আমেরিকার মিশিগান রাজ্যের অখ্যাত এক স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন এ্যানি এডসন টেইলর, যাঁর খেয়াল হলো তিনি বিখ্যাত হবেন। ১৯০১ সালের ২৪ শে অক্টোবর নিজের ৬৩তম জন্মদিনে তিনি একটা পিপের মধ্যে তার পোষা ছোট্ট বেড়াল সমেত সেঁধিয়ে গেলেন। কেননা, এ্যানি চাচ্ছিলেন সত্যি সত্যি বিখ্যাত হবেন, তার অভাব ঘুঁচে যাবে চিরদিনের মতো ইত্যাদি ইত্যাদি। যদিও বয়সটা বাধ সাধছিল খুব। কিন্তু সেই বাধা সত্ত্বেও দিদিমা এ্যানি টেইলর ইচ্ছা করলেন কানাডার নায়াগ্রা ফলসের উপর যে অশ্বক্ষুরাকৃতি জায়গাটা আছে সেখান থেকে পিপা সমেত লাফিয়ে পড়বেন!!! এখানে উল্লেখ্য যে নায়াগ্রা ফলসের এত উঁচু থেকে লাফিয়ে পটল তোলার ইচ্ছা তার আগে আর কারোই কখনো হয় নাই। ...
যাই হোক, এ্যানি টেইলর তার বেড়াল ছানা সমেত লাফালেন এবং ওপর ওয়ালার ইচ্ছায় বেঁচে থাকলেন।
খুব বিখ্যাত হলেন তিনি...
আবার নিন্দা-ও কুড়ালেনে খুব...
কিন্তু একটা রেকর্ড তিনি করে ফেললেন, যেটা চিরদিনের জন্য থেকে গেল। ...
ইতিহাসে তিনিই প্রথম মানুষ যিনি নায়াগ্রা ফলস থেকে লাফিয়ে পড়েছেন, এবং ... বেঁচে ফিরেছেন।
*******************************************************************************************
আসলে এই পৃথিবীতে সাহসী মানবগণ প্রায়শই আলোচনায় থাকেন সম্মানের সাথে। কিন্তু অন্য অনেক ক্ষেত্রের মতো মানবীগণ এক্ষেত্রেও কিছুটা উপেক্ষিত। কেননা, তাঁরা যত সাহস-ই দেখান না কেন তাদের নাম নেয়া হয় কদাচিৎ, কালেভদ্রে..। কখনো কখনো বাহবা পাবার বদলে নারীদের কপালে তিরস্কার ছাড়া কিছুই জোটে না।
বিখ্যাত আর সফল হবার নেশায় চিরদিন যুদ্ধ করে যাওয়া এ্যানি টেইলর ৮২ বছর বয়সে মারা গেছেন চরম অবহেলা আর দারিদ্রের মধ্যে থেকে।
শুভ ব্লগিং।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১০