মিথ্যে রাখাল বালকের গল্প সবাই জানে।তার পরিনতির কথাও! তাহলে আমরাও কি বাঘের পাল্লায় পড়লাম?বিগত কয়েক বছর ধরে সরকারের দায়িত্বশীলদের মুখে জঙ্গী-জঙ্গী রব শোনা যাচ্ছিল।সরকার দেশ, বিদেশে এই প্রচারের দায়িত্ব পালন করছিল।আর সরকার জঙ্গী ধরার নাম করে, বিরোধী দল কে আচ্ছা করে সাইজ করছিল।সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী বাংলাদেশে কোনো জঙ্গী নেই,যা হচ্ছে সব বিরোধী দলের কাজ।
একদিকে জঙ্গী আছে বলে অপপ্রচার আর অন্যদিকে জঙ্গী ধরার নাম করে বিরোধী দলকে শায়েস্তা ...
আর সরকারের সাথে গলা মিলিয়ে, আমাদের দেশের এক শ্রেনীর.... জ্ঞানীগুণীও একই কথা বলতে লাগলেন।কেউ কেউ হয়ত ভাবতে পারেন,আমি একপন্থি কথা বলছি।এর বিপরীত বক্তব্যও পাওয়া যায়।আমার ফোকাস অন্যদিকে।
জঙ্গী ধরার নাম করে সারা দেশ থেকে কয়েক হাজার, বিরোধী দলের নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষ কে আটক করা হয় তারা কি তাহলে বলির পাঠা!
হাজার হাজার জঙ্গী আটক করার পরও গুলশানে হামলা করল কারা?তাহলে সত্যিই কি বাঘ এলো?এতদিনে এর উত্তর কারোই অজানা নয়!
তারপরও বিতর্ক থেমে নেই।কেউ বলছে জঙ্গীরা আওয়ামী ঘরানার,আবার কেউ বলছে জামায়াত -শিবির ঘরানার।আমার ভয় হল,আমরা তর্কে লিপ্ত থাকি,আর বাঘ এসে আমাদের ঘাড় মটকাবে।এটাই স্বাভাবিক! তখন আমাদের করার কিছুই থাকবে না।আমরা কি পারি না, সব ধরনের বিতর্ক বাদ দিয়ে,দেশ ও দশের স্বার্থে এক হই।আস্তিক, নাস্তিক কিংবা আওয়ামীলিগ,বি এন পি, জামায়াত এ ধরনের নাম দিয়ে বিভক্ত না করে, সবাই এক হয়ে এই জঙ্গী তৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই।না হলে আমরা কেউই এই অশুভ শক্তির হাত থেকে পার পাব না।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:২৫