
হুমায়ুন আহমেদের একটা উপন্যাসের নাম আছে মেঘের উপর বাড়ি । সেই উপন্যাস আমার পড়া হয়নি । তবে মেঘের উপরের বাড়িতে একদিন অবস্থান করে আমি বুঝেছি ওখানে বসে নিঃসন্দেহে একটা উপন্যাস লিখে ফেলা যায় । বুঝতে পারছেন না ? কোন জায়গার কথা বলছি ? জায়গাটার নাম পাসিং পাড়া । ইহা একটি আদিবাসী গ্রাম । কেওকারাডাং পর্বত থেকে পূর্ব দিকের ঢাল বেয়ে ১০ / ১৫ মিনিটেই ওখানে পৌছে যাওয়া যায় । যার উচ্চতা ৩০৬৫ ফুট । ইহাই বাংলাদেশের সব চেয়ে উঁচু গ্রাম ।

কেওকারাডাং এর চুড়ায় দাড়িয়ে পাসিংপাড়া দেখা যায় না, তবে তবে পুব দিকের ঢাল বেয়ে কিছুটা পথ পার হলেই উপর থেকে দেকা যাবে পাসিংপাড়ার এমন রুপ ।

মেঘের ভেলার অনেক উপরে পাসিংপাড়া দেখতে খুবই চমৎকার, তবে এখানকার আদিবাসী / উপজাতিদের বিশাল একটা কষ্ট হলো অন্যান্য গ্রামগুলোতে যেমন ঝরণা থেকে পাইপের সাহায্যে ২৪ ঘন্টা অতি সহজেই পানির সরবরাহ পেয়ে থাকে এখানে সেটা নেই । কারণ কেওকারাডাং ছাড়া আসে পাশের সব পাহাড় এই পাহাড় থেকে নিচু, আর কেওকারাডাংএ কোন ঝর্ণা নাই । তাদের অনেক নিচের ঝর্ণা থেকে পানি সংগ্রহ করে নিয়ে আসতে হয় আর বৃষ্টির পানি যতটা সম্ভব ওরা জমিয়ে রাখার চেষ্টা করে ।


পাহাড় বেয়ে ক্লান্ত বন্ধুরা পাসিংপাড়ায় পৌছে গায়ের জামা খুলে একটু ঠান্ডা হাওয়া লাগিয়ে নিচ্ছে......

পাহাড়ী ঝিঁঝিঁ পোকা । পুরো পাহাড়কে যারা মিষ্টি সূরের আবেশে মাতিয়ে রাখে সর্বদা, যার সুরেলা কন্ঠ পাহাড়ে পাহাড়ে প্রতিধ্বনিত হয়ে পর্যটকদের বিমোহিত করে । পাসিংপাড়ার এক ক্ষুদে আদিবাসীর হাতে সে বর্তমানে বন্দি ।


ওদের ধর্মীয় গির্জা........

এদিন ওদের ধর্মীয় বড় কোন উৎসব ছিল, তাই আগের দিন সারারাতই ধর্মীয় আরাধনার সূর মাইকে ভেসে আসছিল, আর খানা-পিনার আয়োজন ও ছিল বেশ । শিশু থেকে বুড়ো সবাই উপস্থিত ছিল এই উৎসবে ।


পাসিং পাড়ার একটা দোকানে আমরা......

মেঘের উপরের এই গ্রামটিতে বম এবং মুরংদের বসবাস ।

বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য মাটিতে খোড়া গর্ত ।

পাসিং পাড়া থেকে পুবের ঢাল বেয়ে খাড়া নামলেই জাদিপাই পাড়া । পাসিং পাড়ায় দাড়িয়ে জাদিপাই পাড়ার এমন সুন্দর ছবি তোলা যায় অনায়াসেই । যেন পটে আঁকা কোন ছবি ।

সব শেষে আমি সহ ভ্রমণ বাংলার আমরা কয়েকজন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


