দাড়ি টুপি পরিধান করা মানুষগুলো হরতাল কিংবা অবরোধে বড় অসহায় বোধ করছেন। দাড়ি রাখা কিংবা টুপি পরা মানুষগুলোর কি দোষ। এরা সবাই মুসলমান। অথচ জামায়ত কিংবা সমমনা দলগুলো যেভাবে ইসলামকে পূঁজি করে তাদের রাজনীতি করে যাচ্ছে, যেভাবে শান্তির ধর্ম ইসলামের দোহাই দিয়ে তান্ডব চালাচ্ছে তা বোধকরি অনেক সাধারন শান্তিপ্রিয় ধর্মপ্রান মুসলমানই বুঝতে পারছেন না এর ভবিষ্যত কতটা খারাপ। এর জন্য জামাত কিংবা সমমনা দলগুলোই... মূলত দায়ী।
ওসামা বিন লাদেন। ইসলামের নামে আফগানিস্তানকেই মূলত ধ্বংস করেছে। ইসলাম বোমা মেরে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ হত্যা সমর্থন করে না। অথচ তালেবানরা ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে সাধারন আফগানদের গুলি করে এবং বোমা মেরে হত্যা করেছে। ফলাফল, আমেরিকা এবং এর দোসররা ওসামা বিন লাদেনের দোহাই দিয়ে আফগানিস্তান এবং ইরাকে শত শত টন বোমা ফেলে লক্ষ লক্ষ মুসলমান হত্যা করেছে। যোদিও ইরাক আক্রমনের অন্যতম কারন ছিলো সাদ্দাম। আমেরিকানদের হামলা থামেনি। নতুন রুপে তারা লিবিয়া ও মিসর ধ্বংস করে এখন লেগে আছে সিরিয়ার। এবং এর পথ আমরা মুসলমানরাই তৈরী করে দিয়েছি।
আমাদের দেশে যোদি ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে হয় করুন। কিন্তু এভাবে নয়। ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে আমাদের রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মানুষ হত্যা করেননি। ইসলামের আলোর পথ দেখে কিংবা ইসলামী জীবন ধারার তাৎপর্য বুঝতে পেরে বিরোধীরা ধীরে ধীরে ইসলাম গ্রহন করেছে। কখনো আক্রমনের শিকার হলেই কেবল যুদ্ধ করেছেন আমাদের নবী রাসূলগন।
আশা করছি, জামাত কিংবা এর সমমনা দলগুলো ইসলামের নামে চালানো তন্ডব দেখে আমাদের দেশের মানুষ কিছুটা হলেও শিক্ষা নেবেন। এই দেশটাকে আফগানিস্থান বানাতে চাইনা আমরা। চাইনা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার উদ্যেশ্যে আমেরিকানরা এই দেশে হাজার হাজার টন বোমা ফেলুক। চাইনা আবারো ধর্ষিত হোক আমার দেশ মাতা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


