somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমরা যারা দল করিনা, তাদের চাকরি কে দেবে(পর্ব-২)

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পর্ব-১ : Click This Link
প্রথম পর্বের পরে..
ক্ষেত্রে বিশেষে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীর সংখ্যা শূন্য পদকেও ছাড়িয়ে যায় কিছু ক্ষেত্রে।এভাবে শুধু তালিকা ধরেই যদি চাকরি দিয়ে দেয়া হয়, তাহলে নিয়োগের এত বিধিবিধান কেন?চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় থাকতে তখনকার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন দলীয় বিবেচনায় এ ধরনের নিয়োগ দিয়েছে। আর এরই কারণে তো তারা ২০০৮–এর নির্বাচনে চরম খেসারতও দিয়েছে। এখনো দিয়ে চলছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানের থাকা উচিত। নিয়মনীতির বাইরে গিয়ে এ ধরনের নিয়োগ দেওয়া সমীচীন মনে করি না আমরা আমজনতা। আর আগের সরকারের সময়েও তা করেনি। এ ধরনের নিয়োগ গণমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে বারংবার। সেই ধারাবাহিকতা ভাঙা আর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ছিল ২০০৮ সালে মহাজোটের মহাবিজয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
অবস্থার পরিবর্তন ঘটেনি কোনো ক্ষেত্রেই। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হলে রাজনৈতিক নেতারা তালিকা ধরিয়ে দেন। এর বিপরীতে অবস্থান নিলে পরীক্ষাকেন্দ্র ভাঙচুর, দায়িত্বরত কর্মকর্তারা নাজেহাল আর জেলা প্রশাসককে হয়রানিমূলক বদলির শিকার হতে হয়। ঠিক তেমনই অবস্থা পুলিশ কনস্টেবল ও এসআই নিয়োগের ক্ষেত্রে। নিয়োগের পর্ব শুরু হলে কোনো কোনো এসপি ছুটি নিয়ে রেহাই পেতে চান বিড়ম্বনা থেকে। একই ‘তালিকা আখ্যান’। আর এ তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য বড় অঙ্কের লেনদেনের কাহিনিও গণমাধ্যমে বারবার আসে। এই ধারাবাহিকতা চলছে বেসামরিক প্রশাসনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে। স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রসারের উদ্দেশ্যে বিধি সংশোধন করে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তো বটেই, বেসরকারি স্কুল-কলেজেও নিয়োগের ক্ষেত্রে চলছে একই সংস্কৃতি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঘটনা উল্লেখ করে ঘটনা কি বুঝানোর চেষ্টা মাত্র। তবে অন্য বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়েও এমনটা ঘটে চলেছে। এই ধরণের স্বেচ্ছাচারিতা ক্ষেত্রবিশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় শাসক দলের ছাত্রসংগঠন।
তাহলে যাঁরা এ প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট হতে পারছেন না, তাঁরা যাবেন কোথায়? এর জবাব অন্য কেউ দেবে না। খুঁজতে হবে আমাদের নিজেদেরই। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় কোনো না কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকবে। তার মানে এই না দেশ জনগণ তাদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।তারা সবাই ধরে নিচ্ছে ক্ষমতায় গেলে শুধু তাদের কর্মী-সমর্থকদের চাকরি হবে। এখন যাঁরা বিরোধী দলে আছেন, তাঁরাও হয়তো রাজনৈতিক পালাবদলের আশায় অপেক্ষা করছেন। ‘সুদিন’ এলে সুদাসলে পুষিয়ে নিবেন! আর আরও বুদ্ধিমানেরা এর জন্য অপেক্ষা করেন না। তাঁরা রং বদলান দ্রুত।
স্বাধীনতার চেতনা ধারণের কথা বলা হয় অনেক ক্ষেত্রে। এমন বলাটা অসংগত নয়। সেই চেতনারই তো ফল আমাদের সংবিধান। সংবিধানের প্রস্তাবনাতেই এর প্রণেতারা ঘোষণা করেছেন রাষ্ট্রের সব নাগরিকের জন্য সামাজিক সাম্য ও সুবিচার নিশ্চিত করার। প্রস্তাবনার ধারাবাহিকতায় এর মৌলিক অধিকার-সংক্রান্ত অধ্যায়ে প্রজাতন্ত্রের পদে নিয়োগলাভের ক্ষেত্রে সব নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের প্রণেতারা দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত এ প্রজাতন্ত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় থেকেই এসব বিধান সংযোজন করেছেন। কিন্তু বাস্তবে ঘটে চলেছে এর বিপরীত চিত্র। আর যাঁরা এমনটা করছেন, তাঁরা আঘাত করছেন সংবিধানের প্রত্যয়ে। বস্তুতপক্ষে, এ ধরনের আঘাত স্বাধীনতার চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিকও বটে। আর যে দল ক্ষমতায় আসে, তারা সবাই এরূপ করলেই এটা গ্রহণযোগ্য হয়ে যায় না। ভবিষ্যতেও হবে না। চাকরির অধিকার তো থাকা উচিত দল–মতনির্বিশেষে সব যোগ্য ব্যক্তির।আমিও চাকরি চাই একজন নাগরিক হিসাবে ,কোন দলের ব্যানারে নাপ্রথম পর্বের পরে..
