জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন (এনপিআর) প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের যেকোনো বয়সের নাগরিক ও বাংলাদেশে অবস্থানকারী যেকোনো দেশের নাগরিকের জন্য জাতীয় জনসংখ্যা তথ্যভান্ডার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ১৫ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসূচির মধ্যে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তিও হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক শাহজাহান আলী মোল্লা এবং এটুআইয়ের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম খান সমঝোতা স্মারকে সই করেন। যা অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে জনগণের দোরগোড়ায় সব ধরনের ই-সেবা নিশ্চিতকরণে একটি দেশের সব নাগরিকের জন্য একটি তথ্যভান্ডার প্রয়োজন। বিগত নির্বাচনের আগে ভোটর নিবন্ধনের মাধ্যমে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে নাগরিকদের তথ্যভান্ডার করা সম্ভব হলেও যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে বা বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিদেশি নাগরিক তারা নিবন্ধনের বাইরে থেকে যায়। ফলে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশ অর্থা শিশুদের বিভিন্ন সেবা যেমন স্কুলে ভর্তি, জন্মনিবন্ধন, টিকাদান ইত্যাদি সম্পর্কে কোনো তথ্যভান্ডার গড়ে ওঠেনি। এ বাস্তবতায় দেশের সব নাগরিকের জন্য তথ্যভান্ডার গড়ে তোলার জন্য জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
তথ্য সংগ্রহের সময় বায়োমেট্রিক তথ্যের পাশাপাশি নাগরিকদের মা-বাবা-ভাই-বোন অর্থা নিকটাত্মীয় সম্পর্কেও তথ্য সন্নিবেশ করা হবে।
২০১১ সালে আদমশুমারির পর এই প্রকল্পের মূল কাজ শুরু হবে। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী ছয় মাসের মধ্যে পরিসংখ্যান ব্যুরো দেশের ছয়টি অঞ্চলে পাইলটভিত্তিক তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ করবে। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) অর্থায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসূচি পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নে কারিগরি সহায়তা দেবে।
এই উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। আপনাদের কি মন্তব্য।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





