somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বপ্ন বাড়ি যায়, ফিরে আসে

১৭ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রতি ইদেই পরিকল্পনা করি বাড়ি যাব না কিন্তু পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এবারও তাই হলো। ৮ তারিখ ১১ টায় মালিবাগ থেকে বলাকায় উঠলাম। নামব মহাখালী।
মহাখালী ওভারব্রিজের নিচে দাঁড়িয়ে আছি অনেকক্ষণ। কোনো গাড়ি নেই। হাঁটতে হাঁটতে বাসটার্মিনালের দিকে এগোলাম।

গাড়ি কম। অন্য সময় হলে গাড়িতে টার্মিনাল পূর্ণ থাকত। গাড়ি নেই কেন জিগ্যেস করায় একজন বলল, "গাড়ি যানজটের কারণে আসতে পারছে না"।

সৌখিন একটা বাসের হেল্পারকে জিগ্যেস করলাম, "ময়মনসিংহ যাবেন"?
"একদাম ৯০০"।

মহাখালী থেকে ময়মনসিংহে যেতে এনা ছাড়া অন্য গাড়িতে যেতে সাকুল্যে ১৫০ টাকা লাগে (এনায় ২৬০)। ভালুকায় নামলে ১০০ দিই। অথচ এরা এখন দাবি করছে কয়েকগুণ।

ময়মনসিংহ রোডে এসে দাঁড়িয়ে আছি। বাড়ি যাব কী যাব না ভাবছি। এত টাকা খরচ করে গিয়ে কী হবে? কয়েকদিন পর তো চলেই আসব। এই খরচের টাকাটা বাড়িতে দিয়ে দিলেও ভালো হতো। নানা কথা ভাবছি।
পকেটে মাত্র ৯ হাজার টাকা। খরচ করতে কষ্ট হচ্ছে। বাড়ি থেকে ঢাকায় এসে চলব কেমনে সেটাও ভাবছি। নিজের চলতেই কমপক্ষে ৭-৮ হাজার টাকা লাগে।
সারা মাস খাটিয়ে কোচিং থেকে মাত্র ৩ হাজার টাকা দিয়েছে।

লোকাল একটা বাসে যাত্রী তুলছে ৬০০ টাকা করে (গত ইদে ৩০০ টাকায় গেছিলাম। আরও দুদিন আগে হলে কম টাকায় আসা যেত হয়ত। কোচিং এর টাকার আশায় দেরি হলো)। পুলিশ এসে বলে গেল কেউ যেন বাড়তি টাকা না দেয়। উঠলাম গাড়িতে।

গাড়িতে উঠার পর ভাড়া ৬০০ করেই নিল। বাড়তি ভাড়া না দিলে ওরা গাড়ি ছাড়বে না। দুয়েকজন মৃদু প্রতিবাদ করল কিন্তু কাজ হলো না। এই গাড়িওয়ালারাও যে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ধান্দা করে বুঝতে বেগ পেতে হয় না।।

এলাকায় যেতে অটো, সিএনজিও দ্বিগুণ ভাড়া নিল।


মা-বাবার সাথে কাটালাম ইদের কয়েকটা দিন। বোনেরাও এল। বন্ধুদের দুয়েকজনের সাথে দেখা করলাম। ফরহাদ নামে এক কলেজ ফ্রেন্ডের সাথে কমপক্ষে ৫ বছর পর দেখা। চুল লম্বা রেখে ফকির বনে গেছে। ওর সাথে কত স্মৃতি আমার। দুজনেরই একসময় সন্ন্যাসী হওয়ার ইচ্ছে ছিল। হওয়া হয় নি। ও পুরোদস্তুর গৃহী। আর আমি জীবনযুদ্ধে প্রতিনিয়ত লড়াই করে যাচ্ছি।

এক বন্ধুর বিয়ে হলো ঘাটাইল। বিয়েতে গেলাম। কোনো বিয়েতে কখনোই এত গুরুত্ব পাই নি। এমনকি নিজের বোন, ভাগ্নির বিয়েতেও। বস্তুতঃ আসর জমাতে পারি না। তবে এ বিয়েতে যথাযথ আনন্দ পেলাম। উপভোগ করলাম।

মহামারীর শুরুতে এলাকায় অবস্থানকালে কলেজের কিছু শিক্ষার্থীকে পড়াতাম। তাদের সাথে দেখা হলো, আলাপ-আলোচনা হলো।


ময়মনসিংহ সদরে দরকার ছিল। বন্ধু রিফাতের সাথে দেখা হলো। ছোটন স্যারের সাথে হলো না। ওনি গ্রামের বাড়ি গেছেন।

ব্রিজ থেকে ঢাকায় আসব কিন্তু ঢাকার সরাসরি গাড়ি নেই। সব চৌরাস্তা পর্যন্ত। কয়েকটা বস্তা হাতে নিয়ে বাসস্টপেজের এমাথা থেকে ওমাথা ঘুরলাম। শেষে ৪০০ টাকা ভাড়া দিয়ে চৌরাস্তার গাড়িতে উঠলাম।

চৌরাস্তা থেকে বলাকায় মালিবাগ। ভাড়া ১০০।

লোকজন যে যেভাবে পারে, যাকে তাকে ঠকাচ্ছে। এমন ব্যবসায়ী মনোভাব আর কোনো জাতির আছে কি না জানি নে।

সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩১
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×