ক্ষেত্রে বিশেষে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীর সংখ্যা শূন্য পদকেও ছাড়িয়ে যায় কিছু ক্ষেত্রে।এভাবে শুধু তালিকা ধরেই যদি চাকরি দিয়ে দেয়া হয়, তাহলে নিয়োগের এত বিধিবিধান কেন?চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় থাকতে তখনকার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন দলীয় বিবেচনায় এ ধরনের নিয়োগ দিয়েছে। আর এরই কারণে তো তারা ২০০৮–এর নির্বাচনে চরম খেসারতও দিয়েছে। এখনো দিয়ে চলছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানের থাকা উচিত। নিয়মনীতির বাইরে গিয়ে এ ধরনের নিয়োগ দেওয়া সমীচীন মনে করি না আমরা আমজনতা। আর আগের সরকারের সময়েও তা করেনি। এ ধরনের নিয়োগ গণমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে বারংবার। সেই ধারাবাহিকতা ভাঙা আর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ছিল ২০০৮ সালে মহাজোটের মহাবিজয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।

অবস্থার পরিবর্তন ঘটেনি কোনো ক্ষেত্রেই। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হলে রাজনৈতিক নেতারা তালিকা ধরিয়ে দেন। এর বিপরীতে অবস্থান নিলে পরীক্ষাকেন্দ্র ভাঙচুর, দায়িত্বরত কর্মকর্তারা নাজেহাল আর জেলা প্রশাসককে হয়রানিমূলক বদলির শিকার হতে হয়। ঠিক তেমনই অবস্থা পুলিশ কনস্টেবল ও এসআই নিয়োগের ক্ষেত্রে। নিয়োগের পর্ব শুরু হলে কোনো কোনো এসপি ছুটি নিয়ে রেহাই পেতে চান বিড়ম্বনা থেকে। একই ‘তালিকা আখ্যান’। আর এ তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য বড় অঙ্কের লেনদেনের কাহিনিও গণমাধ্যমে বারবার আসে। এই ধারাবাহিকতা চলছে বেসামরিক প্রশাসনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে। স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রসারের উদ্দেশ্যে বিধি সংশোধন করে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তো বটেই, বেসরকারি স্কুল-কলেজেও নিয়োগের ক্ষেত্রে চলছে একই সংস্কৃতি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঘটনা উল্লেখ করে ঘটনা কি বুঝানোর চেষ্টা মাত্র। তবে অন্য বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়েও এমনটা ঘটে চলেছে। এই ধরণের স্বেচ্ছাচারিতা ক্ষেত্রবিশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় শাসক দলের ছাত্রসংগঠন।
তাহলে যাঁরা এ প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট হতে পারছেন না, তাঁরা যাবেন কোথায়? এর জবাব অন্য কেউ দেবে না। খুঁজতে হবে আমাদের নিজেদেরই। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় কোনো না কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকবে। তার মানে এই না দেশ জনগণ তাদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।তারা সবাই ধরে নিচ্ছে ক্ষমতায় গেলে শুধু তাদের কর্মী-সমর্থকদের চাকরি হবে। এখন যাঁরা বিরোধী দলে আছেন, তাঁরাও হয়তো রাজনৈতিক পালাবদলের আশায় অপেক্ষা করছেন। ‘সুদিন’ এলে সুদাসলে পুষিয়ে নিবেন! আর আরও বুদ্ধিমানেরা এর জন্য অপেক্ষা করেন না। তাঁরা রং বদলান দ্রুত।
স্বাধীনতার চেতনা ধারণের কথা বলা হয় অনেক ক্ষেত্রে। এমন বলাটা অসংগত নয়। সেই চেতনারই তো ফল আমাদের সংবিধান। সংবিধানের প্রস্তাবনাতেই এর প্রণেতারা ঘোষণা করেছেন রাষ্ট্রের সব নাগরিকের জন্য সামাজিক সাম্য ও সুবিচার নিশ্চিত করার। প্রস্তাবনার ধারাবাহিকতায় এর মৌলিক অধিকার-সংক্রান্ত অধ্যায়ে প্রজাতন্ত্রের পদে নিয়োগলাভের ক্ষেত্রে সব নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের প্রণেতারা দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত এ প্রজাতন্ত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় থেকেই এসব বিধান সংযোজন করেছেন। কিন্তু বাস্তবে ঘটে চলেছে এর বিপরীত চিত্র। আর যাঁরা এমনটা করছেন, তাঁরা আঘাত করছেন সংবিধানের প্রত্যয়ে। বস্তুতপক্ষে, এ ধরনের আঘাত স্বাধীনতার চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিকও বটে। আর যে দল ক্ষমতায় আসে, তারা সবাই এরূপ করলেই এটা গ্রহণযোগ্য হয়ে যায় না। ভবিষ্যতেও হবে না। চাকরির অধিকার তো থাকা উচিত দল–মতনির্বিশেষে সব যোগ্য ব্যক্তির।আমিও চাকরি চাই একজন নাগরিক হিসাবে ,কোন দলের ব্যানারে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×