somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নানা রঙের দিন গুলি (ফিরে দেখা.......)

২৪ শে জুন, ২০০৮ রাত ৯:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রতি দিন ভাবি লিখুম। লিখতে বসলে বিষয় পাইনা , বিষয় পাইলে লেখার ভাষা পাইনা, ভাষা পাইলে সময় পাইনা। আমার মত দুরবস্হা মনে হয় কারো নাই।

ভাবলাম নিজের ছুডো বেলার কিছু স্মৃতি শেয়ার করি ......। আমার ছোট বেলার দিন গুলি নারায়গন্জ্ঞে কাটছে। আমরা মিশন পাড়ায় থাকতাম। পড়তাম শিশুবাগ স্কুলে। আমি আর আপু খুব মজা করতাম। মজা করতে গিয়া একদিন ছেলে ধরার হাতে পইড়া কানের দুলও হারাইলাম। এইটা নিয়া পোষ্ট দিছিলাম। অনেকেই জানেন। স্কুল ছুটির পর কোন দিন আব্বার অফিস বা কোন দিন মামার অফিস যাইতাম। আমার আব্বা আবার ভীষন রাগী টাইপের মানুষ আমরা তাকে ভয় পাইতাম খুব । কিন্তু ভয় পাইলেও আমার দুরন্তপানা থেমে থাকতো না। আমি ছোট বেলায় একটু দুরন্ত ই ছিলাম। সেইজন্য আমার পোলাডা এমুন খরগোশের মত সারাদিন লাফায় মনে হয়।

আমি আর আপু স্কুলের গেটে যে খাবার বিক্রি হইতো আইস্ক্রীম,আচার, বেতফল, চটপটি আরো কত কি....। তা খাওয়ার কি যে লোভী ছিলাম আমরা। কিন্তু ঐগুলা খাইতে মানা ছিলো। আম্মা টিফিন দিয়ে দিতো, সেগুলা খাইতে হইতো। কিন্তু স্কুল গেটের খাবার আমরা যে খাইতাম না তা না । পয়সা নিয়া ঠিকই খাইতাম ।

আম্মা প্রাই বলতো তোমরা স্কুলে গিয়ে কি করো, কি খাও আমি সব দেখতে পাই। আমার আরো দুইটা চোখ আছে। আমি তাদের তোমাদের সাথে পাঠায় দেই। মজার ব্যাপার হইলো আমরা দুই বোন কি খাইতাম কিনে তা আম্মা মাঝে মধ্যে বইলা দিতো। এর কারণ হইলো আমার বাপে মাঝে মইধ্যে আমাগো স্কুলে যাইতো টিচারগো লগে কথা কইতে বিভিন্ন ব্যাপারে। আমরা দুই বোন সেইটা জানতাম না। আব্বা আইসা আম্মারে কইতো। আর আমাগো অল্প বুদ্ধির মাথা বিশ্বাস করতো আম্মার আসলেই দুইটা চোখ।

একবার এক মজার ঘটনা ঘটলো। আমি কিছু কয়েন নিলাম স্কুল গেটের খাবার কিনে খাবার জন্য। পয়সা ব্যাগে নিলে আম্মা দেখবো , সেইজন্য প্যান্টে গুজঁলাম। স্কুলে যাবার জন্য বাসা থেকে বের হবো সেই মুহুর্তে আম্মা আব্বার সামনে আমার প্যান্টে গোজাঁ সব কয়েন ঝর ঝর কইরা পইড়াগেলো বিশ্বাস ঘাতকতা কইরা। আমি তো লজ্জায়, ডরে লাল নীল বেগুনী হইয়া গেলাম। বাকী পরের কথা আর না কই।

আরো একবার আমি আর আপু টিফিনে আইস্ক্রীম খাচ্ছি। সেদিন কোন কারণে আব্বা টিফিনে আমাদের নিতে আসলো। আব্বাকে গেটে ঢুকতে দেখে আপু আইস্ক্রীম ফেলে দিয়ে সুবোধ বালিকার মত দাড়ায় রইলো। আর আমারে কইলো ফেইলা দিতে। কিন্তু আমি তো নাছোড়বান্দা খাইতেই থাকলাম। পরে রিক্সায় বসে এক ধমক বাপের--- এখনও আইস্ক্রীম ফেল্লি না । কতদিন বলেছি এই গুলা খাবেনা। কি আর করা , ধমকের চোটে ভড়কায় গিয়া ফালায় দিলাম । আহ! আইস্ক্রীমের শোক....................।


সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০০৮ রাত ৯:৩১
১৬টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তাঁর বোতলে আটকে আছে বিরোধী দল

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



সেই ২০০৯ সালে তিনি যে ক্ষমতার মসনদে বসলেন তারপর থেকে কেউ তাঁকে মসনদ থেকে ঠেলে ফেলতে পারেনি। যারা তাঁকে ঠেলে ফেলবে তাদের বড়টাকে তিনি বোতল বন্দ্বি করেছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×