উদাহরণ স্বরুপ বলা যায়ঃ ফাজিল নাস্তিকরা যখন তর্কে কোন মুসলমান ব্যাক্তি বা গোষ্ঠির অকাজ কুকাজের ফিরিস্তি নিয়ে অপর মুসলমানদের বেকায় ফেলার চেষ্টা করে তখন নিয়ম করে মুসলমানদের তরফ থেকে জোরালো প্রতিবক্তব্য আসে 'কোন মুসলমান দোষ করলে সে দোষ সমগ্র ইসলামের নয়'।
প্রতি বক্তব্যটা হয়তো ঠিকই আছে । তবে আমার কাছে তা শেষপর্যন্ত তর্কে টিকে থাকার খোড়া অযুহাতই ।
যুক্তি তো নয়ই ।
পৃথিবীতে যত মাতাল আছে সবাই নিশ্চয়ই মদ খেয়েই মাতাল । (মাতাল শব্দটি সার্বজনীন অর্থের মদখোর) । এই মাতালদের সবাই যে মাতলামী করে এরকম না । (এখানে মাতলামী মানে বোঝাচ্ছি উলটা পালটা আচরন, রাস্তায় টলতে টলতে অন্যদের বিরক্ত করা, বমি করা, উলটা পালটা বা চিল্লাচিল্লি করে কথা বলা বা কাউকে গালিগালাজ করা ইত্যাদি) । কেউ কেউ মাতলামী করে । মাতলামী করার জনই মদ খায় । আবার কেউ কেউ মাতলামী না করে ঘরের ভেতর চুপচাপ খেয়ে নিজে নিজে বা গ্রুপ করে ফিলিংস করে ।
এই দুই ধরনের মাতালেরই পেছনের কারনটি একই । মদ !
আপাত দৃষ্টিতে মদ নিরীহ একটি বস্তু । এর মাতলামী করার ক্ষমতা নেই । রাস্তায় চিল্লাচিল্লি করার ক্ষমতা নেই । কাউকে গালি দেয় না । কিংবা নিজেও ফিলিংসের ঘোরে ডুব মেরে থাকে না । তবে সক্ষম মানুষের পেটে গেলেই এর কার্যগুনাগুন পরিলক্ষিত হয় ।
ধর্ম বস্তুটিও তেমনটি ।
আপাত দৃষ্টিতে নিরীহ একটি বস্তু । এর মানুষ খুন করার ক্ষমতা নেই । পায়ে হেটে মসজিদে যেয়ে বোমা ফাটায় না । পরধর্মকে গালি দেয় না । কিংবা নিজেও নিজের জন্য প্রার্থনা করে না ।
তবে সক্ষম মানুষের পেটে গেলেই এর কার্যগুনাগুন পরিলক্ষিত হয় ।
ধার্মিক বা মাতাল,
দোষ করে বা মাতলামী করে কারণ,
ধর্মে বা মদে দোষ করার মতো বা মাতাল হওয়ার মতো
যথেষ্ঠ উপকরন আছে বলেই ।
কোন ধর্মিক এবং মাতালের অপরাধী কার্যকলাপের জন্য এককভাবে শুধু সেই দায়ী নয় । রসদ পর্যাপ্তই জোগায় তার ধর্ম এবং মদ ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




