[ছন্দ আমার আসে না,
তাই বলে কি লিখছি না?
হাসলে হাসো খোকা খুকু
হাসির ভয়ে থামছি না। ]
ভূতের জগত্, ভূতের সুর
গভীর রাতে দিন দুপুর
"চুল ছেঁটে আয় ইচড়ে পাকা,
কাটা চুলে চিরুনী লাগা!"
ভূতের রাজাও আসল শেষে
মানিকবাবুর ছদ্মবেশে।
আমি কি আর এতই বোকা-
ভূতের গন্ধ টের পাবো না!
ভূতের রাজার হাসি মুখ
দেখতে গেলে কাঁপছে বুক।
কাটা চুল বাগ মানে না
ভয়ে আমার রা ফোটে না।
বড়শি টোপে খাচ্ছি প্যাঁচ
পাশের ঘরে ঘ্যাঁচা ঘ্যাঁচ।
এ কি রে ভাই! মারবে নাকি?
ঢোল তলোয়ার বাগিয়ে?
প্যালারামের পিলে আমার
উঠল পেটে চাগিয়ে।
ভূতগুলো সব গান ধরেছে
নাঁকী গলার শাস্তি-
শুনলে মজা টের পাবে ভাই
আস্তি হও আর নাস্তি।
এমন সময় ভূতের রাজা
বলল কথা মুখ ফুটে,
"আমার মেয়ে একটা মোটে
হ্রাক্কিদার্দুল ফুটফুটে।"
"খটমটে নাম মেয়ে যার
বাবা তিনি ধন্য,
আমার কাছে কী দরকার?
আমি বড় নগণ্য।"
"গঙ্গারামকে তো আর পাবো না
তাই তো তুমি ভরসা-
খোঁজ নিয়েছি, ঢের জেনেছি
তোমার রাস্তা ফর্সা!"
রাগছে শরীর, কাঁপছে মন
ভাবছি দেব জবাব তার
এই সময়ে ঢুকল কন্যা
শান্ত মুখের খরবদার!
যেই দেখেছি সেই ঢলেছি
আর আমাকে পায় কে-
'বিয়ে বিয়ে' নাচ জুড়েছি
ভূত- শ্বশুরমশাই যে!
আমার মত দিব্যি ছেলে
সেও পেয়েছে স্বর্গ,
তাই তো ভূতের এত দেমাগ
রূপের এত গর্ব।
..........................................
..........................................
বুঝলি খোকা, এই হল তায়
আমার বিয়ের গল্প,
মাকে যেন কিছু বলিস না
টের না পায় অল্প।
ভূতের মেয়ে ভূতের তেজ
পারব আমি সাধ্য কী?
তারচে বরং যাই গিয়ে
দেখি আজকে খাদ্য কী!

সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



