করোনার ভয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিদিনই মানুষ দেশে ফিরে আসছে। ফ্লাইট চালু রেখে সরকার চাচ্ছে প্রবাসীরা যেন আসা বন্ধ করে দেয়। ছেলেমানুষি চিন্তা আর কী! যারা ইতোমধ্যে দেশে ফিরেছেন কেউ হাজি ক্যাম্পে যাদের কোনও ধরণের লক্ষণ প্রকাশ পায়নি তারা প্রতিজ্ঞা করেছেন চৌদ্দ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন এবং তাদের বাড়িতে যেতে অনুমতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা বাড়িতে পৌঁছেই সব বেমালুম ভুলে গিয়ে কেউ রেল লাইনে বসে হাওয়া খেতে বসেছে, কেউ মাছ বেচায় ব্যস্ত, কেউ সেলুনে বসে আড্ডা দেয়, কেউবা স্ত্রীকে বাইকে চড়িয়ে নিয়ে পুরো শহর ঘুরে বেড়ায়। কিছু কিছু স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এদের দু-একজনকে জরিমানাও করেছে। তবু এদের ঘুরে বেড়ানো থামছে না।
জানি না এরা কোন পদার্থ দিয়ে তৈরি!দুই সপ্তাহ একটু ঘর-বন্দী হয়ে থাকলে কী এমন তাদের সমস্যা! দেশের কথা বাদই দিলাম নিজের আত্মীয়-স্বজনদের প্রতিও কি তাদের কোনও মমত্ববোধ নেই? তারা যে তাদের প্রিয়জনদের আক্রান্ত করতে পারে সেই কথা কি একবারও ভাববে না। আমাদের নিজেদের কোনও দায়িত্ব-কর্তব্য নেই—আমরা শুধু সরকারের ভুল ধরব আর পুলিশকে গালাগালি করব!
আমাদের চরিত্রটা কেমন তা কেন সরকার বুঝতে পারল না! দেশের মানুষের সচেতনতা কোন পর্যায়ে সেটি বিবেচনায় নিয়ে পদক্ষেপ নেয়া উচিত ছিল। এরা যে কথা দিয়ে ঘরে থাকবে না, বড় চেয়ারওয়ালারা সেটা কোনও দিন বুঝতে পারবে না। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেগুলো এখন ফাকা পড়ে রয়েছে। যারা বিদেশ থেকে ফিরছে তাদের বাধ্যতামূলকভাবে সেখানে দুই সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে রাখার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এখন মোলায়েম আচরণ দেখানোর সময় নয়। দুই-চার হাজার মানুষকে খুশি রাখতে গিয়ে সমস্ত দেশকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেয়া যায় না।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৫৭