somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টিপাই মুখ বাঁধ ও বাংলাদেশ

১৭ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চ্লুন একটু ঘুরে আসি ইতিহাসের পাতায়,১৯৯৬ সাল বাংলাদেশ ও ভারত গঙ্গা চুক্তি্তে সাক্ষর করে। এই চুক্তির ৯ নং ধারায় বলা আছে যৌথ নদি গুলোর পানি বন্টনে ভারত ও বাংলাদেশ ন্যায়পরায়নতার ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে পানি ভাগাভাগি করে নেবে।তাহলে আজ টিপাইমুখ বাধের প্রকল্পের কথা আগে থেকে সম্পূর্ন তথ্য সমেত বাংলাদেশের নিকট প্রেরন করবার প্রয়োজন ছিল । কিন্তু তা কি হয়েছে ?
বাংলাএশের সী্মানার মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে ১৬১ মিটার উচু এবং ৩৯০ মিটার লম্বার এই বাধটি তৈরি হতে যাচ্ছে ভারতের বরাক নদী যা বাংলাদেশে সুরমা ও কুশিয়ারি নামে প্রবাহিত হয়েছে এবং তুইভাই নদির মিলন স্থলে টিপাইমুখ নামের গ্রামে । যার ধারনক্ষমতা ১৫.৯ মিলিয়ন কিউবিক মিটার পানি এবং এটা ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম ।কিন্তু এই বাধ নির্মিত হলে নিকটবর্তী ২৮৮।৬০ কিলমিটার এলাকা কখনো জলমগ্ন কখনো মরুকরন থাকবে আর মনিপুরের ৪০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পরবে আর ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে আমাদের সিলেট অঞ্চল।
মুলত ১৯৮০ ও ১৯৮৩ সালে যৌথ নদী কমিশনের যে বৈঠক হয়েছিল সেখানাই ভারত প্রথম টিপাইমুখ বাধ এবং ফুলেরতলে ব্যারেজ নির্মানের প্রস্তাব করে।সেই তথ্যের আলোকে বাধটি নির্মিত হলে এক ভয়াবহ বিপদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ,কৃৃষি , মৎস ও নৌ-পরিবহনে বাধা আসবে এছাড়াও দেশে বন্যা্র প্রকোপ বেড়ে যাবে আর বাড়বে ভুমিকম্পের আশঙ্কা।
ভারত বলছে যে এ বাধ বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি করবে না -তাহলে আবার একটু ইতিহাসের পাতাই যাই -১৯৫১ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত ভারত বলে আসে ফারাক্কা নির্মিত হলে বাংলাদেশের কন ক্ষতি হবে না , কিন্তু এই ফারাক্কা কি অপুরনীয় ক্ষতি করেছে আমাদের উত্তরাঞ্চলের তা পদ্মার বুকের দিকে একবার তাকালএই বুঝা যায়।তাছাড়া আধুনিক অনেক পরিবেশবিদ মনে করেন বড় বাধ ভবিষ্যৎ জনসাধারনের ব্যাপক ক্ষতির কারন বৈকি আর কিছু নয়।তাই আমেরিকা অনেক বড় বাধ ইতিমধ্যেই ভেঙ্গে ফেলেছে ।
এসব বিবিধ কারনে আমাদের উচিৎ অতিসত্তর এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন বন্ধ করা , ভারত সরকারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে এই সমস্যার সমাধান করা ।
৬টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×