জাপান আসবো স্বামীর কাছে। আমার সাথে ছোট বাচ্চা ,একা যাওয়াটা কষ্টসাধ্য তার উপরে থাইল্যান্ডে ৫ ঘন্টা বসে থাকতে হবে। যার কারণে আহসান (আমার ছেলের বাবা) এর এক স্যার যাবেন ,ওনার সাথে যাওয়ার তারিখ ঠিক করা। ফ্লাইট এর দিন ক্ষন ঠিক, আমার ছুটি হওয়ার খবর নেই। আমার পোষ্টিং খুলনা। ছুটি পাশ করবেন চীফইন্জিনিয়ার, ঢাকা। ছুটি সহ বহির্গমন অনুমতি। নইলে ইমিগ্রেশনে আটকাবে। সরকারের চাকর বলিয়া কথা। বহু টেবিল ঘুরিয়া ছুটি পাশ হইলো। যাবার দিনও চলে এলো।
তিন মাস পরে আহসান এর সাথে দেখা হবে ,এদিকে বাবা মাকে কতদিন না দেখে থাকতে হবে । সুখ দুঃখের মিশ্র অনুভূতি নিয়া এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে রওনা হইলাম। সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়া ভিতরে গেলাম। আম্মা কান্না করছে আমার ছেলের জন্য। ইমিগ্রেশন এর জন্য লাইনে দাড়াবার পর মনে হলো যাবার দরকার নাই। চলে যাই দৌড় দিয়ে। স্যারকে বল্লাম আমি আসছি। সোজা গেটের কাছে। গার্ড কে বল্লাম আমি জরুরী কাগজ ফেলে আসছি। আনতে হবে। দেখি আম্মা তখনও কাঁদছে।
ভীষন অস্হির লাগছিলো।
ফিরে এসে লাইনে দাড়ালাম। এবার আমার ছেলের গগনিদারী ক্রন্দন। আমাদের কর্মকর্তা দের মন গল্ল না। বুঝতে পারছিলাম অনেকেই বিরক্ত হচ্ছেন। মজার ব্যাপার হলো জাপানে পৌঁছে ইমিগ্রেশন লাইনে আমার পুত্র একই ভাবে কান্না করেছে। আরো মজার হলো কান্না শুনে তারা আমাদেরকে পেছন থেকে সামনে নিয়ে এসে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজ শেষ করে ছেড়ে দিয়েছিলো। আমি আমার ছেলের প্রতি বিরক্ত হওয়ার পরিবর্তে চুমু খাইলাম।
প্লেনে ওঠার পর আমি টেনশনে ছিলাম ,প্লেন টেকঅফ করার সময় অনন্য ভয় না পায়। আমি ওকে জড়িয়ে আছি। সে ভয় পাবে কি , ওর হাসি দেখে আমি ভয় পেয়ে গেলাম। আরো অনেক কাহিনী করেছে লিখতে গেলে অনেক বড় হবে।
অবশেষে সূর্যদয়ের দেশে আইসা পড়লাম। আমরা প্রথম থেকেছি "টোকিও ইন্টারন্যাশনাল এক্সচেন্জ সেন্টার " এ। এটা টোকিওর "odaiba" তে। আমার বাসার সামনে সমুদ্র। খুবই সুন্দর জায়গা।
চলবে .....

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


