টিকার উছিলায় প্রতি বছর ২-৩ মিলিয়ন মৃত্যু প্রতিরোধ সম্ভব হয় । তবুও অনুন্নত টিকাদান ব্যবস্থাপনার ফলে আরও প্রায় দেড় মিলিয়ন মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব হয়না । বর্তমানে আনুমানিক ১৮.৭ মিলিয়ন শিশু যাদের বয়স ১-৫ বছরের মধ্যে, তারা নির্ধারিত টিকা (যেমন ডিপথেরিয়া, টিটেনাস, হুপিং কাশি ইত্যাদির টিকা) গ্রহণে ব্যর্থ । এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) সর্বশেষ বৈশ্বিক হিসাব ।
বাংলাদেশে ১৯৭৯ সালে টিকাদান কর্মসূচি ইপিআই শুরু হয়। তখন বড় বড় হাসপাতাল থেকে টিকা দেওয়া হতো। ১৯৮৫ সালে এটি সর্বজনীন টিকাদান কর্মসূচিতে পরিণত হয়।
২০১১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ভ্যাকসিনের দশক ধরা হয়েছে। এ দশকের উদ্দেশ্য হলো, সব শিশুকেই যেন টিকার আওতায় আনা যায় । ২০০৬ সালের ২২ নভেম্বরের পর থেকে বাংলাদেশে কোনো পোলিও ছিল না। পর পর তিন বছর পোলিওমুক্ত থাকায় বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সনদও পায় ।
ইমিউনাইজেশন গ্যাপ পূরণ করার লক্ষ্যে WHO এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহকে 'ওয়ার্ল্ড ইমিউনাইজেশন উইক' হিসেবে পালন করছে ।
তথ্যসূত্রঃ WHO, প্রথম আলো
ছবিঃ ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:৩৯