somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আন্তর্জাতিক নারী দিবস এবং বাংলাদেশের নারী

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


শুধু বিধাতার সৃষ্টি নহ তুমি নারী!
পুরুষ গড়েছে তোরে সৌন্দর্য সঞ্চারি
আপন অন্তর হতে। বসি কবিগণ
সোনার উপমাসূত্রে বুনিছে বসন।
সঁপিয়া তোমার ‘পরে নূতন মহিমা
অমর করেছে শিল্পী তোমার প্রতিমা।
কত বর্ণ, কত গন্ধ, ভূষণ কত-না –
সিন্ধু হতে মুক্তা আসে, খনি হতে সোনা,
বসন্তের বন হতে আসে পুষ্পভার,
চরণ রাঙাতে কীট দেয় প্রাণ তার।
লজ্জা দিয়ে, সজ্জা দিয়ে, দিয়ে আবরণ,
তোমারে দুর্লভ করি করেছে গোপন।
পড়েছে তমার ‘পরে প্রদীপ্ত বাসনা –
অর্ধেক মানবী তুমি, অর্ধেক কল্পনা

কবির কবিতায় ঠিক যেভাবে রয়েছে নারীর বর্ণন, সেভাবেই বুঝি নারী যুগে যুগে চির রহস্যের আঁধার, পুরুষের পূজোনীয়। প্রেমে, কল্পনায়, মোহে জড়িয়ে রয়েছে নারী। এই নারীকে সাজাতে, ক্ষুদ্র কীট পতঙ্গ হতে শুরু করে পাহাড়, পর্বত, আকাশ, বাতাস, তরুলতা সকলই যেন চির উন্মুখ। কবির ভাষায় বিধাতা শুধু নারীকে সৃষ্টিই করেছেন কিন্তু পুরুষেরা দিয়েছেন তাকে দেবী মর্যাদা। এ বিশ্ব ব্রহ্মান্ড তার সেবায়, তার পদতলে রয়েছে শায়িত। এ কবিতা পড়ে আমার কিশোরীকালে আমিও এমনটাই ভাবতাম। বড় হতে হতে আমার বেদবাক্যতুল্য কবিগুরুর এই কবিতার বাণীতে বাণীতে, চরণে চরণে কোথাও কোথাও যেন ছেদ পড়া শুরু হলো, স্বপ্ন ভঙ্গ হতে শুরু করলো।

আমি তখনও ছিলেম মগন গহন ঘুমের ঘোরে- প্রথম স্বপ্নভঙ্গঃ-
আমি তখনও বিভোর কবিতায়, গানে, মোহময় স্বপনে। একদিন অনেক রাতে তখন রাত প্রায় ১২টা হবে। আমাদের বাড়িতে ঠিকা কাজ করতেন একজন মহিলা। সে আসলো হাউ মাউ করে কাঁদতে কাঁদতে। তার মাথা দিয়ে রক্ত ঝরছিলো। সারা গায়ে চাকা চাকা দাগ। অবিরাম কেঁদে যাচ্ছিলেন তিনি। তার স্বামী তাকে মেরে এই হাল করেছে। সারাদিনের কর্মক্লান্তিতে নাকি সন্ধ্যার পর ঘুমিয়ে পড়েছিলেন উনি আর বেড়ে রাখা তরকারী ভাত বেড়াল খেয়ে গেছে। তাই সে অপরাধে রাতে বাড়ি ফিরে এইভাবে মেরেছেন কর্তামশাই তার স্ত্রীকে। রাতে আমাদের এখানেই থাকলেন উনি। আমি অবাক হয়ে ব্যাপারটা নিয়ে মাকে জিগাসা করেছিলাম, কিন্তু মা উত্তর দিলেন ওদের মাঝে মানে নীচু সমাজে এটাই নাকি স্বাভাবিক। সেদিন ভেবেছিলাম, কবিগুরুর এই কবিতা শুধু উঁচু তলার জন্য অথবা সত্যিই নারী বুঝি অর্ধেক কল্পনারই বিষয়।


