অপিষে আমার অবস্থান আর বাংলাদেশের রাজনীতির একটা বিষয় এর সাথে বেশ মিল খুঁজে পাই। আমি, আমার কলিগ, সিইও এবং ম্যানেজার (কোম্পানী ওনার) এর অবস্থান যেন যথাক্রমে বিএনপি, আওয়ামিলীগ, ভারত এবং আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকা হল বিগ বস / ম্যানেজার (কোম্পানীর মালিক), ভারত হল সেইও, লীগ হল মালিকের ভাগনে আমার কলিগ, যার কুটনীতি পুরাই শেখ হাসিনা মার্কা, আর আমি হলাম বিএনপি।
আমার কাজ বস এর ভাগনে মানে লীগ এর সাথে জড়িত। সারাদিন প্রচুর খাটি, কিন্তু রেজাল্ট আসে জিরো। কারন ভাগনে (লীগ) ভারত (সিইও) এবং বস (আমিরিকা) এর কাছে সত্য মিথ্যা মিক্স করে প্রচুর বদনাম করে রাখে। ওরা জানে সে প্রচুর মিথ্যা কথা বলে, কিন্তু ওরা এটা এনজয় করে। অনেকগুলো সত্য মিথ্যা মিক্স করা তথ্য পায় সেখান থেকে যেটা কাজে লাগানোর লাগায়। এদিকে সেলারী না বাড়লেও কাজ ঠিকই বাড়ে, এমনকি ভাগনের অনেক কাজ করে দিতে বাধ্য হই। আরো মজার ব্যাপার হল, তার কাজ করে দিলে সেটা তার নামেই ইনপুট হবে, আর ভুল হলে ভুলটা আমার নামে ইনপুট হবে, বলবে হাবিব করেছে ভুলটা।
ধরুণ আমি গেলাম সিইও এর কাছে সেলারী বাড়াও। সে বলবে এসব মালিক এর হাতে আমার হাতে নেই। এদিকে ভাগনে জানার সাথে সাথে সত্য মিথ্যা বিভিন্ন তথ্য দিয়ে রাখবে আমার নামে। আমি আবার যখন মালিক এর কাছে যাব তখন তিনি সব শুনে বলবে আচ্ছা দেখি, এখন আমি অন্য কাজে বিজি এটা সেটা। সে কী উত্তর দিবে সেটা সে রেডি করে রেখেছে, কারণ আগেই তার কাছে তথ্য চলে গেছে যে, বিএনপি আমিরীকা সফরে গেলে কী ব্যাপরে আবদার করবে।
বিষয়টা এমন যে, লীগ ভারত এর মাধ্যমে আমেরীকাকে মেনেজ করে বিএনপিকে যেন রাজনীতিই করতে দিবেনা, এদিকে বিএনপি রাজনীতি ছেড়ে দেবে সেটা হতে পারেনা, রাজনীতিও করতে হবে, তাদের এসব অত্যাচার সহ্যও করতে হবে।
তাহলে উপায় কী? চাকরী কী ছেড়ে দেব? না তা হয়না, কারন সব অপিষেই কম বেশী এমন রাজনীতি আছে। অনেক জব করেছি, সবখানেই কম বেশী এমনটা দেখেছি। তবে আমার প্রাক্তন কলিগ ফয়সাল (যখন কাতারে ছিলাম, সে এখন ইউএসএ, আর আমি কেএসএ) সে বলেছিল, হাবিব ভাই একটা কথা মনে রাখবেন, যে কোম্পানীতে মালিক এর আত্মিয় স্বজন ভরপুর সেখানে কাজ করে কোন শান্তি পাবেননা। কারণ ওদের রাজনীতিতেই অপিষ চলবে। .................