somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পিপু , ফিসু = পিঠ পুরে , ফিরে শো // ঘুম থেকে উঠলাম মাত্র, আবারো কি ঘুমিয়ে যাব //

০৪ ঠা জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পত্রিকায় দেশের খবর পড়া বাদ দিয়েছি সেই ছোটবেলায়।
টেলিভিশন থাকে মা-বাবা, ছোট ভাই-বোনের দখলে।
গত দুমাস প্রায় নেট বন্ধ।
পৃথিবী থেকে অনিচ্ছাকৃত সেচ্ছা নির্বাসন।

সেদিন // ৩০ জুন // ডেইলি স্টার অফিসে যাবার জন্য ফার্মগেটে আসি, সেখানে আমার হাতে কিছু ছোট ও বড় লিফলেট ধরিয়ে দেয় একটা ছেলে। আমি সব সময়ই কোন লিফলেট পেলে পকেটে রেখে দেই। তখনও তাই করলাম। সামনে যেতেই দেখি আরও কিছু ছেলে মেয়ে একটু পর পর লিফলেট দিচ্ছে , আমাকে যত জনই দিতে আসল বললাম পেয়েছি অন্য জনকে দিন। ভাবলাম কোন দলীয় কার্যক্রম হবে, হয়তবা বিনপি। পাশেই মাইক্রোবাসে মাইকিং চলছে, খেয়াল করি নাই নেতা-নেত্রির ডায়লগবাজি ভেবে। তবু একটু শুনলাম, তেল-গ্যাস-কয়লা খনিজ সম্পদ নিয়ে জাতিকে সোচ্চার করছে। মনে মনে বল্লাম মাইকের ভলিউম কমা বেটা সরকারি দল শুনলে পেদাবে।
আমার কাজ শেষ করে ফিরে আসলাম বাসায়। সারাদিনের এটা ওটা কাজ, পড়াশোনা, খাওয়া, ঘুম করে কাটল।

// ২ জুলাই // বিকেলের দিকে মামার দোকানে বসে আছি অনেক দিন পর, সিডি নিতে আসছি। সেই সাথে দোকান দেখাশোনা করে মামাকে তেল দেয়া। বসে আছি করার কিছুই নাই, কাস্টমার নাই। হঠাত মনে পরল পকেটের লিফলেটের কথা, বের করে পরতে থাকলাম।

বঙ্গোপসাগরের গ্যস চুক্তি : View this link

দুর্ঘটনার রাজা কনোকোফিলিপস ও বঙ্গোপসাগরের আসন্ন বিপদ: View this link
" প্রায় এমনটাই লেখা ছিল লিফলেটে "
যতই পড়ছি কান গরম হচ্ছে, ধীরে ধীরে মাথার ভেতর আগ্নেওগিরি জমছে। ইচ্ছে করছে তার গরম লাভায় চুবিয়ে শুদ্ধ করি সরকারকে। পাশেই ছোট মামা ছিল, তিনি সত্য ও ইসলামী আইন মেনে চলেন ডিজিটাল ধার্মিক। তাকে পড়তে দিলাম, তিনি পড়েই দিলেন ঝাড়ি, " এই বাম পন্থি গুলা এত দিন পর এখন হরতাল দেয়। এত ধর পাকড় হল কত মাথা ফাটল তার পর এখন দিছে হরতাল।" আমি তেমন কিছু বুঝলাম না ধরে নিলাম সে তো সব সময় আপডেট থাকে সব কিছু নিয়ে তাই হয়ত আমি কিছু বুঝলাম না। আরও বললেন, " আরে তোরা বিএনপি সহ বিরোধী দলীয় যারা আছে সবাই এক সাথ হ, সবাই নিজ নিজ জায়গায় আলাদা আলাদা করে আন্দোলন করলে কিছুই হবে না।" এরপর ক্লায়েন্ট আসল বিজি হয়ে গেলাম। কিন্তু মনে মনে রাখলাম যে কালকে বের হব, যাব হরতালে দেখতে কি হচ্ছে চারপাশে।

