’পড়ালেখা শেষ করে একটা ভাল চাকরি পেলে তোমাদের দুঃখ ঘুচে যাবে। তোমাদের আর কষ্ট করতে হবে না। তোমরা কোন চিন্তা কর না।’ এভাবেই তার গরীব বাবা এবং ভাই-বোনদের সান্ত¡না দিতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের নিহত মেধাবী ছাত্র আবু বকর সিদ্দিক। নিজের শপথের কাছে হেরে যাননি বকর। সাফল্য ঠিকই ছিনিয়ে এনেছে। কিন্তু সে সাফল্য এখন তার বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনের জন্য আরো বেদনার কারণ হয়ে দাঁড়াল।
ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নিহত বকরের বিভাগের চতুর্থ সেমিস্টারের ফলালফল প্রকাশিত হয়েছে গত সোমবার। চতুর্থ সেমিস্টার পর্যন্ত তিনি বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। তার জিপিএ ৩ দশমিক ৫২। বকরের এ ফলাফলে আরও একবার কেঁদেছেন তার সহপাঠীরা।
এখনও বকর হত্যার বিচার হয়নি। প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বকরের খূনিরা। তার হত্যার বিচার আদৌ হবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তার সহপাঠি বাঁধন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, বকরের মতো ভাল বন্ধু আর পাবো না। সে যেমনি ভাল ছাত্র ছিল, তেমনি ভদ্রও ছিল।
ইসলামের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, বকর খুব ভাল ছেলে ছিল। নিয়মিত ক্লাস করতো।
আবু বকরের ভাই আব্বাস উদ্দিন তার প্রথম স্থান পাওয়ার কথা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, আমার ভাইকে তো মেরে ফেলেছে। এখন প্রথম হয়ে লাভ কি? তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে সে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। কিন্তু সে কীভাবে মারা গেলে তা এখন পর্যন্ত জানতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, আমাদেরকে টাকা দেয়া হয়েছে। টাকা দিয়ে কী করব, যদি ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচার না হয়?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



