somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আজ দু'জনার দুটি পথ দু'টি দিকে গেছে বেঁকে...(৩৩)

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আগের পর্ব (৩২)
শাকিল এর ছুটির দিন তারিখ নির্ধারিত হয়ে গেছে, সে ছুটিতে দেশে যাচ্ছে, অন্যত্র পাত্রী দেখা হচ্ছে তবে ফাইনাল সিলেকশান এখনো হয়নি, সেটা হবে পাত্র-পাত্রী দেখাদেখির পর

মাস দেড়েক হয়ে গেল শাকিল সুমাইয়ার আর যোগাযোগ হয়নি, অবশ্য তাদের আর যোগাযোগ হবার কথাও না, শাকিল তার মাথা থেকে সুমাইয়াকে ঝেড়ে ফেলেছে, তবে শাকিল নিশ্চিত ছিল সুমাইয়া আবার আসবে তার কাছে, সে এখানে একটা মিথ দেখতে পেয়েছে রুমি আর সুমাইয়ার মাঝে, রুমি যেমন শাকিল এর কাছে ফিরে এসেছিল বারবার নিজের সাথে বুঝা-পড়া করে, সুমাইয়াও তাই করবে, এ ব্যাপারে শাকিল কেন জানি ওভার কসফিডেন্স ছিল, অবশেষে ঠিক তাই হল, সুমাইয়া আবার নক করল শাকিলকে, যদিও উদ্দেশ্য বিহীন

সুমাইয়া: আপনি দেশে যাবার সময় ই্উএইতে ট্রানজিট নিচ্ছনা কেন?
শাকিল: কেন নেব?

সুমাইয়া: এমনি
শাকিল: আপনার সাথে পরিচয় না হলে হয়তো অমনটা ভাবা যেত কিন্তু এখন সম্ভব না, আমার খুব কষ্ট হবে, আমি যখন ড্রাইভ করি তখন রেডিও শুনি, ইউএইর প্রোগ্রাম চলে, তাতেই আমার কষ্ট হয়

সুমাইয়া: এত ঢং করার প্রয়োজন নেই, আসলে আসেন, দেখা হবে
শাকিল: আপনার সাথে দেখা হলে আমার কি অবস্থা হবে ভেবে দেখেছেন! আমিকি পারব আমাকে সামলাতে! দেখা না হয়েও এখন কষ্ট পাচ্ছি

সুমাইয়া: এখানে কষ্টা পাবারতো কিছু দেখিনা, আপনার আর আমার মাঝে এমন কিছুতো হইনি যে কষ্ট পেতে হবে, এমনতো না যে, আপনার আমার প্রেম ছিল ব্র্যাকআপ হয়ে গেছে তাই কষ্ট পাচ্চেন, সো এভাবে কষ্ট পাবার কোন মানে হয়না, আর আমরা এখনো জানিনা আমাদের ভাগ্যে কি আছে, আমি আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়েছি, খুব শিঘ্রই দেশে যাব তখন দেখা যাবে, আমার বাবা চান আমাকে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দেবেন, হয়তোবা খুব শীঘ্রই আমার বিয়ে হয়ে যাবে, তবে সিচ্যুয়েশান বুঝে সিদ্ধান্ত নেব, আপনি খুবই ইমোশনাল, এটা উচিত না, আপনার আরো প্র্যাকটিক্যাল হওয়া উচিত

শাকিল: আমার উপর রাগ হয় আপনার?
সুমাইয়া: অনে............ক

শাকিল: আমিও অনেক রেগে আছি আপনার উপর, শুধু প্রকাশটা করতে পারছিনা
সুমাইয়া: মনের কথা প্রকাশ করা স্বাস্থের জন্য ভাল, আমার যখন রাগ হয় যা ইচ্ছে করি, রাগ আসলে সাথে সাথে ভাল ফুড খাবেন, দেখবে ভাল লাগবে

শাকিল: আমি ইমোশনাল বাট আপনি কি সেটা তো জানেননা
সুমাইয়া: শোনেন বোকা ছেলে বেশী কথা বলার প্রয়োজন নেই, এইবার আমি দেশে গেলে আপনাকে হ্যাল্প করতে হবে, পারবাতো?

