somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ও আমার ছোট্ট পাখি চন্দনা

২৭ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চন্দনার সাথে সেই আমার শেষ দেখা। সেদিন ওর চোখে আমার জন্য ভালোবাসা বা ঘৃণা কিছুই আর অবশিষ্ট ছিলো না। তার পরিবর্তে ওর চোখ জুড়ে থিরথির করে কাঁপছিলো একরাশ ভীতি। ভয়ে বেতসলতার মতো কাঁপছিলো ও। আমি ছিলাম কিছুটা চেতনাহীন, অনুভূতিবিহীন। তবুও ওর চোখের সেই ভয় বা ভীতির ভাষা পড়তে বিন্দুমাত্র দেরি হয় নি সেদিন আমার।
আমার ভেতরটা ভেঙ্গে যাচ্ছিলো। কষ্ট, ক্রোধ, লজ্জা, ঘৃণা ঠিক কীসে, তা কিছুই আজো ঠিকঠাক ভাবতে পারি না আমি। শুধু জানি, চন্দনা সেদিন আমাকে ঘৃণা করে নি, ভালোও বাসে নি। ও শুধু আমাকে দেখে ভয় পেয়েছিলো। যে-চোখে একদিন ছিলো এক পৃথিবী ভালোবাসা, যে জানতো পৃথিবীর যে কোনো কিছুর বিনিময়ে আমি শুধু ওর ভালোই চাইতে পারি, পৃথিবীটা ভেঙ্গে চুরমার করে দি্তে পারি শুধু ওর জন্য- সেই চন্দনা, তার চোখ জুড়ে সেদিন ছিলো অসহায়ত্ব, আর ভয়ের পাহাড়। আমার ছোট্ট পাখি চন্দনা। হ্যাঁ, এ নামেই ডাকতাম আমি ওকে। আমার প্রাণের নিধি সেই ছোট্ট পাখিটাই সেদিন আমাকে দেখে ভয়ে কাঁপছিলো- ব্যাধের মুখে যেমন কাঁপে হরিণী, বা নিরুপায় নিঃসহায় ছোট্ট কোনো পাখি।

কার্ডিয়াক পেশেন্ট মিজানুর রাহমানের ওপেন হার্ট সার্জারির বন্ড পেপারে সাইন করতে গিয়ে থমকে দাঁড়িয়েছিলাম সেদিন বিকেলে। চোখ হতে হাই পাওয়ারের গ্লাসটা খুলে ভালো করে মুছে নিয়েও নিজের চোখকে ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিলো না। নিশাথ কারিম চন্দনা। পেশেন্টের পক্ষে সাইন করেছেন তাঁর স্ত্রীর ঘরটায়। মুহূর্তের মাঝে নিজের দ্রুত হার্টবিটের শব্দ শুনতে পেয়েছিলাম বুকের মাঝে। মাথা ঝিমঝিম করছিলো। এভাবে কি পুরো নাম কারো সাথে মিলে যেতে পারে? নিশাথ কারিম চন্দনা। তবে কি ...?

আগামীকাল সার্জারির ডেট। বন্ড পেপার থেকে নাম্বারটা নিয়ে নিজেই কল করলাম। রিং বাজতেই ওপাশ থেকে ভেসে এলো সুদূর অতীতের সেই চেনা কণ্ঠস্বর। সেই কিশোরীবেলার নিশিথা। আমার চন্দনা। যার মুখের দিকে তাকিয়ে পুরো একটা জীবন কাটিয়ে দিতে চেয়েছিলাম আমি। অবিকল তেমনি একটু চেপে 'হ্যালো' বলা। সেই কণ্ঠ, সেই ঢং। দুচোখ ঝাপসা হয়ে এলো। ওপাশ হতে নিশিথার উদ্বিগ্ন কণ্ঠস্বর। হ্যালো, নিশিথা স্পিকিং। হ্যালো হ্যালো হ্যালো।
শান্ত কণ্ঠে জানালাম, আমি সার্জন মাহবুব। সোহাইল মাহবুব পুরো নামটা ইচ্ছে করেই চেপে গেলাম। কাল তার স্বামীর সার্জারির আগে রোগীর স্ত্রীর সাথে কথা বলতে চাই। জানিয়ে দিলাম সকাল ৮টায় এ্যাপয়েনমেন্ট টাইম।