কেউ কখনও খুঁজে কি পায় স্বপ্নলোকের চাবি!- ২য় স্বপ্নভঙ্গঃ-
আমার এক আত্মীয়া। অনেক খুঁজে পেতে, ভেবে চিন্তে সমাজের মাথা স্থানীয় এক সুপ্রতিষ্ঠিত সুপাত্রের সাথে বিয়ে দেয়া হয়েছিলো তাকে। এক সকালে সে অনেক কষ্টে ফোন দিয়ে জানালো, তার স্বামী তাকে একটা রুমে আটকে রেখেছে। তার আগে নাকি তার উপরে চালিয়েছে অমানুষিক নির্যাতন। আত্মীয় স্বজনেরা যখন তাকে নিয়ে আসলো তার অবস্থা ছিলো খুবই সঙ্গিন। তার অপরাধ ছিলো সে নাকি স্বামীর ফোনে হাত দিয়েছিলো। এবারে আমি মাকে আর কোনো প্রশ্ন না করে নিজেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজলাম। কাদের জন্য তাহলে এই নারী প্রেম, সৌন্দর্য্য বা গুণ কীর্তনের কবিতা, গান? একটাই উত্তর তখন ক্ষুদ্র মস্তিস্কে এসেছিলো, এসব কবিতা, গান, কথকথা হয়তোবা শুধুই পুরুষের চোখে সাজানো নারী পুতুলদের জন্য। বাস্তবে তা শতভাগ সত্য নয়। এখানে সমাজের উঁচুতলা, নীচুতলা বলে কোনোই কথা নেই আর তাই ইয়াসমিন বা শাজনীন বা অন্য যে কোনো নারীই যে কোনো সময় ভিক্টিম হয়ে যেতে পারে।

সৌন্দর্য্য, প্রেম ও পুত্তলিকা পূজা ছাড়াও কবিদের কবিতায় বার বার উঠে আসতে দেখেছি সাম্যের নারীঃ-
সাম্যের গান গাই-
আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই!
বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
কিংবা
হেলা করি মোরে রাখিবে পিছে
সে নহি নহি।
যদি পার্শ্বে রাখ মোরে
সংকটে সম্পদে,
সম্মতি দাও যদি কঠিন ব্রতে
সহায় হতে,
পাবে তবে তুমি চিনিতে মোরে।
শুধু নারীর প্রেম, সৌন্দর্য্য বা পূজা ছাড়া এ কবিতাগুলি সমাজের আরও কিছু লুক্কায়িত সত্যের কথা খুব বেশি প্রকাশিত করেই বলেছে। নারী পুরুষের সমতা, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার অধিকার বা ঘরের কোনে মুখ লুকিয়ে পড়ে থাকা সমাজের হত দরিদ্র কিশোরীটির দুঃখ। কিন্তু কেনো? সৃষ্টিকর্তা তো নারী পুরুষকে একই মনুষ্যজনম দিয়েছিলেন। শুধুই পার্থক্য শাররীক গড়নে আর তাতেই কি এত বিভেদ?

সে প্রশ্নের জবাবগুলো খুঁজে পেতেই হয়তো ১৯১০ সালের ৮ মার্চ "নারী দিবসের" সূচনা হয়েছিলো। আন্তর্জাতিক নারী দিবস। তার মানে নারী শুধু আমাদের দেশেই নয় পুরো বিশ্বেই অসাম্যতা, বৈষম্য বা নির্যাতনের শিকার। উন্নত দেশগুলোতে নারীর যাও বা স্বাধীনতা, মতের মূল্য কিছুটা হলেও আছে, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে নারী শুধুই পেছনে পড়ে থাকবারই জন্য।

১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক সুতা কারখানার নারী শ্রমিকেরা ফুসে উঠেছিলেন একদিন। মজুরি বৈষম্য, কাজের অমানবিক পরিবেশ এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে উঠেছিলেন তারা। নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমে আসেন মিছিল নিয়ে। সেই মিছিলে চলে সরকার বাহিনীর পীড়ন। তবুও থেমে থাকেননি তারা।


৮ মার্চ এ দিনটি আন্তর্জাতিক নারী দিবসঃ-
অবশেষে অনেক চরাই উৎরাই পেরিয়ে ১৯১০ সালের ৮ মার্চ এ দিনটি ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলো। কোপেনহেগেন শহরে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলনে সেদিন জার্মানির নারী নেত্রী ক্লারা জেটকিন এই দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস-ইতিহাস

কে এই ক্লারা জেটকিন ?
১৮৫৭ সালের ৫ জুলাই জার্মানির স্যাক্সোনি প্রদেশে জন্মেছিলেন ক্লারা জেটকিন। তখনকার দিনে জার্মান মেয়েদের লেখাপড়ার তেমন সুযোগ ছিলো না। প্রখর বুদ্ধিমত্তা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও চিন্তাভাবনার দিক থেকে গভীর বিশ্লেষণী এবং প্রচণ্ড সাহসী ক্লারা ১৮৭৪ সালের দিকে জার্মানির নারী আন্দোলন ও শ্রম আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। আর তারপর....
ক্লারা জেটকিনের জীবনের কথা


