নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশ করলো বাংলাদেশ।সিরিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচে ১৭৪ রান তুলেছিলেন সাকিব আল হাসানরা।কিন্তু বাংলাদেশের বোলারদের তোপের মুখে এ রানও অতিক্রম করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড, গুটিয়ে গেছে ১৭১ রানে।৩ রানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ,আর কিউইরা পেয়েছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা!এই জয়ের ফলে বাংলাদেশ ৪-০ ব্যবধানে হারালো নিউজিল্যান্ডকে।সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) র্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম স্থানে উঠ গেলো বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ।
এর আগে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশের প্রত্যয় দিয়ে মাঠে নামা বাংলাদেশের প্রথম ধাপটা প্রত্যাশামতো হয়নি। মিরপুরে সিরিজের শেষ এক দিনের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৪৪.২ ওভারে মাত্র ১৭৪ রানে অলআউট হয় সাকিব আল হাসানের দল।ব্যাটিং বিপর্যয়ের শুরুটা হয়েছিল শাহরিয়ার নাফিসকে (১১) দিয়ে।দলীয় মাত্র ১৫ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ ১৯ ও জুনায়েদ সিদ্দিকী করেন ১০ রান। রকিবুল হাসান, সোহরাওয়ার্দী শুভ, আবদুর রাজ্জাক, শফিউল ইসলাম ও রুবেল হোসেন কেউ দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি।ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যেও প্রতিরোধের দেয়াল গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন ইমরুল কায়েস, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান কায়েস করেন ৩৪ রান।দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন অধিনায়ক সাকিব।আর মুশফিকুর রহিমের সংগ্রহ ২৯।নিউজিল্যান্ডের হয়ে মিলস ও ভেট্টোরি তিনটি করে উইকেট শিকার করেন।গ্র্যান্ট ইলিয়ট ও অ্যান্ডি ম্যাককে নিয়েছেন দু'টি করে উইকেট।
জয়ের জন্য ১৭৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বাংলাদেশের বোলারদের আক্রমণে পথ হারায় নিউজিল্যান্ড। রুবেল হোসেনের মারাত্মক বোলিংয়ে মাত্র ২০ রানে ৫ উইকেট হারায় কিউইরা। ৫ ওভারের প্রথম স্পেলে ১৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রুবেল। কিউই ওপেনার ব্র্যান্ডন ম্যাককুলাম (৪) ও জেসি রাইডারকে (৪) প্যাভিলিয়নে পাঠানোর পর শূন্য রানে ফেরান আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান কেন উইলিয়ামসনকে। ওয়াটলিংকে (১) রান আউট করার পর রস টেইলরকে (৩) তুলে নেন রাজ্জাক।
জুনায়েদের হাতে ১২ রানে জীবন পেয়ে ভেট্টরি ইলিয়টকে নিয়ে গড়ে তোলেন ৮৬ রানের দারুণ এক জুটি। বাংলাদেশকে ভয় পাইয়ে দেয়া এ জুটি ভাঙেন সাকিব। ১০৬ রানে সাকিবের বলে শফিউলের দারুণ ক্যাচে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ভেট্টরি (৪৩)। ১১৯ রানে আবার আঘাত হানেন সাকিব এবার ফিরে যান নাথান ম্যাককুলাম (৪)। এই উইকেটটি নিয়ে মোহাম্মদ রফিককে টপকে গেলেন সাকিব।৪৯ রানে রিয়াদের হাতে সাকিবের বলে একবার জীবন পেলেও শুভর বলে রুবেলের হাতে আর নিস্তার পাননি ইলিয়ট (৫৯)। দলীয় ১৪৫ রানে তিনি ফিরে গেলে ম্যাচে দারুণভাবে ফিরে আসে বাংলাদেশ। পরের ওভারেই শূন্য রানে ম্যাককেকে ফিরিয়ে দিয়ে কিউইদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন রাজ্জাক। শেষ ব্যাটসম্যাস হামিশ বেনেটকে নিয়ে কাইল মিলস শেষ চেষ্টা চালালেও তাতে কাজ হয়নি। ম্যাচে টানটান উত্তেজনা নিয়ে এলেও রুবেলের করা শেষ ওভারে প্রয়োজনীয় ৮ রান নেয়া সম্ভব হয়নি। প্রথম বলে চার মেরে স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে দেন তিনি। দ্বিতীয় বলে শূন্য এবং পরের বলেই বোল্ড। বাংলাদেশের জয় এলো ৩ রানে। ২৫ রানে ৪ উইকেট নেয়া রুবেলের হাত ধরেই এলো দারুণ এক জয়। অসাধারণ বোলিংয়ের সুবাদে ম্যান অব দ্যা সিরিজ বিবেচিত হন রুবেল।অসাধারণ অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যান অব দ্যা সিরিজ হয়েছেন সাকিব আল হাসান।
সাবাস বাংলাদেশ ক্রিকেট দল!তোমারা আমাদের গর্ব.....শুভকামনা তোমাদের জন্য।অভিনন্দন!!হৃদয় থেকে ভালোবাসা তোমাদের।অভিনন্দন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রতি সদস্যকে,অভিনন্দন প্রতি ক্রিকেটপ্রেমীকে।অভিনন্দন প্রিয় বাংলাদেশ ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




