আচ্ছালা-মুআলাইকুম,
"ইকরা" পড়/ শেখা, শিক্ষা ঞ্জ্যান অর্জন করা । (পবিএ কোরআনের প্রথম আয়াত)
মহান আল্লাহ পাকের পাক দরবারে শতকোটি শুকরিয়া এবং তাঁর প্রিয় হাবিব (সাঃ) এর প্রতি শতকোটি সালাম এবং দরুদ পেশ করে এবং সকল পাঠকে আমার আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে। আমার লেখাটা শুরুকরছি।
আমাদের সমাজে যদি আপনি কোন আলেম সমাজকে প্রশ্ন করেন কোন ব্যাপারে তাহলে আপনি বেশির ভাগ আলেম এর কাছ থেকে উত্তর পাবেন এভাবে "অত কিছু জানার দরকার নাই, যেটা জান সেটা আমল কর"
কথাটার সধারান ব্যাক্ষা এভাবে আমি যেটা মনে করি, হয়তো তারা একজন সাধারন মানুষের ছেয়ে বেশি কিছু জানেনা। নয়তোবা তিনি বিষয়টাকে সধারন মানুষের কাছথেকে এড়িয়ে যেতে ছান। আমরাও তাতেই সন্তুষ্ট থাকি। এবং সেই সাথে শয়তান তার কাজটা করেন্যায় আরেক ধাপ এগিয়ে মনে করিয়ে দেয় এতটুকুই আমাদের দ্বায়ীত্ব কিংবা করনীয়। আমরা ভুলে যাই কবরে কিংবা হাশরের মাঠে আমাদের ব্যাপারে কেবল মাএ আমাদেরকেই জবাব দিতে হবে। সেদিন কোন বাহানা কিংবা অজুহাত কিছুই ছলেবা। অথবা অন্য কাউকে আমাদের ভালোমন্দের কথা জিঙ্গেস ও করা হবে না। হিশেব দিতে হবে আমাদের প্রতিটি মহুর্তের, এমন কি একজন সুস্থ মানুষকে যা কিছু আল্লাহ পাক দান করেছেন যেমন, ঙ্গ্যান, বিবেক, বুদ্দি, দৃষ্টি শক্তি, এমন কি ছলা ফেরা করার ক্ষমতার ও হিষেব দিতে হবে। সর্বপরি আপনার প্রতিটি নিশ্বাঃষের হিসেব যতক্ষন না দিবেন আপনার বিছার কার্য্য শেষ হবেনা সেদিন।
আর আমারা এই আলশতা এবং দুরবলতার মধ্য দিয়ে যে সুজোগটা দিচ্ছি কিছু খারেজি, ইয়াজেদি, মুনাফেকি মতবাদের, সর্বপরি ঈমানদারের প্রকাশ্য দুশমন অভিশপ্ত শয়তানের কিছু দোশরকে। যারা দ্বীন ইসলাম টাকে কেবল তাদের দুনিয়ার জীবিকা এবং একজন সাধারন ঈমানদারের ঈমান কে নষ্ট করার কাজে ব্যাবহার করছে।
আজকে জারা নিজেদের ঈমান ধরেরাখার জন্য এতটুকুও ছেষ্টা করে যাচ্ছি তারা ও কি আসলে জানি; দ্বীন ইসলাম কি?
যদি আমাদের সমাজে কারো কাছে জানতে ছান।
খুব বেশি হলে, আমার ধরনা সঠিক উত্তরটা আপনি ২ - ৩ % মুসলমানের কাছ থেকে পেতেও কষ্ট হবে।
এর জন্য আমাদের সমাজে যারা হাক্কানি আলেম তার যতটা দ্বায়ী, তাদের সাথে সাথে আমরা ও দ্বায়ী, কারন আমরা শিখতে ছাইনা কিংবা শেখার প্রয়োজন বোধ মনে করিনা। অলশ ভাবে মহা মুল্য বান সময়টাকে নষ্ট করছি।
আসুন দেখি নিন্মউক্ত হাদিসের মাধ্যমে কিছুটা হলেও জানার ছেষ্টাকরি।
সতিকারের দ্বীন ইসলাম আসলে কি........................?
