বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ ভারত আর পাকিস্তানেও জনপ্রিয়। তেলেগুতে এটা পিউলাসা বা পুলাসা, সিন্ধিতে পালু মাচ্চি, গুজরাটে মুডেন বা পেলভা নামে পরিচিত।
ইলিশের জীবনের অধিকাংশ সময় কাটে সাগরে। কিন্তু ডিম পাড়ার আগে ১২ শ কিলোমিটার সাঁতরিয়ে এটা নদীর মিঠা পানিতে আসে। সাম্প্রতিক এক গবেষণা দেখা গেছে ইলিশের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড কোলেস্টরল ও ইন্সুলিনের লেভেল কমায়।
পান্তা-ইলিশ এখন শহুরে বাঙালি সংস্কৃতির একটি অংশ। আর হিন্দুদের পুজোয় চলে সর্ষে ইলিশ।
ইতিহাসে রয়েছে, বাদশা মুহাম্মদ বিন তুগলুক ইলিশ খেয়ে ডিহাইড্রেশনে ভুগে মারা যান। সিন্ধু নদে ভ্রমণকালে জেলেদের কাছে চকচকে ইলিশ দেখে তিনি তা খেতে চান। পারিষদ তাকে জানায়, এ 'আকাশগঙ্গা' মাছ সবার পেটে হজম হয় না। অনেকের বদহজম হয়। তুগলুক শেষ পর্যন্ত ইলশ খান এবং তিন দিনের টানা লঘুচাপ সইতে না পেরে ভবলীলা সাঙ্গ করেন। উল্লেখ্য, তখন দক্ষিণ ভারতের লোকজনের বিশ্বাস ছিল, আকাশপথেই মা গঙ্গার মাছ ইলিশ মাঝে মাঝে সিন্ধুনদে গিয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ইলিশের বাজারজাতকরণ ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে জেলেরা বছরের পর বছর ধরে ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পাশাপাশি সাধারণ ক্রেতাদের কয়েকগুণ বেশি দামে বাজার থেকে ইলিশ কিনতে হচ্ছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, জেলেরা মালিকদের কাছ থেকে জাল ও নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যায়। ফেরার পর ইলিশ বিক্রির টাকা থেকে বরফ, ইঞ্জিনের জ্বালানিসহ অন্যান্য খরচ প্রথমেই কেটে নেয় মালিকরা। এরপর কেটে নেয়া হয় নৌকা ও জাল মেরামত বাবদ খরচের টাকা। তারপর যা বাকি থাকে তা ভাগাভাগি হয় জেলে ও মালিকের মধ্যে। বাকি টাকা ১৬ ভাগ করে ৬ ভাগ পান মাছ ধরার সঙ্গে সরাসরি জড়িত জেলেরা এবং ১০ ভাগ পান নৌকা ও জালের মালিক। এরপর মালিকদের কাছ থেকে আড়তদার, আড়তদার থেকে পাইকারি বিক্রেতা, আবার পাইকারি বিক্রেতা থেকে আড়তদার এবং সবশেষে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ইলিশ পৌঁছায়।
গবেষণায় দেখা যায়, এভাবে তিনিটি পর্যায়ে রয়েছে আড়তদার, দুটি পর্যায়ে আছে পাইকারি বিক্রেতা, আর আছে জাল ও নৌকার মালিক এবং খুচরা বিক্রেতা। এই আট পর্যায়ে ইলিশের বাজারমূল্যের ৫৩ শতাংশই বাজারজাতকরণ খরচ হিসেবে মধ্যস্বস্ত্বভোগীদের পকেটে চলে যায়।
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।