শীতের সেষ । সময়টা বশন্তের প্রথম ভাগে। ঠান্ডা মিশ্রিত বাতাসের পরসে নীল রংঙের আকাস জুড়ে সাদা মেঘের ভেলা ভেসে বেড়াচ্ছে। কেমন জেনো ! একঠু উদাসি-উদাসি মন, যেনো কোথাও হারিয়ে যাবার আলাপন।
প্রকৃতিতে নতুন রুপে বসন্ত মাসের গান ককিল কন্ঠে ধনীত সুনা যাচ্ছে..কে যেনো কানে কানে মনের আবেগী ভাসায় দোলা দিয়ে যায় । সময় টা ঠিক এরকমই .
আর আমরা গুনি ফেব্রুয়ারির শেষ বুদবার 2007 সাল। ঢাকা টু কক্সবাজার আমাদের যত্রা পথের সীমানা রেখা মাঝখানে চট্রগ্রাম শহরে ট্রানজিট দিয়ে সেষ করা হয়েছে। এখন রাত দশটা বাজে আমরা বাসে করে যাচ্ছি দ্বিতীয় বৃহৎ শহর ও বন্দর নগরীর দিকে। আমরা সবাই বি. এ. টি পরিবারের সদশ্য -সদশ্যা হওয়ায় বাসের ভিতোর মুখোরিত আলাপ চারিতার আওয়াজ বাজছে। রাত দুইটা কুমিল্লা শহোরে এক আলোক উজ্জল রেস্তরায় বসে ডিনারে বেস্তো সময় কাটছে সবার। প্রকৃতির নিয়মে নিদ্রাদেবের কোলে অল্প সময়ের জন্য মাথা নামিয়ে ছিলাম, যেগে দেখি সাতটা বাজে আমরা আমাদের গন্তব্য শহরে পৌছে গেছি, পরিবতিত পোশাকে চা নস্তার আসোরে আলোচনা হচ্ছে সাবধানতা নিয়ে। অনেকের সাথে কিন্তু অজানা একরকম অনুভূতী জানার আগমুহূতে অদৃশ্যমান ভালোলাগায় ছুটেচলেছি পৃথিবীর দীঘতম সুমূদ্র সৈকতের জল ইস্পস করার অভিপ্রায়ে । আমার জানামতে বঙ্গপোসাগর পরে ভারত মহাসাগরের সিমানা সেষে দক্ষিন মহাসাগরের অসিমে মহাশক্তির সাথে বিলীন হয়েগেছে। এই বাতাসের ঝাপটা আর দক্ষিন থেকে আসা সাগরের ঢেউ কোনো অজানা পবিএ স্হান হতে কক্সবাজারের দারদিয়ে বাংলা মায়ের ভূপৃস্টকে দোলা দিয়ে যাচ্ছে, পবিএ এই বায়ুর প্রবাহে বুকভরে নিশ্বাষ নিয়েছিলাম সেদিন আমি। আর পাড়ে আছড়ে পড়া ঢেউ এর সাথে উন্মও মাতাল নৃত্য খেলায় মেতে ছিলাম অনেকটা সময় ধরে। আর বার-বার সাগরের দিগন্তের দিকে দৃস্টি আমার অদৃশ্যমান মহাশক্তিসত্তাকেই খুজে বেড়াচ্ছিলো। এই ছিলো কক্সবাজারের প্রথম অনুভূতি। আপনা দের কাছে বননা করে দিলাম ।
হোটেলে ফিরলাম এখন! একটু ক্লান্ত মনে হচ্ছে, অনিচ্ছা সত্তে ও নানান রকম সামুদ্রিক মাছ আর ভেজিটেবল দিয় খাওয়া সারলাম। বশন্তের উদাসি এই দুপুরে ঝিরি-ঝিরি দক্ষিনা বাতাসের নুপুরে, স্নায়ু গুলো দূরবল অচরন করছে, নিদ্রা অচ্ছন্ন ভাব অনুভব হচ্ছে, বালিসে মাথাদিতেই টাপুর- টুপুর শব্দে ঘুমের রাজ্যে চার ঘন্টা তলিয়ে ছিলাম । এখন সুনালি বিকেল! তিনটা বাজে , বামিজ মাকেটে রিকসায় করে রওয়ানা হলাম কিছু কেনাকাটা করতে হবে । মন কেনো যানী সুমূদ্র পাড়ে টানছে, সিদ্ধান্ত নিলাম , একাই যাব, টিম লিডার কে বলে রওনা হলাম অস্তগামি সূযের সাথে জলের খেলা দেখার বাসোনায়। সৈকতের একটা সুরু থেকে জল তরঙ্গের ছন্দে অরুন পতিফলিত আলোয় নিজের ছায়ায় তাকিয়ে হাটতে থাকি । পরিবেশ উদাসি করেদিল অর আমি আমার জানা সমস্ত কবিতাই আবৃতি করেছিলাম সেইদিন একান্তই নিজের জন্যে, এক মুহূতের সুখের অনুভূতিতে দোলা খাওয়ার ইচ্ছায়। একদিকে দুরে পাহাড়ের উচু-নিচু সারি, যেনো অন্যদিকের সাগরের ঢেউয়ের আইকন সরুপ , সবুজ বৈস্টনী প্রকল্পের গাছগুলোর ধূসর পাতা সবুজ -হলুদে ঝরেপড়ার পতিক্ষায়, শীমুল গাছে হলুদ-লাল ফুল ফুটেছে , সামুদ্রিক পাখি দের আওয়াজ আসছে, সবাই যেনো কি গোপন কথা নিয়ে গুন গুন করছে।মনে পড়েছে বাসন্তি রং শাড়ি পরে বসন্ত এসেছে আজি তাহার ই মাতম লেগেছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৪৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





