নাস্তিক ব্লগারদের বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে মহাজোট সরকার। একজন মুসলান হিসেবে বলতে চাই, আমরা যারা ধর্মপ্রাণ মানুষ বা ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে প্রিয় নবীকে (সা.) কটুক্তি করে নাস্তিক ব্লগাররা পার পাচ্ছে। সরকার কি তাহলে নাস্তিক ব্লগারদের পক্ষাবম্বন করছে? গত ৬ মার্চ দেখেছি দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের উচ্চকিত কণ্ঠ। রাজধানীর শাপলা চত্বরে প্রায় অর্ধকোটি মুসল্লীর মহাসমাবেশ। সরকারী মদদে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত শাহরিয়ার কবিররা গুটি কয়েক মানুষ নিয়ে হরতালের ডাক দেয়। এদিকে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে কথিত গণজাগরণের তরুনরা মিছিল করে। তারা সরকারকেও হুমকি দেয়। সরকারকে উঠতে বললে ওঠে, বসতে বললে বসে। তাহলে নির্বাচিত সরকারের দরকার কি?
শাহবাগে কয়েকজন কথিত তরুণ আন্দোলন করছে। তাদের ৭১ এর পরবর্তী তরুণ প্রজন্ম বলা হচ্ছে। তাহলে আমরা কি, ধনচে? সরকারের বুঝা উচিত দেশে লাখ লাখ আরও তরুন রয়েছে। যারা শাহবাগে আন্দোলন করছে তারা আসলে সরকারের ভাল চাই না। ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত ব্যক্তিরাই সরকারের ঘাড়ে সওয়ার হয়ে তাদের স্বার্থ সিদ্ধি করতে চাইছে।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে আরেক টি কথা বলি, ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়, আপনারা এখন ক্ষমতায় আছেন, যা ইচ্ছা তাই করছেন। বিরোধী দল-মতকে দমন করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। বাকশাল দেখিনি. তবে শুনেছি। বর্তমান সরকার যা করছে তা নাকি বাকশাল থেকেও হার মানায়।
বিরোধী দলকে রাজনীতি শুন্য করার জন্য শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের কারাগারে পাঠাচ্ছে সরকার। সরকারের আরও বুঝা উচিৎ, স্বাধীনতার পরে আওয়ামী লীগ মাত্র দুইবার ক্ষমতায় এসেছে। আর বিএনপি এসেছে কয়েকবার। সামনে তারা ক্ষমতায় আসার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দল ক্ষমতায় আসলে বিরোধী দলে কিন্তু আপনারাই আসবেন। তখন আপনাদের কি অবস্থা হবে এটা কি একবার ভেবে দেখেছেন! বলবো এখনো সময় আছে রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবেলা করুন। অন্যথায় আপনারাও শাহরিয়ার কবিরদের মতো ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্তদের কাতারে শামিল হতে পারেন।
যাইহোক, ৬ মার্চ অর্ধকোটি মুসল্লীদের সমাবেশ দেখে মনে হয়েছে, দেশ ইরানের মতো ইসলামী বিপ্লবের দিকে এগোচ্ছে। হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ ঠেকাতে সরকার ইতহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত ব্যক্তিদের ডাকা হরতালে পুরো মদদ জুগিয়েছে। কিন্তু সরকার কি পেরেছে, স্বার্থ উদ্ধার করতে? দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষতো পায়ে হেটে পর্যন্ত ঠিকই মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছে। যারা আসতে পারেনি তাদের হৃদয়ে ক্ষোভ জমা হয়েছে। যে জায়গাতে বাধা পেয়েছে তারা সেখানে সমাবেশ করেছে। এটাও সরকারের জন্য একটা বড় মেসেজ। হেফাজতের সঙ্গে সরকার আলাপ করে মনে হচ্ছে না কোনো লাভ হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



