যুবক : আচ্ছা বলোতো ভরদুপুরে দুম করে একটা ছাদ জুড়ে যদি মেঘ ঘুমাতে আসে তবে কি হয়!
কন্যা - জানি না তো আমি
: জেনে কি করবো শুনি, যদি আঁকাশ গুড়ো নীল হয়ে ঝরে পরে কবিতার খাতায়।
-তবে ভালোই হতে, আমি নিতুম সব গুঁড়ো নীল কুড়িয়ে।
: কবিতার খাতা দেবে যে তবে নালিশ ঠুকে লাল কাঁচের চুড়ি পরা হাতের নামে।
- দিক দেখি হয় হয় তবে :3
: কবি শব্দদূতেদের গাল দিয়েছে
- চুলোয় যাক কবিতা, আমায় কেন পড়েনা সে
: কলমের নিবের মন খারাপ, তাই সে আর লিখবেনা বলেছে
- বড্ড ভালো বড্ড ভালো, আমার একটা সিঁদুররঙা পাড়ির সাদা শাড়ি আছে।
: তিনটে শব্দ পালিয়েছে
- ধরে আনো
: খুঁজতে পাঠিয়েছিলো হিয়াপুর থেকে কোটাল, ব্যাটা মন খারাপের ভীড়ে গুম হয়ে গেছে।
- ছাই যত্তোসব। আমায় দেখো। দেখো বলছি, দেখো আমার চোখ রাঙিয়েছি মেঘের গুঁড়োয়। তুমি।আমায় দেখো
: ভুলে গেলাম ধূর, পরেরর লাইনটা
- দেখো আমার কপালে মিহি সিঁদুর, আমায় দেখো,আমার অবাধ্য চুল কটাকে দাওতো শাসন করে
: আচ্ছা বুকের মধ্যে হু হু করে কেন সুর ওঠে
- এগিয়ে এসো, দেখো স্বচ্ছ কাঁচের পুকুরে জেগেছে পদ্ম, কবি, এগিয়ে এসো দেখো এক রাজহংসী ঘাঢ় বেঁকিয়ে মন খারাপ করেছে।
: সর্বনাশ, কে ডাকলো, কে ডাকলো আমায়, কে ডাকো আমায় হিয়াপুর থেকে।
- ছু্য়ে দেখো, দশটা আঙ্গুল আঁকড়ে নাও পাঁচটা আঙ্গুলে, বেঁধে দাও, আঁটকে নাও, টেনে নাও আপন পানে
: ঘর সংসার সব বিরান বিরান কেন, কে যে নেই, কে তুমি, কে ডাকছো, কেন তুমি নেই,
কে।
- আমায় তুলে নাও স্পর্শে, আমি তোমার কবিতার খাতায় একআকাশ গুঁড়ো নীল হয়ে পড়বো ঝরে।
সত্যি ঝরে পড়বো।
একদিন দুপুরে দুটো শালিক কানা কানি করছিলো,
বুঝিনি, ভুলে গিয়েছিলাম,
আজ দুপুরে আবারো দুটো শালিক কি যেন কানাকানি করলো।
কান পাতলুম, শালিকজোড়া বলছে কিনা,
" সময় হাঁটছে, একদিন ওঁকেও ছুয়ে নেবে,
আর ড্যাবড্যাব করে দুজন মিলে আমাদের কথায় কান পাতবে "
কি অদ্ভূত,
কি হয়ে যাবে।
বড্ড সর্বনাশ বুঝি।
রুদ্র রাফি
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:১৪