somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাকির নায়েক নাকি বলেছেন কোরআনের ব্যকরণগত ভুল আছে।আসুন দেখি কথাটা সত্যি কি না ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইংলিশ ভিডিও টি এই লিঙ্ক থেকে দেখতে পারেন।
সুবিধার জন্য আমি জাকির নায়েকের কথা গুলো বাংলায় আনুবাদ করে দিলাম।
জাকির নাকের বলছেনঃ ভাই আপনি সুন্দর একটা প্রশ্ন করেছেন,আমি আরেকটু সহযোগিতা করতে চাই যে হে আপনি সব গুলো ব্যাকরণ গত ভুলের কথা বলেন আর আপনার হাতের বইটা লিখেছেন আব্দুল ফাদি আব্দুল ফাদি ঠিক।is the quran infallible. আমিও দেখতে পাচ্ছি হ্যাঁ আলহামদুলিল্লা আমিও ভালই দেখতে পাই।আমি এই বিশটা ভুলের সবগুল উত্তর দেব, কারন আমি বই টা পরেছি , আমি সব গুলোর উত্তর দেব ইনশাল্লাহ,ইনশাল্লাহ।
১ নাম্বার পয়েন্ট ভাই-১ নাম্বার পয়েন্ট এখানে ১ নাম্বার পয়েন্ট হল যে আরবী সব ব্যাকরণ এসেছে কুরআন থেকে।কোরআন হল সর্বচ্চ আরবী বই,যে বইটাতে সবচেয়ে উচ মানের সাহিত্য আছে।আরবী ভাষার সব ব্যাকরন এসেছে কোরআন থেকেই । কোরআন হল ব্যাকরণের মুল গ্রন্থ আর কোরআন যেহেতু ব্যাকরনের মুল গ্রন্থ আর সব ব্যাকরণ এসেছে কোরআন থেকে কোরআন এ কোন ভুল থাকতে পারে না,১নম্বর পয়েন্ট।
২ নাম্বার পয়েন্ট-২ নাম্বার পয়েন্ট,২ নাম্বার পয়েন্ট ব্যাপারটা এরকম যে আপনি একটা রোলার নিলেন আর সেই রোলারের গায়ে দাগ কাটা আছে তারপর বললেন যে মাপটা ভুল হয়েছে।এটা বেশ অযুক্তিক।২ নাম্বার পয়েন্ট আরবে বিভিন্ন আলাদা আলাদা গোত্রে, আপনি যদি আরবি যানেন আর ডঃ উইলিয়াম ক্যাম্বেলও আমার সাথে একমত হবেন যে আরবের গোত্রগুলোর মধ্যে ব্যাকরন মাঝে মধ্যেই বদলে যায় ,কিছু আরবীয় গোত্রে যে শব্দটা স্ত্রী বাচক অন্য আরেক গোত্রে সেটাই পুরুয বাচক,একই শব্দ তবে গোত্র ভেদে ব্যাকরন বদল হতে থাকে,এমনকি শব্দের লিঙ্গও বদলে যায় । তাহলে আপনি কি কোরআনকে সবগুল ব্যাকরন দিয়ে পরীক্ষা করবেন। না। এছাড়াও কোরআনের ভাষা এত উচ মানের,এতই উচ মানের এর কাছাকাছি কোন সাহিত্য নেই আর কোরআনের বিরুদ্ধে অনেক বই আছে ইন্টারনেট এ গেলে দেখবেন ১২টা ব্যাকরণের ভুল,২১ টা ব্যাকরণের ভুল আব্দুল ফাদি ২০টা ব্যাকরণের ভুল । আপনাদের কি ধারনা খিস্ত্রানরা এই ভুল গুলো বের করেছে। কারা এই ভুল বের করেছে জানেন কারা করেছে মুসলমানরাই , মুসলমান পণ্ডিতরা যেমন জমকসারি, তারা এটা করেছেন। কোরআনের ব্যাকরণ এত উচ মানের যে কোরআনের ভাষা মাঝে মাঝে প্রচলিত আরবির বিপক্ষে যায়।কোরআনের ব্যাকরন এত উচ মানের কোরআনের ব্যাকরন এতই উচ মানের এজন্য তারা উদাহরণ দিয়েছেন। আমিও কতগুলো উদাহরণ দেব এতেই আপনারা সবগুল উত্তর পেয়া যাবেন।তারা উদাহরণ দিয়েছে যে কোরআনেই লেখা আছে লুত (আঃ) এর গোত্রের লোকজন তারা সকল নবীকে ত্যাগ করেছে।বলা আছে সব নবীকে তারা বর্জন করেছে, ডঃ উইলিয়াম ক্যাম্বেল বললেন নূহ নবীর লোকজন তারা নবীদের ত্যাগ করেছে। আমরা ইতিহাস থেকে জানি মাত্র একজন নবীকেই তাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তাহলে এখানেও ব্যাকরণের ভুল আছে। কোরআনে বলা উচিত ছিল একজন নবীর কথা,বহু বচন না। আর আমিও একমত আর আমার আপনার মত লোকের কাছে মনে হবে এটা ব্যাকরনের ভুল , কিন্তু যদি আপনারা আরবদের লেখা বই গুলো পড়ে থাকেন, কোরআনের আসল সৌন্দূর্‍্য কি? সৌন্দূযর্‍্টা হল ,কোরআনে কেন একজন নবীর কথা না বলে নবীদের কথা বলা হয়েছে।আপনারা জানেন কেন? কারন আমরা জানি সব নবীদের হেদায়েতের বানী মূলত একটাই যে ঈশ্বর একজনই,তৌহিদের বানী আল্লাহ্‌ সোবহানা তালার বানী। লুত (আঃ) এর লোকজন এবং নূহ (আঃ) এর লোকজন তাদের নবীকে ত্যাগ করেছিল, আর পরোক্ষ ভাবে নিজেদের নবীকে ত্যাগ করে তারা সকল নবীদেরই ত্যাগ করেছিল। সৌন্দূর্‍্যটা দেখেন ভাষার অলঙ্কারটা দেখেন।আলহামদুল্লিল্লাহ ।আপনার মনে হতে পারে এটা ব্যাকরনের ভুল।কিন্তু এটা ভুল নয়।একই ভাবে নুর সারওয়ার নামে একজন বলেছেনঃ "কোরআন বলছে -হও বললেই হয়ে যাও,এটা নাকি হবে হও বললেই হয়ে যেত"।
হ্যাঁ আরবীর পাস্ট টেন্সে হও বললেই হয়ে যেত,হও বললেই হয়ে যাও নয়।কিন্তু হও বললেই হয়ে যাও আরও উচ মানের।
বলা আছে আল্লাহ্‌ তিনি ছিলেন,আছেন আর থাকবেন।অতীত ,বর্তমান আর ভবিষ্যৎ।
১৪টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×