এই ক্লারা জেটকিনের কারণেই মূলত ১৯৭৫ এর ৮ মার্চকে নারী দিবস হিসাবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। এরপর থেকে সারা পৃথিবী জুড়েই পালিত হয় দিনটি নারীর সমঅধিকার আদায়ের দাবী নিয়ে। আমাদের দেশের সূর্য্যদয় হতে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত বা কখনও কখনও গভীর রাত্রী পর্যন্ত খেঁটে যাওয়া বউটি বা ইট ভাঙ্গা শ্রমিকটি হয়তো জানেননা কে এই ক্লারা জেটকিন। সে হোক না শহর কিংবা গাঁয়ের নারী। কোথায় কবে কোন দিবস নারীদের জন্য হলো বা কেই বা তার জন্য সংগ্রাম করে গেলো তাতে তাদের একটুও মাথা ব্যাথা নেই। সমাজের চাঁপিয়ে দেওয়া নিয়মেই তারা ভাবে বা মেনেই নেয়, নারী সে তো পিছিয়ে থাকার জন্যই। সম অধিকার তার প্রাপ্য নয়।
কিন্তু সে যুগ হয়েছে বাসী,
যে যুগে পুরুষ দাস ছিলোনা নারীরা আছিল দাসী।

নারীদের জন্য এই একটি দিবসের বিশেষ কোনো তাৎপর্য্য আছে কি?
প্রশ্ন যদি হয় এটা তো উত্তর অবশ্যই, হ্যাঁ আছে। একটি বিশেষ দিন মানেই শুধু সেই দিনটিই নয়। বিশেষ করে বিশেষ দিনটিতে সারাবছরের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবার দিন। স্মরণ করে রাখবার দিন।

১৯৯৬ হতে ২০১৫- নারী দিবসে জাতি সংঘের প্রতিপাদ্যগুলিঃ-
১৯৯৬ অতীত উদযাপন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা (Celebrating the Past, Planning for the Future)
১৯৯৭ নারী এবং শান্তি (Women and the Peace Table)
১৯৯৮ নারী এবং মানবাধিকার (Women and Human Rights)
১৯৯৯ নারী প্রতি সহিংসতামুক্ত পৃথিবী (World Free of Violence Against Women)
২০০০ শান্তি স্থাপনে একতাবদ্ধ নারী (Women Uniting for Peace)
২০০১ নারী ও শান্তি : সংঘাতের সময় নারীর অবস্থান (Women and Peace: Women Managing Conflicts)
২০০২ আফগানিস্তানের নারীদের বাস্তব অবস্থা ও ভবিষ্যৎ (Afghan Women Today: Realities and Opportunities)
২০০৩ লিঙ্গ সমতা ও সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (Gender Equality and the Millennium Development Goals)
২০০৪ নারী এবং এইহ আই ভি/ এইডস (Women and HIV/AIDS)
২০০৫ লিঙ্গ সমতার মাধ্যমে নিরাপদ ভবিষ্যত (Gender Equality Beyond 2005; Building a More Secure Future)
২০০৬ সিদ্ধান্ত গ্রহনে নারী (Women in Decision-making)
২০০৭ নারী ও নারী শিশুর ওপর সহিংসতার দায়মুক্তির সমাপ্তি (Ending Impunity for Violence Against Women and Girls)
২০০৮ নারী ও কিশোরীদের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ(Investing in Women and Girls)
২০০৯ নারী ও কিশোরীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে নারী-পুরুষের একতা (Women and Men United to End Violence Against Women and Girls)
২০১০ সমান অধিকার, সমান সুযোগ- সকলের অগ্রগতি (Equal Rights, Equal Opportunities: Progress for All)
২০১১ শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীর সমান অংশগ্রহণ (Equal Access to Education, Training, and Science and Technology: Pathway to Decent Work for Women)
২০১২ গ্রামীণ নারীদের ক্ষমতায়ন- ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের সমাপ্তি (Empower Rural Women, End Poverty and Hunger)
২০১৩ নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময় (A Promise is a Promise: Time for Action to End Violence Against Women)
২০১৪ নারীর সমান অধিকার সকলের অগ্রগতির নিশ্চয়তা (Equality for Women is Progress for All)
২০১৫ নারীর ক্ষমতায়ন ও মানবতার উন্নয়ন (Empowering Women, Empowering Humanity: Picture it!)
নারী দিবসে জাতি সংঘের প্রতিপাদ্য

আন্তর্জাতিক নারী দিবস ও কিছু ভাবনা ও কিছু প্রশ্ন-
সেই কবে থেকেই সারা বিশ্বে চলছে সোচ্চার লড়াই। নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর অধিকার, নারীর প্রতি সহিংসতা দূরীকরণ। তবুও আজও কি কন্যা শিশুর আগমন প্রতিটা বাড়িতেই খুব সমাদৃত?


অপ্রত্যাশিত কন্যা শিশুর জন্মঃ-
একটা সময় আরব দেশে কন্যা শিশুর জন্ম এতটাই অপ্রত্যাশিত ছিলো যে কন্যা শিশু জন্মের সাথে সাথে তাকে মাটি চাঁপা দেওয়া হত। ভারতের নানা অঞ্চলে আজও কাঁদে শত কলাবতীরা।ভারতে কন্যাভ্রূণ হত্যা আজও অব্যাহত
কলাবতী আজও কেঁদে চলে সারারাত
অনন্ত ঘুমে আছে তার সন্তান
রোগে শোকে নয় সমাজ মেরেছে তাকে
কন্যা হয়েছে এই তার অপরাধ
যদি কোনোদিন হারাও পর্যটনে
সন্ধানী চোখে অনুভব নিয়ে খোঁজো
দেখবে সেখানে নেই কোনো কন্যা
বিষন্নতার আলো গাঁয়ে মেখে
আজ আমি নিদ্রাহীন ।
অবাক চোখে তাকিয়ে আছি
সোনালী ভোরের দিকে
একদিন ঘরে ঘরে জ্বলে উঠবে আলো
অন্ধকার কেটে বেরিয়ে আসবে সোনালী ভোর
হয়তো সেদিন আমার কান্না বৃ্ষ্টি হয়ে ঝরে পড়বে
আমার কন্যার সমাধির পাশে
অন্ধকার তারাভরা রাতে
আমি আকাশ হতে দেখবো আমার গ্রাম আমার প্রিয় জন্মভূমি।
শত কলাবতী আজও কাঁদে সারারাত
শত কলাবতী আজও কাঁদে সারারাত
শত কলাবতী আজও কাঁদে সারারাত !!!
শত কলাবতী আজও কাঁদে সারারাত !!!
আর আমাদের দেশ। আমাদের দেশেও কি কন্যা সন্তানের আগমন খুব বেশি প্রত্যাশিত? আজও পরিবারের প্রথম সন্তানটি ছেলে হোক এমনই হয় অধিকাংশ মানুষের চাওয়া। এই সব মানষিকতা কি আইন করে বা কোন জোর জবরদস্তিতে বদলানো যাবে? যতদিন আমাদের মানষিকতা না বদলাবে? তবে অবশ্যই যুগ যুগ ধরে কন্যা শিশু জন্মের প্রতি এই বিরূপ মানষিকতার পিছে কিছু কারণ রয়েছে। বংশ রক্ষা, সমাজ প্রথা, সম্পত্তি বন্টনের বিভেদ বৈষম্য নানা বিষয়ই জড়িয়ে রয়েছে এই মানষিকতা বা বৈষম্যের পিছনে।
কন্যা সন্তান একটি অভিশাপ?



আজও কি নির্মুল হয়েছে বাল্য বিবাহ?
বাল্য বিবাহ ও অশিক্ষাঃ-
অনুসন্ধানে জানা যায়, আমাদের দেশে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরতলীর দরিদ্র পরিবারের অধিকাংশ মেয়েদেরকে ১৩ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে বিবাহ দেওয়া হয়। অশিক্ষিত হওয়ায় ও সচেনতার অভাবে বিবাহের ১৩ মাসের মধ্যেই ৮০ শতাংশ মেয়ে সন্তান ধারন করে। মায়ের কম বয়স হওয়ায় মৃত্যু ঝুকিও বাড়ে তুলনা মুলক ভাবে বেশি। ঝুকিপূর্ন মাতৃত্ব ও প্রসব কালীন নানা জটিলতার শিকার হয় কিশোরী মেয়েরা।বাল্য বিবাহ ও সামাজিক অন্যায় কাজেই একজন নারীর মানষিক, শাররীক বা সামাজিক ঝুঁকির জন্য বাল্যবিবাহ অবশ্য প্রতিরোধ্য। নারীদের জন্য কি চিরতরে বন্ধ করা যায় না বাল্যবিবাহ?



নারী শিক্ষার প্রসার ঘটেছে কিন্তু তার প্রসারতার পরিমান কতখানি?
নারী শিক্ষাঃ-
শিক্ষার জন্য নারীকে কম লড়তে হয়নি। হাইপেশিয়া হতে শুরু করে আমাদের বাংলার নারী আন্দোলনের অগ্রদূত, লেখিকা, শিক্ষাব্রতী, সমাজসেবী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকেও কম দূর্ভোগ পোহাতে হয়নি। যুগে যুগে বুদ্ধিমান জ্ঞানী নারীরা হয়েছে সমাজের চক্ষুশূল।তাই খনার মত বুদ্ধিমতী নারীটিকেও অকাতরে দিতে হয় প্রাণ। আজও আমাদের দেশেই বাড়ির একটি ছেলের জন্য যে পরিমান শিক্ষার সুব্যাবস্থা বা অর্থনৈতিক সাহায্য দেওয়া হয় একটি মেয়েকে শিক্ষার চাইতে ভালো পাত্রস্থ করবার দিকেই অভিভাবকদের থাকে বেশি নজর। অথচ একটি সমাজের উন্নতির জন্য নারী পুরুষ উভয়েরই শিক্ষার প্রয়োজন।



শিক্ষা বা উচ্চশিক্ষায় পরিবারের একটি ছেলের সমান মূল্য কি একজন নারী পায়?
নারী শিক্ষার অবমূল্যায়নঃ-
অধিকাংশ সময়ই পুরুষের মত নারীর শিক্ষাকে সঠিক মূল্যায়ন করা হয় না। তাই এখনও একজন উচ্চ শিক্ষিত পুরুষ চাকুরীর না করলে তা হয় অপরাধ অথচ সংসারের প্রয়োজনে অনেক উচ্চ শিক্ষিত নারীকেই থেকে যেতে হয় চার দেওয়ালের মাঝে।



পুরুষ শ্রমিক ও নারী শ্রমিকের পারিশ্রমিকে কেনো এই বিভেদ, বৈষম্য?
নারী শ্রমের অমর্যাদাঃ-
পুরুষ শ্রমিকের সমান, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে তার চেয়ে বেশি শ্রম দিয়েও নারী শ্রমিকেরা পুরুষ শ্রমিকের চেয়ে কম পারিশ্রমিক পাচ্ছেন ।
বেসরকারি সংস্থা অক্সফামের হিসাবে, গত এক দশকে শ্রমবাজারে নারী শ্রমিকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় অর্ধ কোটি। যার ৭৭ শতাংশই গ্রামীণ নারী শ্রমিক। আর এদের অধিকাংশই মজুরি বৈষম্যের শিকার।
জানা যায়, ইটভাটা, পোশাক শিল্প, কৃষিকাজ, গৃহশ্রম, নির্মাণ কাজ ও চাতালের কাজসহ অপ্রাতিষ্ঠানিক কোনো কাজেই নারীরা পুরুষের সমান মজুরি পান ন। ঢাকার বাইরে এ বিভেদ আরও প্রকট। পুরুষদের তুলনায় নারীরা ১০০ থেকে ৫০ টাকা কম মজুরি পান। বাংলাদেশে নারী শ্রমিকেরা মজুরি বৈষম্যের শিকার
পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যাবস্থায় নারীর শ্রম



ফতোয়াবাজী বা অপবাদে নারীদেরকেই কেন মূল লক্ষ হতে হয়?
ফতোয়াবাজী ও অপবাদঃ-
গ্রাম্য সালিশ, ফতোয়াবাজী , দোররা মারা এসবের মধ্যে দিয়ে চলে নারীর প্রতি অমানুষিক নির্যাতন। ফতোয়াবাজী লালসালুর জমিলাকে মনে পড়ে। মনে হয় এ সমাজে আসলে তাকে বড় বেশি প্রয়োজন।

পরিবার ও সমাজে কি শিশুকাল থেকেই নারীকে পিছিয়ে থাকতে শেখানো হয় না?
সামাজের চাপিয়ে দেওয়া বৈষম্যঃ-
শিশুকাল হতে শিখিয়ে দেওয়া তুমি নারী। তোমার চারিদিকে প্রতিবন্ধকতা। তোমাকে পুতুল নিয়ে খেলতে হবে। ফ্রক পরতে হবে। বন্দুক পিস্তল গাড়ি নয়, গাছে ওঠা নয়। একটু বড় হলে একা একা কোথাও যাওয়া নয়।তোমাকে হতে হবে নম্র ভদ্র, শান্ত, শিষ্ঠ। এই বৈষম্য অনেকটাই তাকে স্বাবলম্বী হতে বাঁধা গ্রস্থ করে। বাবা, স্বামী বা ভাই মোট কথা সংসারে একজন পুরুষের অবর্তমানে নারী হয়ে পড়তে পারেন অসহায়। কাজেই এই সব নারী বিষয়ক সীমাবদ্ধতা থেকে একজন কন্যাকে ছোটবেলা থেকেই মুক্ত রাখতে হবে।

লৈঙ্গিক বৈষম্যতার জন্য দায়ী কে?
বাংলাদেশের লৈঙ্গিক বৈষম্যঃ-
বাংলাদেশের লৈঙ্গিক বৈষম্য.....



কেনো এই নারী নির্যাতন?
নারী নির্যাতন ও বিশ্ব জরীপঃ-
জরিপে জানা গেছে, বিশ্বের তিন ভাগের এক ভাগ নারী তাদের জীবনে শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়।
কারণগুলো-
১) পরিবারের বা খুব কাছের সদস্য দ্বারা।
২) যৌতুক
৩) ভালোবাসার ডাকে সাড়া না দিলেও নারীকে হতে হচ্ছে লাঞ্ছিত।
৪) স্কুল ও কলেজগামী মেয়েরা ইভ টিজিং
৫) ধর্ষন
৬) অনেক ক্ষেত্রে আমাদের দেশে দেখা যায়, নারী নির্যাতনের মূল হোতা আরেকজন নারী। যেমন বলা যায়, একজন মেয়ের বিয়ের পর সর্বপ্রথম শাশুড়ি-ননদ বা কাছের মানুষের কাছেও অনেক সময় তারা নিগৃহীত হয়।
৭) এ ছাড়া গৃহকর্ত্রীর হাতে মেয়ে গৃহকর্মী নির্যাতনের কথাও সবার জানা।
আমাদেরকে-
১) সামাজিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।
২) নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার ও রাষ্ট্রকে এ ক্ষেত্রে অধিকতর আন্তরিক হতে হবে।
৩) সাধারণ নিরাপত্তা জোরদার করাটা জরুরি
৪) রাজনীতি থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দূর করতে হবে।
৫) সুষ্ঠু বিচারব্যবস্থা ও বিচারব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনয়ন করা প্রয়োজন।
৬) নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে আমাদের আরো দীর্ঘপথ অতিক্রম করতে হবে। এই সহিংসতা বন্ধে আমি থেকে শুরু করতে হবে। আমি, আমার পরিবার, তারপর সমাজ।
সর্বোপরি-
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে ব্যক্তি থেকে সমাজ, প্রাতিষ্ঠানিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার। এ ক্ষেত্রে নিজে নির্যাতন থেকে দূরে থাকলেই চলবে না, সেই সঙ্গে আমাদের আশপাশে ঘটে যাওয়া যেকোনো নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে হবে। সম্মিলিতভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।
নারীর প্রতি সহিংসতা




নারী ক্ষমতায়নের প্রতিবন্ধকতাগুলি কি কি ?

নারী ক্ষমতায়নঃ-
বর্তমান বিশ্বে সর্বাধিক আলোচিত বিষয়ের মধ্যে একটি হচ্ছে নারীর ক্ষমতায়ন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্ষমতায়ন শব্দটির ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় ১৮৬০-এর সমসাময়িক সময়ে। অত্যন্ত সংকীর্ণ অর্থে রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জন বোঝাতে। আশির দশকে তা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বেসরকারি উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে নারীর সামগ্রিক অধিকার অর্জনের দাবি বোঝাতে। ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ উইথ উইমেন ফর নিউ ইরা নারীর ক্ষমতায়নের সংজ্ঞা ব্যাখ্যা করেছে এভাবে- এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে জেন্টার বৈষম্যবিহীন এক পৃথিবী গড়ে তোলা। যেখানে পৃথিবীতে ক্ষমতায়নের মাধ্যমে নারী তার নিজের জীবনের পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।আজকের পত্রিকা » অন্যপক্ষ নারীর ক্ষমতায়ন ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট



উত্তরাধিকারী কি নারী নন? পরিবারের একজন পুরুষের চাইতে কিসে কম তিনি? তিনি কি মানুষ নন?
পিতার সম্পত্তিতে নারী অধিকারঃ-
পৈতৃক সম্পত্তিতে মুসলিম মেয়েদের সমান অধিকার না পাওয়ার পক্ষে একটি যুক্তি শোনা যায়, তাহলো মেয়েরা পিতার কাছ থেকেও পায় আবার স্বামীর কাছ থেকেও পায়, আবার বিয়ের সময় মোহরানার টাকা পায়। এভাবে কার্যত একজন নারীর সম্পত্তি একজন পুরুষেরই সমান হয়ে যায়। এখন মেয়েরা যদি পিতার সম্পত্তিতে সমান ভাগ পায় তাহলে তো একজন নারীর সম্পত্তি একজন পুরুষের থেকে অনেক বেশি হয়ে যাবে। কিন' স্বামী কি স্ত্রীর কাছ থেকে সম্পত্তি পায় না? পায়, একজন স্ত্রী তার স্বামীর সম্পত্তি থেকে যতটুকু পায়, একজন স্বামী তার স্ত্রীর সম্পত্তি থেকে তার দ্বিগুণ পায়। মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী স্বামী বা স্ত্রী মারা গেলে স্ত্রী স্বামীর সম্পত্তির ১/৮ ভাগ পায়, আর স্বামী পায় স্ত্রীর সম্পত্তির ১/৪ভাগ অর্থাৎ স্বামী পায় দ্বিগুণ। অথচ স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রী সম্পত্তি পায় এটা যত বেশি শোনা যায়, স্ত্রীর কাছ থেকে স্বামী সম্পত্তি পায় এটা আমরা খুব একটা শুনতে পাই না।
উত্তরাধিকার আইনে সম্পত্তিতে মেয়েদের সমান অধিকার না থাকার পেছনে একটি বড় ধরনের প্রচলিত যুক্তি হলো, মেয়েদের তো বাবা-মার দায়িত্ব নিতে হয় না, মেয়েদের ভরণপোষণের দায়িত্ব ছেলেদের ইত্যাদি। মেয়েদের শ্রমকে কেন্দ্র করে যে গার্মেন্টস শিল্প আমাদের গড়ে উঠেছে- সেই গার্মেন্টসের সিংহ ভাগ মেয়েই তাদের উপার্জিত অর্থ পরিবারের হাতে তুলে দেন। তাদের আয়ে কত পরিবার টিকে আছে সেই পরিসংখ্যান আমরা চাইলেই জানতে পারব। এমন মেয়েদের সংখ্যাও অনেক আছে যারা পরিবারের দায়িত্ব পালনের জন্য, ভাইবোনের পড়ালেখার জন্য অনেকদিন বিয়ে পর্যন- করেননি। এমন মেয়েও আছেন যারা পরিবারের দায়িত্ব নিতে গিয়ে নিজের সংসার ভেঙেছেন। শুধু মা-বাবা, ভাইবোন নয়, মেয়েরা উপার্জন করে নিজের সংসার এবং সন-ানের খরচ চালাচ্ছেন। কিন' পরিবারে একজন ছেলের এই ভূমিকাগুলো সমাজে প্রতিষ্ঠিত, অথচ একজন মেয়ের এই ভূমিকা সমাজে স্বীকৃত নয়। প্রসঙ্গ নারী উন্নয়ন নীতি



কে বানালো তাকে অচ্ছুৎ, অস্পৃশ্যা?
সমাজের অচ্ছুৎ নারীঃ-
কে তোমায় বলে বারাঙ্গনা মা, কে দেয় থুতু ও-গায়ে?
হয়ত তোমায় স-ন্য দিয়াছে সীতা-সম সতী মায়ে।
না-ই হ’লে সতী, তবু তো তোমরা মাতা-ভগিনীরই জাতি;
তোমাদের ছেলে আমাদেরই মতো, তারা আমাদের জ্ঞাতি;
আমাদেরই মতো খ্যাতি যশ মান তারাও লভিতে পারে,
তাহাদের সাধনা হানা দিতে পারে সদর স্বর্গ-দ্বারে।-
কে বানালো তাকে বারাঙ্গনা? কাদের প্রয়োজনে এ ঘৃন্য পথে পরিভ্রমন তার? এসব প্রশ্ন কি করি আমরা নিজেদেরকে? এ সমাজ দেয়নি তাকে নিশ্চিৎ মৌলিক অধিকার ভোগ করবার ভাগ্য। দুবেলা দু মুঠো পেট ভরে খাবার নিশ্চয়তা পায়নি সে। তাই সে আজ সমাজ পতিত। পতিতা ওদের নাম। সেও নারী। তারও ছিলো সুখী একটি সংসার পাবার কথা। সন্মানিত স্থান সন্তানের কাছে, পরিবারের কাছে। বাংলাদেশের যৌনকর্মীরা