শাকিল: মাথা ঠিক আছে আপনার? মাথা ঠিক থাকলে পারব
সুমাইয়া: মাথা ঠিক আছে, আমার প্ল্যান হচ্ছে আমরা সিলেট যাব, আমার আম্মা-আব্বা এন্ড ইউর ফ্যামিলি

শাকিল: আমার ফ্যামিলি!!
সুমাইয়া: ইয়েস, ইউর ফ্যামিলি, ইট উইল বি এ পিকনিক, হাউ ইস আইডিয়া, প্লিজ প্লিজ প্লিজ ডন্ট সে নো

শাকিল: পাবনা যাবেননা? খুব সুন্দর
সুমাইয়া: উফফফফফ প্লিজ, আমি ঠাট্টা করছিনা, এই সুযোগ আমি আর কখ্খনো পাবনা

শাকিল: আমার ফ্যামিলি মেম্বার কে কে থাকবে?
সুমাইয়া: উম্মা, সেটা আমি কি করে বলি, সেটাতো আপনার ব্যাপার

শাকিল: সুইজার‌ল্যান্ড যাবেননা?
সুমাইয়া: ওটাতো বিয়ের পর

শাকিল: সিলেট গিয়েছেন আগে কখনো?
সুমাইয়া: না যাওয়া হয়নি, তাইতো যাবার এতো শখ

শাকিল: আমি গিয়েছি, আমরা দুইটা জায়গায় যাব, মাধবকুন্ড ঝরনা দেখতে আর জাফলং, ইন্ডিয়া বর্ডারের পাশে একটা নদী আছে, যেখানে পাহাড়ের ঝর্ণার সাথে পাথর আসে, খুব স্বচ্ছ পানি, সূর্যের আলোতে চিক চিক করে, ঠিক যেন আপনার মতো সুন্দর, ওখানে যাব আমরা
সুমাইয়া: ওকে ডান, মনে থাকে যেন

শাকিল: আপনি কি যানেন আপনার একটা প্রবলেম আছে
সুমাইয়া: কি প্রবলেম?

শাকিল: আপনার ম্যাচুরিটি প্রবলেম, এখনো চাইল্ডিশ বিহ্যাভ ছাড়তে পারেননি
সুমাইয়া: ওটা বিয়ের পর ঠিক হয়ে যাবে, আগে আমাকে একটা কথা দিন , রাখবেন? প্রমিজ করেন

শাকিল: প্রমিজ রাখতে গিয়ে আমার কষ্ট হলে পারবনা, আমি কষ্টকে ভয় পাই খুব
সুমাইয়া: কষ্ট হবেনা, নিশ্চয়তা দিচ্ছি, প্রমিজ করেন কথাটা রাখবেন

শাকিল: আচ্ছা বলুন
সুমাইয়া: আপনি শব্দটা বলতে ভাল লাগছেনা, আমরা তুমি বলতে চাই, প্লিজ আমরা আপনি শব্দটা আর বলবনা

শাকিল: আমি চাইনা আপনার আর আমার মাঝে দূরত্বটা কমে ঘনত্বটা বাড়ুক, তুমি শব্দটা আপন করে ফেলে খুব, তাই আপনি বলাটা শ্রেয় মনে করছি
সুমাইয়া: এত কিছু বুঝিনা, আমি তুমি শুনতে চাই

শাকিল: ওকে তুমি তুমি তুমি, একটু আসছি, বস ডাকছে কেন একটু দেখে আসি

চলবে.........

Click This Link target='_blank' >পরের পর্ব (সমাপ্ত)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:০৫
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজামী, মুজাহিদ, বেগম জিয়াও বিজয় দিবস পালন করেছিলো!!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২০



মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বেগম জিয়ার মুরগী মগজে এই যুদ্ধ সম্পর্কে কোন ধারণা ছিলো না; বেগম জিয়া বিশ্বাস করতো না যে, বাংগালীরা পাকীদের মতো শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে পরাজিত করতে পারে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার থেকে

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×