সকালে ঘুম থেকে উঠে রেডি হতেই আম্মুর কড়া নিষেধ বের হওয়া যাবে না।
আমি জোরা জুরি করতেই শুরু হল লেকচার প্রথমেই লিমনের উদাহরন দিয়ে শুরু করে ফ্যামিলির ইজ্জত, পুলিশে ধরলে কেউ আগাই আসবে না, আত্তীয় স্বজন উেল্টা গালা-গাল করবে ইত্যাদি বলে বোনের বিয়ে হবে কি করেতে এসে থামল। আম্মুকে বোঝানো সম্ভব না। এত কথার মধ্যে আসল কথা একটাই তার ছেলের কোন ক্ষতি যদি হয়। হঠাত মনে হল ভাগ্গিস এখন মুক্তি যুদ্ধ না, নইলে আম্মুর এত কথা শুনতাম না লুকিয়ে বেরিয়ে যেতাম যুদ্ধে। যুদ্ধ ভাবতেই মনটা কেমন অস্থির হয়ে ওঠে।
বসে আছি, ভাবছি, আচ্ছা এটাও তো যুদ্ধ বর্হিশক্তি নয় নিজ দেশের ভুল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। তবে কি এটা গৃহ যুদ্ধ। না আমার দেশ, বাংলাদেশ তো গনপ্রজাতন্ত্রীদেশ। এ দেশে কোন রাজা নেই প্রজারাই এ দেশের সকল সিদ্ধান্ত নেয়। এটুকু ভেবে আরও বেশি চিন্তায় পরে গেলাম।

না, এ দেশের প্রজারা তো তাদের রাজা নির্বাচিত করে এবং সেই রাজাকেই অনুসরন করে। তাহলে এটা কেমন গনপ্রজাতন্ত্রী দেশ হল।

গনপ্রজাতন্ত্রী দেশ হত তখনই যখন সরকারী/ রাজা-রানীদের সিংহাসনী হুকমতের বদলে প্রতিটি বিল পাসের ক্ষেত্রে জনগনের লিখিত স্বাক্ষরনামা দেয়ার নিয়ম থাকত। কিন্তু এমনটা হয়নি, হবেও না। কারন যারা করতে পারেন তারা এখনও ঘুমুচ্ছেন, আগুন লাগলেও বলবে পিপু আর যারা স্বার্থান্বেষী তারা হতে দিবেননা এবং বলবেন ফিসু।

এত শত বুঝিনা, বাংলাদেশের মানুষ যদি ওর্য়াল্ড কাপের ক্রিকেট ব্যট আর ফুটবলে সাইন করতে পারে তবে কেন সরকারি প্রতিটি বিলে প্রতিটি নাগরিকের স্বাক্ষর থাকবে না?

হু মানছি এটা হয়ত অসম্ভব কিন্তু সংবিধান বদল ও বিদেশের সাথে চুক্তির মত বড় বড় স্থানে দেশের প্রতিটি নাগরিকের মতামত স্বাক্ষরিত ভাবে থাকা উচিত। কেননা অমাদের সরকারের করা চুক্তির লাভ-লোকসান আমাদের কেই ভোগ করতে হয় এবং হবে।


যারা হরতাল করেন সবার মুখেই শুনি , এমনকি দু একজন দরদী পুলিশের মুখেও শুনেছি তারা বলে " কি করব উপরের নির্দেশ তাই করি " । এই উপরটা কারা দেশটাকি কারো রাজত্ব নাকি?

বর্তমান আন্দোলন দিয়ে জানিনা কতটুকু কি হবে হয়ত সরকারি দলকে নামিয়ে বিপক্ষ দল আসবে কিন্তু রাজার শাসন আর রাজত্ববাদ কি বন্ধ হবে?

সরকার বদল মানে রাজা বদল নয় আমাদের জনপ্রতিনিধি বদল এমনটা হওয়া উচিত।

এই আন্দোলনের জোয়ারেই যেন অবসান ঘটে বাংলার দাসত্বের, সরকারী রাজত্ববাদের।

আম্মুর নিষেধ সরকারী বিরূদ্ধে নেটেও যেনো না লিখি, কিন্তু কারো বিরুদ্ধে না, যা দেখছি শুনছি অনুভব করছি বুঝতে পারছি তাই বলছি। বাকস্বাধীনতাটুকুও কেড়ে নিতে চায় আর কত??
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:৪৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭



আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×