BAAP-- Bangladesh Armed Action Porce. বিশেষ বাহিনীটির প্রথম মহাপরিচালক নোয়াখাইল্যা ছিলেন। মেজর জেনারেল হলেও তার প-ফ উচ্চারণে সমস্যা ছিল। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই Force হয়ে গেল Porce। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বেশ নাম কুড়িয়েছে এই বাহিনীটি। বিশেষ এই এলিট ফোর্স BAAP জল, স্থল এমনকি মহাশূন্য থেকেও সন্ত্রাসী ধরে আনতে পারে। উন্নত প্রশিক্ষণ আর শক্তপোক্ত চেইন অফ কমান্ডের কারণে দেশের অধিকাংশ শিশুই বড় হয়ে BAAP হতে চায়। বাপেরও বাপ আছে, এই ধ্রবসত্য BAAP-এর বেলায় খাটে না। যথেচ্ছা ক্রসফায়ারে এদের কোনও দায় নেই-- তাই দায়মুক্তির প্রশ্ন ওঠে না।
....................................
আজিজ মিয়া দুবাই থেকে ফিরেছেন। এক স্যুটকেস বোঝাই খেলনা। নিজের আর দুই ভাইয়ের ৭ ছেলেমেয়ের জন্য এম ১৬, ওয়ালথার পিপিকে থেকে শুরু করে রিমোর্ট কন্ট্রোল্ড হেলিকপ্টার-- সবই এনেছেন খুব শখ করে। আর প্রিয় সব অস্ত্রেই বুদ হয়ে যায় শিশুরা। ডুবে যায় একাত্তর, লাদেন-বুশ থেকে হাসিনা-খালেদায়। ভর দুপুরেই শুরু হয় ঢিশ্যিয়া, ঢিশ্যিয়া, ঢিশ্যিয়া।
ব্রিজের দুই পাশে দুই দলে ভাগ হয়ে খেলছে শিশুরা। আজিজ মিয়ার ছেলে লিমন আজ ক্ষুদিরাম। এই খেলাটা ওরা আগেও খেলেছে অনেক। ব্রিজে ওঠা যে কোনও গাড়িকে ওরা আজ বড় লাটের গাড়ি বানাবে। সেটা লক্ষ্য করে কাঁদা ছুড়বে। কাঁদার দলাটাই ওদের ভার্চুয়াল বোমা। গাড়ির ড্রাইভার কিছুই টের পাবে না। ছোট ব্রিজ থেকে গাড়িটা বেরিয়ে যাওয়ার পর শুরু হবে শিশুদের উল্লাস।
....................................
ক্ষুদিরাম কাদার দলাটা ছুড়ল ঠিকই। কিন্তু গাড়ির দরজায় নয়, লাগলো লাট সাহেবের মুখমন্ডলে। হুটখোলা জিপ থেকে লাফিয়ে নামল BAAP-রা। সবার হাতে স্টেনগান। মাথার ওপর চক্কর দিচ্ছে দুবাই থেকে উড়ে আসা হেলিকপ্টার। কিছু বুঝে ওঠার আগেই স্টেনগান, রাইফেল. এম ১৬-সহ হরেক রকম অস্ত্র নিয়ে উল্লাস শুরু করল শিশুরা। মটকু হাবলুটা আবার একটু হাবাগোবা টাইপের। BAAP সদস্যদের লক্ষ্য করে ওয়াটার পিস্তলের ট্রিগার দাবালো। র যায় কই? এবার BAAP-এর কাউন্টার এটাকের পালা।
চোখ থেকে কাদার দলাটা সরালেন মেজর জসিম। পাকা স্যুটারের মতোই এক গুলিতে ভূ-পাতিত করলেন হেলিকপ্টারটি। এ যেন আক্রমণের নির্দেশ। শুরু হলো গুলিবর্ষণ। মুহুর্তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ল ৪/৫টি দেহ। খুবই প্রিয় দোনলা বন্দুকটি ব্রিজে ফেলে খালে ছিটকে পড়ল সুমন। প্রাণভয়ে উল্টো দিকে দৌড়াচ্ছে লিমন। রুমাল দিয়ে চোখটা ভাল করে মুছে এবার নিখুঁত নিশানায় ফায়ার, উড়ে গেল লিমনের পা। যুদ্ধজয়ের দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে একটা ফোন করলেন মেজর জসিম। বাংলা সিনেমার নায়ক জসিমের মতোই বললেন-- কাম খতম। mission is over, sir!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




