
চারদিকে দেখি আজ হায়েনার বাস;
এরাই হয়েছে এই সভ্যতার অংশ,
দয়া-মায়া ছিটেফোঁটার নেই প্রকাশ-
নির্মলা এ পৃথিবীকে করছে যে ধ্বংস।
খুবলে-খুবলে খাচ্ছে তারা নর মাংস,
রক্ত দিয়ে হোলি খেলা নিত্যকার নেশা;
বিলক্ষণ বুঝি এরা সীমারের বংশ-
হত্যাযজ্ঞই তো হবে পিশাচের পেশা।
ধর্মকে ঢাল বানিয়ে অনাচার নিতি,
জগতের ঘৃণ্যতম যত কাজ করা;
বেয়াকুফ জনগণ দিয়েছে সম্মতি-
মনে করে এই সমুচিত বোঝাপড়া।
হুজুগে পড়ে বিবেক দিয়েছে বিকিয়ে,
হিতে হবে বিপরীত নেই কাণ্ডজ্ঞান;
কী হবে আর এদের ঔচিত্য শিখিয়ে,
শেষে যদি যায় চলে নিজের গর্দান!
অজ্ঞজনে নিঃসঙ্কোচে দেয়া যায় আলো,
দুর্মুখেরে কী করে আর দেখাবে দিশা?
জগতের আলো তার লাগবে না ভালো
তার অতি প্রিয় মধ্যযুগী অমানিশা।
অন্ধের দেশে লণ্ঠন ফেরি করি তবু,
যদি কারো কোনোকালে বোধোদয় হয়;
বলে যাই, “মূর্খদের জ্ঞান দাও প্রভু,
তারা যেন সত্যের পক্ষেই কথা কয়।
তারা যেন বুঝে মানুষের জন্য ধর্ম
সৃষ্টি, ধর্মের জন্য মানুষ সৃষ্টি নয়;
কর্মই ধর্ম, তারা মনুষ্যত্বের মর্ম
বুঝে যেন এই কামনা সবসময়।”
১৪ই কার্তিক ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


