আত্নহনণের কি উপায় জানা আছে বলুন তো।
লঘু কস্টের এবং কম সময়ের কিছু। ২-৩ সেকেন্ডে শেষ হবো যাতে। দীর্ঘ এবং উচু কোনো ব্রিজ থেকে লাফাতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু, সাতার জানি তাই সমস্যা হবে। হয়তো মরতে সময় লাবে কিংবা ঠিক ঠিক তীরে চলে আসছি দেখা যাবে। ওমমম..উচু বিল্ডিং থেকে লাফালে কেমন হয়? ও নো!, মাথাটা ভচকে যাবে, আম্মা খুব ভয় পাবে প্রিয় সন্তানের লাশ দেখে।
একটা মোলায়েম মৃত্যু চাই। কম সময়ের, শাররীক কস্ট বিহীন এবং শান্ত। অভিমানি প্রাণ ওপারে চলে গিয়ে রেখে যাবে সযতনে তার উচ্ছিষ্ট, দেহ। লোকে বলবে,
"খেয়াল করে দেখো, এ দেহে প্রান ছিলোনা কখনোই"
আমি আড়াল থেকে দেখবো তোমাদের চাহনী।

বাসায় একা,ঘড়ির কাটা টিক টিক নাকি ঠিক, ঠিক গাইছে? নির্জন ঘরের একমাত্র সন্ঙির সায় যেনো।মাঝে মাঝে দুরপাল্লার গাড়ির সাঁই... শব্দ মনে করিয়ে দেয় কেউ কেউ জেগে আছে।
প্রচন্ড ক্ষুধা পেয়েছিলো সন্ধ্যা থেকে। হঠাৎ নাই হয়ে গেছে তা। মরে গেলে আর খাওয়ার কষ্ট করবো কেন? কথা বলতে গেলে আর শেষ হয়না যেনো। কাজের কথায় আসি, পেলে কোনো উপায়?
তার আগে কিছু প্রয়োজনীয় কাজ আছে। কেউ টাকা পাবেনা। আমি যাদের কাছে পাবো তা তাদের কাছেই থাক। আম্মা কে বলতে হবে,
"দুঃখ করোনা। আমিও থেকেও কিইবা দিয়েছি বলো।নিতে নিতে আর ভালো লাগেনা মা।"
কাছের বন্ধুটা আমার সত্যিই খুব কাছের। কারো চোখ না পরা ব্লগস্পটের ঠিকানা আর চাবিটা ওর হাতে সঁপে দিতে হবে। এরপর বলবো, "পারলে তুইও চলে আয়।বিশ্বাস করো, ওখানে অনেক শান্তি। প্রতিদিনই আমি উপলব্দি করি।"
খুব ক্রুয়েল লাগছে আমাকে? আপনিও এসে দেখতে পারেন সত্যি বলছি কিনা"
সবশেষে, রোজ ভোরে যার সাথে চোখ খুলি,
"তুমি খুব ভালো দেখে একজন পার্টনার খুজে নিও। ছোট ছোট দুঃখগুলো যার মনে কালো দাগ ফেলেনা। তোমার আরো কাছের হয়।আরো সখ্যতা। আমি তোমাদের মতো ঠিক এরকমটা ভালোনা।খুব স্বার্থবাদি। একবর্ণ কম পেলে চলেনা আমার। তুমি তোমার মত থাকো।"

তাহলে চললাম বন্ধুরা। দেখা হবে কখনও না কখনও আবার। "ঈশ্বর তোমাদের দেখুন", এ কথা বলতে পারছিনা। এখনি বসা হবে তাঁর সাথে, অনেক হিসেব আছে মিলাবার।