নিশিথা খুবই উদ্বিগ্ন ভঙ্গিতে তড়িঘড়ি জানালো সে নির্ধারিত সময়ের আগেই উপস্থিত হয়ে যাবে। আরো হড়বড় করে কী কী সব বলে গেলো। স্থির হয়ে সব শুনে গেলাম। বিন্দুমাত্র কানে পৌঁছুলো কী পৌঁছুলো না। ফোনটা কেটে দেবার পর স্থির হয়ে বসে রইলাম কিছুক্ষণ। বুকে চাপ চাপ ব্যথা। নিশিথা। একটা চাপা ব্যথার নাম। নিশিথা বুকের মাঝে চিরদিন বয়ে চলা এক দুঃখস্রোতের নাম। শরীরের তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে বয়ে যাওয়া এক নীলবেদনার নাম।

নিশিথা তার স্বামীর জন্য আজ কতোখানি উদ্বিগ্ন, সেটা উপলদ্ধি করেই হয়তোবা নিজেকে খুব ক্ষুদ্র মনে হচ্ছে আজ। অথচ নিশিথার জায়গায় কাউকেই বসাতে পারি নি আজো এই আমি।

অনেক রাত। বেডরুমের লাল কার্পেটটার মধ্যখানে উপুড় করে বিছিয়ে দিলাম আজ ৯টি বছর বয়ে বেড়ানো চন্দনার চিঠি, ছবি ও উপহারের স্মৃতির পাহাড়। টেনে বের করলাম একটি ফটোগ্রাফ। ১৭ বছরের এক মিষ্টি মুখের মেয়ে। শান্ত থমথমে, ভীষণ চুপচাপ। আমার চন্দনা।

ওকে দেখার অর্থাৎ প্রথম পরিচয়ের স্থান-কাল-পাত্রগুলো ছিলো প্রেমে পড়ার জন্য বড়ই অনুপযুক্ত। সবেমাত্র ডিগ্রি নিয়ে ফিরেছি আমেরিকা থেকে। পাশের বাড়ির সোবহান সাহেবের স্ত্রীর আকস্মিক মৃত্যুতে দাদির সাথে দেখতে গিয়েছিলাম। দাদির বান্ধবী মিসেস সোবহানের লাশের সামনে এসে যখন বসেছিলো একটি থমথমে মুখ ভার করা অতি শান্ত চেহারার মায়াময়ী মেয়েটা- হঠাৎ আমার পৃথিবী ওলটপালট হয়ে গিয়েছিলো। সাদা কালো রঙের সালোয়ার-কামিজ, মাথায় আলগোছে ওড়না ঢাকা। এসে বসলো তার দাদির লাশের সামনে। মুহূর্তে আমি স্থান কাল পাত্র ভুলে, মুগ্ধ হলাম।

আমার তখন ২৪। দেশবিদেশে কতো মেয়েইতো দেখেছি। কিন্তু এই মেয়েটাকে দেখে কী যে হলো আমার! মাথা সেই যে বিগড়ালো- ভাবলে হাসি পায় এখন। কী না করেছি সেসব দিনে! ফোনের পর ফোন। সামনাসামনি প্রপোজ করা। ওর চাচাতো বোন, নিজের কাজিনদের ধরাধরি কিছুই বাকি রাখি নি। যে কেউ শুনলে বলবে বেহায়ামি। কিন্তু আমি জানি চন্দনার জন্য সেদিন বদ্ধ পাগল হয়েছিলাম আমি। আমার ধ্যানজ্ঞান সবই তখন চন্দনা। আমার এ ভালোবাসার টান উপেক্ষা করে সাধ্য কি ঐ পুঁচকে মেয়েটার?


তারপর দুটো বছর, পাখির ডানায় ভর করে কেটে গেলো কখন কোথা দিয়ে আজো বুঝে উঠতে পারি না। উচ্চতর ডিগ্রি নিতে দেশের বাইরে গেলাম না- শুধু চন্দনার জন্য। তাকে ছেড়ে থাকা তখন অসম্ভব আমার। সেইসব দিনরাত্রি- আমি জানি, আমার জীবনের সে দুটি বছর ছিলো স্বর্ণযুগ। সেই দুটি বছর সময়, কাল কোথা দিয়ে পেরিয়েছিলো জানা হয় নি কখনও আমার।

