গীতিমালা - ২৬
তুমি পাষাণে বান্ধিয়া বুক
হায়রে পাষাণে বান্ধিয়া বুক
মারিলে অন্তরে (মোর) কষিয়া চাবুক।।
নিদয় বন্ধু ওরে পাষাণ যতই করি তোর গুণগান
মন পাইলাম না দিয়া পরান
সারলো না মোর মনের অসুখ।।
তুই আমারে কান্দাইলি খুব
ওরে জ্বলে চিতার আগুন জ্বলে জ্বলুক।।
বসে আছি তোমার আশে বন্ধু তোমায় ভালোবেসে
আশায় আশায় অবেশেষে
আঁধারে ঢাকিলো দুই চোখ।।
আমি করবো না করবো না শোক
কাছে আসিয়া সে নিজেই দেখুক।।
মুখ দেখিয়া দুখ বুঝা দায় অন্তর পুড়ে ছাই হয়ে যায়
বনের আগুন দেখে সবাই
মনের আগুন দেখলো না লোক।।
তুমি লুকিয়ে রাখলে যে মুখ
খুঁজে খুঁজে মরে অবুঝ ফারুক।।
রচনা কাল - ১২/০৩/২০১৬ ইং
গীতিমালা - ২৭
ভব বাজারে ও ভাই আছে রঙ্গ-বেরঙ্গের মানুষ
মানুষ আছে শত শত আছে কয়জনার হুঁশ ॥
আরে মানুষ যদি হইতো মানুষ
দিতো নারে অন্যেরে দোষ
নিজের দোষ দেইখা চোখে যাইতো হয়া নিজেই বেহুঁশ ॥
ওরে সকাল বেলা মিলছে মেলা
সন্ধ্যা হইলে ভাঙ্গবে খেলা
হায়রে মানুষ এক রং পুতুলা ফুরায় না মানুষের হাওশ ॥
এক মানুষের দ্বৈত চলন
এক মুখে দুই রকম বলন
মানুষ এক হাওয়ার বেলুন চুপসে যাবে ভাঙ্গবে ফানুস ॥
ওরে মানুষ ভবে অমূল্য ধন
ফারুক চিনলো না রতন
সাধের জনম যায় বিফলে দোষাদুষির হয়না আপোষ।।
রচনা কাল - ১৩/০৩/২০১৬ ইং
গীতিমালা - ২৮
কাঁদাইলে কাঁদিতে হয় পুড়াইলে পুড়িতে হয়
প্রাণ বন্ধু তুই আর কাঁদাইস না আমারে।।
প্রেমের বিষে অংগ জ্বলে রে আমার সংগে কেহ নাই
শুধু ভালোবাসিয়া বুকে দুঃখ দিলাম ঠাঁই
প্রেমের আগুন জ্বলে রে দাউ দাউ করে।।
তোর কথা হইলে মনে রে পাষাণ পাগল হয়ে যাই
আমি শহরে বন্দরে তোরে খুঁজিয়া বেড়াই
ওরে কোথায় লুকাইলি দেখা দে মোরে।।
তুই আমার অন্তরের ধন রে পাষাণ বোঝাই কেমনে
ঘর-বাড়ি ভালো লাগেনা বন্ধু তুই বিনে
পাইলে একবার বাইন্ধা রাখতাম জোড় করে।।
ফারুকের মন পাখিটি রে বন্ধু নিরাশায় কাঁন্দে
মনের দুঃখ প্রকাশ করে বাণী আর ছন্দে
কাঁন্দিয়া কাঁন্দিয়া তাহার দুই আঁখি ঝরে।।
রচনা কাল - ১৪/০৩/২০১৬ ইং
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩২