
হঠাৎ যখন মহামারি নেমে এলো, বোঝা যাচ্ছিল না কী পরিণতি হতে যাচ্ছে পৃথিবীর। ধর্মগুরুরা বিভিন্ন গালগল্প ফাঁদল। বিজ্ঞানীরাও তেমন আশা দেখাতে পারছিলেন না। বলছিলেন কমপক্ষে এক বছর লাগবে টিকা আসতে। ততদিনে কি কিছু অবশিষ্ট থাকবে?
আমেরিকা, ইতালি, ব্রাজিলের মতো দেশ ধরাশায়ী। ভারতে যখন শ্মশানে শব পোড়ানোর জায়গা হচ্ছিল না, ধারণা করা হচ্ছিল বাংলাদেশও বিরানভূমিতে পরিণত হবে। মোটামুটি সেদিকেই যাচ্ছিল। হাসপাতালে অক্সিজেন পাওয়া যাচ্ছিল না। চিকিৎসাহীন অবস্থায় অনেককে পথে-ঘাটে মরে পড়ে থাকতে দেখা গেল। হাসপাতালে রোগী ভর্তি নিচ্ছিল না।
লকডাউন যখন দেওয়া হলো, দরিদ্রদের অবস্থা হলো না খেয়ে মরার মতো। পত্রপত্রিকায় একটা-দুটো নিউজও হচ্ছিল না খেতে পেয়ে মরার। মধ্যবিত্তরা কী করবে ভেবে পাচ্ছিল না। না যায় কারও কাছে হাত পাতা, না যায় খিদের জ্বালা সহ্য করা। কিছু কিছু রাজনৈতিক নেতাকর্মী এর মাঝেও লুটপাট করছিলেন।
করোনার ধাক্কা মোটামুটি সামলানো গেছে। বাংলাদেশ এখনও টিকে আছে। তবে বিপদ পুরোপুরি কেটে যায়নি। সামনে একটা দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকটা দেশ দেউলিয়া হয়ে গেছে। বাংলাদেশ তেমন হবে না আশা করি। কিন্তু একটা বড়ো ঝামেলার মধ্য দিয়ে যাবে; এটা তো বোঝা যাচ্ছে। আমরা কি সে ঝড় সামলাতে প্রস্তুত আছি?
বাজারমূল্যেরে ঊধ্বগতিতে লোকে দিশেহারা। অনেক মানুষ তাদের সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। জমি বেচে খাচ্ছে। যাদের সঞ্চয় নেই, বা যাদের সরকারি চাকরি নেই তারা কেমনে চলে? এরমধ্যে আবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। বিশ্ববাজারে এর প্রভাবও পড়েছে। এসব সংকট থেকে উত্তরণ কেমনে ঘটবে?
ছবিঃ নেট
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