বেসরকারি একটি মেডিকেলে জব নিয়ে নিলাম। সকালে ঘুম ভাঙতো চন্দনার ডাকে। মুখোমুখি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে শুভসকালের সূচনা হতো আমার। লাজুক মেয়েটা লজ্জায় মরে যেতো। খুব কম কথা বলতো ও। তবুও ওর সবকিছু আমি ভালোবেসেছিলাম। ওর লাজুকতা, ওর নিঃশব্দতা সব, সব আমার বুকের গভীরে পরতে পরতে ছড়িয়ে দিতো ভালোবাসার মায়াজাল। কাজের ফাঁকে ফাঁকে হাজারো বার ফোন করতাম ওকে। কখনও একটু দেরি হলে গাল ফোলাতো মেয়েটা। অফিস শেষে লুকিয়ে এখানে-ওখানে দেখা করা। এতো ভীতু ছিলো মেয়েটা। বাড়ি ফিরতে একটু দেরি হলে সোজা কান্না শুরু করে দিতো। আগেই বলেছি ওর সবকিছুই আমার বুকে দিনে দিনে ভালোবাসার মায়াজাল বিছিয়েই চলেছিলো। একটা দিনের জন্য ওর উপর ক্ষুব্ধ হই নি আমি। শুধু সেই দিনটি ছাড়া।

সেদিনের কথা
চন্দনা- বাবা বলেছেন, আমাকে ঐ ছেলেকেই বিয়ে করতে হবে, সোহাইল।
আমি- কী বলছো তুমি, চন্দনা? বিয়ে করতে হবে বললেই তুমি করে ফেলবে? মগের মুল্লুক পেয়েছো?
চন্দনা- আমি কী করবো?
আমি- কী করবে মানে? তুমি দেখছি হিন্দি সিনেমার নায়িকাদের মতো কথা বলছো। (কেনো যেন মেজাজটা ধরে রাখতে পারি নি সেদিন)
চন্দনা খুব অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো আমার দিকে। তারপর রেগে গিয়ে বললো,আর তুমি কী করছো, জানো? ঐযে গুণ্ডাগুলা আছে না? ওদের মতো কথা বলছো। বিয়ে করবি কিনা বল- এমন টাইপ কথা।
আমি ভীষণ ক্ষেপে গিয়ে বললাম- হ্যাঁ, আমি গুণ্ডাই। তোমাকে দরকার পড়লে তুলে নিয়ে যাবো। সোজা কাজী অফিস। তারপর ঐ পোলা আসলে তারে চোরাকারবারি মালাই ঢুকাবো।
চন্দনা অবাক হয়ে বললো, মালাই কী?
আমি- জানি না।
সোজা কথা জানিয়ে দিলাম- আমি মরেই যাবো সে যদি আমার থেকে এভাবে চলে যায়।
কিন্তু চন্দনাকে ফেরানো গেলো না। সে চলে গেলো। তার বাবা-মায়ের বাধ্যগত সন্তানের মতো। খুব বেশি নিশ্চিৎ হয়েছিলো হয়তো সে আমার ভালোবাসায়। জেনেছিলো সে তার কোনো ক্ষতি কখনোই করতে পারবো না আমি। আমি তার কাছে খুবই নগণ্য কেউ ছিলাম হয়তোবা। হ্যাঁ, এমনই মনে হয় আমার। নিজেকে খুব ছোট লাগে।

অসম্ভব ক্রোধে আর হয়তোবা কিছুটা বিস্ময় থেকেই ফোন করেছিলাম ওকে আবারও। সেদিন ওদের বাড়িতে টুনি বাল্বগুলো জ্বলছে। পরদিন ওর হলুদ। বিশাল আয়োজন।

ফোনটা চন্দনাই রিসিভ করলো।
আমি- তুমি আমাকে একটুও মিস করো না, তাই না?
চন্দনা নিরু্ত্তর।
আমি- চন্দনা। কথা বলো।
চন্দনা নিরু্ত্তর।
আমি- আমি তোমাকে কিছু প্রশ্ন করতে চাই।
চন্দনা তবুও নিরু্ত্তর।
আমি- ইয়েস অর নো বলো চন্দনা। (আছাড় মেরে ফোনটা ভেঙ্গে ফেলতে ইচ্ছে হচ্ছিলো।)
চন্দনা- আমি কোনো উত্তর দিতে চাই না।
আমি- তোমাকে উত্তর দিতেই হবে চন্দনা। তুমি আমার থেকে পার পাবে না।
চন্দনা- সোহাইল, তোমার সব আছে। বিদ্যাবুদ্ধি ছাড়াও তুমি অতি সুদর্শন একজন মানুষ। আমার মতো চন্দনা তুমি অনেক পাবে। আমি তোমার ভবিষ্যৎ চোখ বুঁজে দেখতে পাই।
আমি হিসহিস করে উঠলাম। দরবেশ হলে কবে থেকে?
আমি তোমাকে ছাড়বো না চন্দনা। আমি তোমাকে কিছু বলবো না। সেটা সমম্ভব নয়, তবে আমি তোমার হাসব্যান্ডকে খুন করে ফেলবো। ফেলবোই। কসম করলাম, আমার হাতে খুন হবে একজন। সে তোমার স্বামী।
চন্দনা ফোন কেটে দিলো। গ্রাহ্য করলো না আমার কথা। চলে গেলো চন্দনা। অনেক দূরে। আমার জীবন থেকে।