বুখারি শরিফ, কিতাব, ঈমান,
বাব: হযরত জীব্রাঈল (আঃ) এর প্রশ্ন, ইমান, ইসলাম এবং আল এহ্সান এবং হুজুর (সাঃ) এর উত্তর।
- একদা হুজুর (সাঃ) তাঁর সাহাবিগন কে নীয়ে বসে ছিলেন, এমন সময় একজন লোক এসে সালাম দিয়ে হুজুর (সাঃ) এর সামনে আদবের সাথে বসলেন, (ঠিক যেমনটা নামাজে দরুদ পড়ার সময় বসাহয় তেমনি বসলেন) এবং জিঙ্গেস করলেন।
১) প্রশ্ন: - ইয়া রাসুল আল্লাহ ঈমান কি?
উওর: বিশ্বাস, অথাৎ, আল্লাহর একাকিও তায়, এবং তঁর প্রতি বিশ্বাস কারা, তাঁর প্রেরিত নবীরাসুল গনের প্রতি বিশ্বাস, তাঁর প্রেরিত আসমানি কিতাব সমুহে বিশ্বাস করা, তাঁর ফেরিস্তাগনের প্রতি বিশ্বাস, অদৃস্টের (ভালো-মন্দে) আল্লাহতে, বিশ্বাস করা, কেয়ামতে বিশ্বাস,
একথায় সর্বপরি যাকিছু "বিশ্বাস" এর সাথে সম্পিক্ত তাই হচ্ছে ঈমান।
এবার তিঁনি (জিব্রাঈল (আঃ)) আবার জিঙ্গেস করলেন।
২) প্রশ্ন: - ইয়া রাসুল আল্লাহ ইসলাম কি?
উওর: ইসলমা হচ্ছে, নামাজ পড়া, যাকাত দেয়া, রোযা রাখা, এবং সম্বব হলে হজ্জ করা।
অথাৎ, শরিয়তের আকাম আহকাম যাকিছু পালন যোগ্য, এবং এর নিয়মাবলি, কখন কিভাবে, কোথায় কবে, পালন যোগ্য যাকিছুপ পালন এবং মেনে ছলার সথে সম্পিক্ত তাকে ইসলাম বলে।
এবার তিঁনি (জিব্রাঈল (আঃ)) আবার জিঙ্গেস করলেন।
৩) প্রশ্ন: - ইয়া রাসুল আল্লাহ ইহসান কি?
উওর: ঊৎকৃষ্ট অবস্থা/ উৎকর্ষ/ শ্রেস্ঠতা। (মোরাকাবা - মোশাহিদা আরবিতে)
-> মোরাকাবা হচ্ছে সর্বউচ্ছ অবস্থান, আর মোশাহিদা হচ্ছে সর্বনিন্ম অবস্থান।
মোরাকাবা - মোশাহিদা কি; এবং কিভাবে করা হয়।
মোরাকাবা:
আপনার দ্যান-ধারনা, প্রতিটি মহুর্তে এমন থাকতে হবে যেন আপনি আল্লাহ পাককে প্রতিনিয়ত দেখছেন, আপনি যাই করুনা কেন, যেখানেই থাকেন, যেভাবে থাকেন।
মোশাহিদা:
হচ্ছে যদি আপনি মোরাকাবা, অথৎ (আল্লাহ পাককে প্রতিনিয়ত দেখছেন) এই অবস্তানে কিংবা দেখতেনাপা তবে অন্তত এই ভয় নিজের ভেতর অবস্তা তৈরী করুন যে, আল্লাহ আপনাকে দেখছেন।
এর পর যখন প্রশ্ন কারি ব্যাক্তি ছলে গেলেন তখন হুজুর (সাঃ) উপস্থিৎ সকল কে জিবঙ্গেস করলেন, তোমরা কি জান প্রশ্ন কারি ব্যাক্তিটি কে?
