জীবনটা তেজ পাতা হইয়া গেছে। শুরুতে গাছের ডালে পরে রোদে শুকাইয়া মাটিতে পরছি। বাতাসে বাতাসে এই দিক সেই দিক হইয়া হটাৎ কোন খানে আটকা পরুম হেইডা নিজেও কইতে পারুম না। আমার সব আউলা জাউলা লাগতাছে কেন?
অফিস থেকেই এলাকা আহনের লগে লগে টের পাইলাম আমাদের বিদ্যুৎ ভাই নাই। মফিজের দোকান থেকেইকা আট ট্যাকা দিয়া একটা বেনসন বিড়ি কিনা ভাবতাছি আহারে সিগারেট খাওয়া শুরু করছিলাম তিন ট্যাকার বেনসন বিড়ি দিয়া। ঐসব দিন কুত্তায় খাইছে। এর মইধ্যে গরমে গোসল হইয়া বাসায় ঢুকছি। লগে লগে বিদ্যুৎ চইলা আইলো। আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে। পরে অবশ্য জানতে পারছি, সারাদিনই বিদ্যুৎ আছিলোনা। গোসল করতে গিয়া কথাটার মাজেজা বুঝবার পারলাম। পানি নাই। যা আছে তা লাগবো। প্রকৃতির ডাকে আওয়াজ দিতে। গোসল করতে পারলাম না।
মেজাজটা বাংলা পাঁচ হইয়া আছে। তার মইধ্যে টিভির রিমোট হাতাইতে গেলাম। যত্ত বার রিমোটের দিকে হাত বাড়াইছি ততবারই আমারে ডস দিয়ে রিমোট চইলা গেছে বইনের হাতে, মায়ের হাতে। ষ্টার প্লাস, সনি টিভির দৌড়ে আমার জানেমান ডিসকোভারির ডায়েরিয়া অবস্থা। কি আর করা, ইন্ডিয়ান টিভি সিরিয়ালের সুন্দরীগো দেইখাই সময় পার করতে চাইলাম। দেখবার যাইয়া যা বুঝলাম কেন সমাজে এত এত সংসার ভাঙ্গতাছে। সন্দেহ। সিরিয়ালগুলা আর কিছু শিখাইতে পারুক আর না পারুক আমাগো অনেক কিসিমের সন্দেহ করন শিখাইতাছে।
দিনের শেষটা হইল রাইতের বিছানায়। উকি ঝুকি মারতাছি, বউতো আমার ধারে কাছেও আসতাছে না। চাঁন মুখটা পরটার মতো কইরা ঘুরতাছে। যখন আসলো কাছে তখন প্রথম যে কথা জিগাইলো তাতেই আমার প্যান্ট ভিজা যাইতে লইছিলো। বউ আমার জিগায়, তোমার ফোন এতক্ষন বিজি আছিলো কেন? তোমারে কি আবারো ঐ মাইয়া ফোন করছিলো? আল্লারে আমারে বাঁচাও নাইলে উডাইয়া লইয়া যাও।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