আজ দীর্ঘ্ ৯টি বছর পর। সকাল ৮টা। ১০:৩০ মিনিটে চন্দনার স্বামীর সার্জারি টাইম। তার আগে আমি ওর সাথে দেখা করতে চেয়েছি। গ্লাসডোর ঠেলে আমার অফিসে ঢুকলো চন্দনা। সূচীশুভ্র সেই মুখ। আজও পরেছে সাদাকালো শাড়ি। ঠিক সেই প্রথম দিনটির মতো। সেই চাউনি। সেই ভঙ্গিমা। এক নিমিষে আমার দিকে তাকিয়ে ফ্যাকাশে হয়ে গেলো ওর মুখ।

আর্তনাদ করে উঠলো। দৌড়ে এসে ঝুঁকে পড়ে পা ছুঁয়েই ক্ষমা চাইতে গেলো বুঝি। আমি ওকে ধরে ফেললাম। চেয়ারে বসিয়ে দিলাম। আমি নিশ্চিৎ চন্দনার কানেও আমারই মতো বেজে চলেছিলো আমার সেদিনের সেই কথা ক'টিই।

'আমি তোমাকে ছাড়বো না। তোমার হাসব্যান্ডকে আমি খুন করবোই ঠিক ঠিক।' হা হা হা হা। পৃথিবীটা বড়ই অদ্ভুত!


অপারেশন থিয়েটার

অনেক শীতের এই দেশটাতেও হঠাৎ উপলব্ধি করি, আমি ভেতরে ভেতরে ঘামছি। বেশ কয়েকবার সার্জিক্যাল গ্লাভস খুলেছি, পরেছি। ভেতরে একটা অস্থিরতা কাজ করছে।
অপারেশন টেবিলে পড়ে আছে চন্দনার স্বামীর নিরব নিথর এ্যানেস্থেশিয়া মোড়ানো দেহটা। ওপেন হার্টটা হা করে খুলে পড়ে চেয়ে রয়েছে যেন আমার দিকেই। ভেংচি কাটছে যেন সে আমাকেই ব্যাঙ্গ করে। সেই হৃদয় যে হৃদয়টাকে আমি ঘৃণা করি। ইচ্ছে করে এক নিমেষে টেনেহেঁচড়ে ছিঁড়ে নিয়ে আসি। ঐ অচল হাত দুটো যা আমার চন্দনাকে স্পর্শ করেছে তা কোনোদিন আর সচল না হোক। ঐ হৃদয় আর কোনোদিন আমার চন্দনার ভালোবাসা না পাক। চিরদিনের জন্য ভালোবাসা হারাক সে আমারই মতো। তীব্র অস্থিরতায় ঘামতে থাকি আমি। নার্সের ডাকে সম্বিৎ ফেরে।

স্যার, এনিথিং রং?

মুহূর্তে সব প্রতিজ্ঞার অবসান ঘটিয়ে, আজীবন বয়ে চলা কঠিন শপথ পেরিয়ে কর্তব্যটাই বড় হয়ে ওঠে। সবার উপরে আমার নিজের কাছে নিজের ভালোবাসার মূল্যটাই দিয়ে ফেলি আমি। আমার হাত দুটো পুনরায় সচল হয়ে ওঠে।

নতুন করে বুনে দিই আমার ভালোবাসার চন্দনার পাখির জন্য ছোট্ট সুখের সেই নীড়, যে নীড়ে কোনোদিন আমার বাস করা হবে না।


ও আমার ছোট্ট পাখি চন্দনা।



২০১টি মন্তব্য ২০১টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×