরেকটাকে দিন। এটা পায়ে বিঁধেছিল
বলেই না…
চিত্র প্রদর্শনীতে আপনার আকাঁ ছবি
দেখলাম শুধু আপনার ছবিগুলোরই পর্ব
প্রশংসা করতে পারি।
শিল্পীঃ কেন অন্যদের আকা ছবিগুলো
কি একেবারেই ভালো হয়নি।
দর্শকঃ না ঠিক তা নয়। আসলে অন্যদের
আঁকা ছবিগুলোর সামনে এত ভিড় ছিল যে
ওগুলো আমি দেখতে পাইনি।
আর ছবি কৌতুক দেখতে এখানে গুতা দেন