সকল সাহাবি উওর দিলেন আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুল (সাঃ) ভালো জানেন।
তখন হুজুর (সাঃ) সকলকে বললেন যাও, তাঁকে আবার ডেকে নিয়ে আস। কয়েক জন সাহাবি তিঁনি যে দিকে গেছেন সে দিকে ছুটে গেলেন। ঐ ব্যাক্তি যে পাহাড়ের দিকে গিয়েছিলেন, তাঁরা পাহাড়ের উল্টোদিকে পূর্য্যন্ত গিয়ে ও তাঁকে দেখতে না পেয়ে পিরে এসে বললেন।
ইয়া রসুল আল্লাহ তাঁকে দেখতে পাইনী।
তখন হুজুর (সাঃ) বললেন,
প্রশ্ন কারি ব্যাক্তি ছিলেন হযরত জীব্রাঈল (আঃ), আল্লাহর নিদ্দেশে তিনি এসেছেন মানুষের ভেসে, তোমাদেরকে তোমাদের দ্বীন শিক্ষা দিতে।
সন্মানিত পাঠক বৃন্দ, যদি লক্ষ করে পড়ে থাকেন তাহলে বোধহয় বুজতে বাকি থাকবেনা যে দ্বীন ঈসলাম কি।
কেবল মাএ কালিমা, নামাজ, যাকাত, রোজা, হজ্জ এই পাঁছ স্তম্বই দ্বীন ইসলাম নয়। এগুলো হচ্ছে সম্পুন্ন দ্বীন জাহেরি মানে বায্যিক আমল, যেটা ইসলামের একটা আংশের মাএ, আংশ কিংবা করনিয়। আর এতেই ইসলাম সম্পুন্ন নয়। যদি কেউ মনেকরেন যে দ্বীন ঈসলাম এতেই দ্বীন সম্পুন্ন তবে তিনি মস্থ বড় ভুল করবেন। আর সে ভুল কেবল আপনাকে গোমরাহি ছাড়া আর কিছুই দেবেনা। যদি এতেই সম্পুন্ন হত তাহলে হজরত জিব্রাঈল (আঃ) এর বাকি প্রশ্ন গুলোও আসতোনা আর হুজুর (সাঃ) এর ও উত্তর দেয়ার হতোনা। সম্পুন্ন হতে হলে এর বাকি দুটো অংশ কেও যথাজত ভাবে পালন করতে হবে।
আথাৎ, হাদিসে উল্লেখিত যে তিনটি ধাপ, তার প্রত্যেকটাকে যখন যথাজত ভাবে মানবেন এবং পালন করবেন তখনই আপনি সত্যিকার অর্থে মো্মিন হবেন।
উদাহরন দেখুন আপনার কে দিয়েই, আপনার শরিরের একটা অংশ জদি নাথাকে তাহলে আপনিকি পুন্নাঙ্গ মানুষ হিসেবে গন্য হবেন?
একজন পুন্নাঙ্গ মানুষ হবার জন্য যেমন আপনার শরিরের প্রত্যেকটা অংশের অক্ষত অবস্থায় থাকা ছাই, তেমনি দ্বীন ইসলামের বেলায় কি প্রযোজ্য ন্য? আবশ্যই প্রয়োজন।
এক কথায় ইমান, ইসলাম এবং আল ইহসান এই তিনটি স্তম্ভমিলেই দ্বীন ইসলাম এর সম্পুন্নতা। যদি এর কোন একটা কে বাদ দেয়া হ্য়, তাহলে দ্বীন ইসলাম যেমন অসম্পুন্ন হয়ে যায়, সেই সাথে দ্বীনের মাঝে দ্বন্দ এবং গোমরাহির সৃষ্টি হয়, আর এই দ্বন্দ আর গোমরাহিতে দ্বংশ ছাড়া আর কিছুই নেই।
সন্মানিত পাঠক বৃন্দ যদি আপনি মনে করেন যে ইসলাম আপনার দ্বীন, রাসুল (সাঃ) আপনার নেতা, হাশরের ময়দানের আপনার একমাএ শুপারিশ কারী, একমাএ নাজাতের উছিলা; তবে একটু ছিন্তা করুন আপনী কোন দ্বীন ইসলামকে মেনেছলছেন,
যে দ্বীন ঈসলাম সেদিন হযরত জীব্রাঈল (আঃ) এবং হুজুর (সাঃ) এর প্রশ্ন-উত্তর এর মাধ্যমে আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন সেটা; নাকি সেই শিক্ষার সাথে কোন মতভেদ আছে। যদি থাকে তাহলে সেটাকি দ্বীন ইসলাম বলে গন্য হবে?
আল্লাহ পাক সকলকে জানার এবং মানার তৌফিক দান করুন।
আমিন। ***দয়া করে আপনার মুল্যবা মন্তব্য করুন***
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