মাথায় অনেক প্রশ্ন আসে তবুও-----
নারী দিবস ও আমাদের চাওয়াঃ-
১৯৯১ সাল থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় প্রধান এবং উল্লেখযোগ্য ক্ষমতাধর মন্ত্রী নারী । অথচ এই দেশেই নারী পূর্ণ নিরাপদ নয় । কোথাও কোথাও শোনা যায়, মা তার মেয়েকে পূর্ণ অধিকার দিতে নারাজ । সমাজের এই যদি অবস্থা হয় তবে ঘটা করে বছরে একদিন নারী দিবস পালন খুব বেশি ফলপ্রসূ হবে না । ‘ দস্তার চেয়েও সস্তা সে যে, বস্তার চেয়েও ভারী/মানুষ হয়েও সঙ্গের পুতুল, বঙ্গ দেশের নারী’। নারী পুরুষ সম অধিকার কথাটা বাদ রেখে মানুষের পূর্ণ অধিকার প্রাপ্তিই হোক আমাদের আজকের চাওয়া।
সমঅধিকার নয়, নারী অধিকার নিশ্চিত করা জরুরী

আজকের দিনে স্মরণ করি সকল বীরঙ্গনাদেরকেঃ-
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে যে নারীরা রণাঙ্গনের যুদ্ধ করতে গিয়ে কিংবা অন্যকোনভাবে সতীত্ব হারিয়েছিলেন তাদেরকে ১৯৭২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী বীরঙ্গনা উপাধি দেয়া হয়েছিল । বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেদিন বাঁধ নির্মানের কাজ উদ্ভোধনের জন্য পাবনায় গিয়েছিলেন । বাঁধ উদ্ভোধনের পর শুরু হয় জনসভা ।বীরঙ্গনাদের কেবল স্বীকৃতিই নয় রাষ্ট্রকে দায়িত্বও নিতে হবে
আমাদের মুক্তিযুদ্ধে শত শত শহীদ জননী, স্ত্রী, পুত্র কন্যাদের কথা আসলেও এই সকল বীরঙ্গনারার যারা নিজেদের সকল সত্বার বিনিময়ে এই মুক্তিযুদ্ধের অংশ হয়েছেন তাদের অবদানের কাছে সকল অবদানই বুঝি ম্লান হয়ে যায়। এই আন্তর্জাতিক নারী দিবসে কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করি সেই সকল বীরঙ্গনাদেরকে। নীলিমা ইব্রাহীম আর একাত্তরের বীরাঙ্গনা: বাঙালির নিভৃত নিরঞ্জনা

নারী বিষয়ক কিছু ভালো লাগার লেখঃ-
নারীদের নিয়ে কিছু প্রবাদ এবং বাঙলার নারীদের একাল-সেকাল
লিঙ্গ ও নারী
নারী অধিকার ও কয়েকটি আইন
নারী মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা)
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল সমূহ, ঢাকা
‘নারী বাঁচুক তার অধিকার নিয়ে, সম্মানের সাথে'
সামাজিক লিঙ্গ
নারী-পুরুষের বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার প্রত্যয়
নারীদের নিয়ে কিছু প্রবাদ এবং বাঙলার নারীদের একাল-সেকাল
টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে জেন্ডার অসংবেদনশীলতা ও ছাঁচিকরণ

নারী বিষয়ক গ্রন্থাবলীঃ-
দ্বিতীয় লিঙ্গ – সিমোন দ্য বোভোয়ার (অনুবাদক-হুমায়ুন আজাদ)
The Feminine Mystique.pdf
a vindication of the rights of women pdf
The Woman's Bible as PDF


পরিশিষ্ঠঃ-
** নারী বাচুক তার প্রাপ্য সন্মান নিয়ে।
** নারী বাঁচুক তার নিশ্চিৎ অধিকার নিয়ে।
** নারী বাঁচুক তার নারী জন্মের পূর্ণ সার্থকতা ও সফলতাটুকু নিয়ে।

আমাকে কোটিবার জন্মাতে বললেও আমি নারী হয়েই জন্মাতে চাই। আপনার স্নেহময়ী মা, প্রিয়তমা স্ত্রী বা কন্যা, অতি আদরের বোন, ভাবী, আত্মীয়া যাদের জন্য আজকের এই দিনটি বিশেষভাবে স্বীকৃত তাদেরকে নিয়ে সকলেই ভালো থাকুন। এই আগামী বয়ে আনুক সকলের জীবনে সুখ, শান্তি আর সমৃদ্ধতা!

~~~~~~~ আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০১৬ সফল হোক ~~~~~~~
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬
১৫৯টি মন্তব্য ১৭১টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

দুলে উঠে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

মন খুশিতে দুলে দুলে ‍উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তরে নিয়ে এ ভাবনা

লিখেছেন মৌন পাঠক, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না

সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন

তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×