অ্যাপল এর আই ফোনের ব্যাপক সাফল্যের পরে স্মার্ট ফোন এর বাজারে এখন পর্যন্ত অ্যাপল কে কিছুটা হলেও প্রতিদন্দ্বীতা করতে পেরেছে android অপারেটিং সিষ্টেম যুক্ত স্মার্ট ফোন। এখন samsung, sony, htc সহ বেশ কিছু নির্মাতা গুগল এর এই অপারেটিং সিষ্টেমta গ্রহণ করেছে। আমাজন ও তাদের ইবূক রিডার হিসেবে kindle fire রিলিজ করছে যা android চলিত।
অ্যাপল এর থেকে মারাত্মক কম মূল্যে এর স্মার্ট ফোন আর ট্যাবলেট গুলি কে অ্যাপল ঠিক ভাল চোখে দেখছে না। তারা ইতোমধ্যে htc আর স্যামসুং এর সাথে পেটেন্ট বত্সা তে জড়িয়ে পড়েছে। আমি সে দিকে জব না।
আমার এই পোস্টটা android অপারেটিং সিষ্টেম এর কিছু দুর্বলতা সম্পর্কে বলবে। android এর পক্ষে অনেকটা শক্ত ফ্যান base আছে। যারা android কে অন্য অপারেটিং সিষ্টেম এর উপরে তুলে ধরতে চেষ্টা করে অনেকটা অযাচিত ভাবেই। এইটা গুগল এর পি আর কৌশল হতে পারে। যাই হক । আমার android ডিভাইস টা একটা xperia x10 mini pro । সবচেয়ে শক্তিশালী কোনও android ডিভাইস নয়, শুধু কাজ চালানোর জন্য।
1। আমি যেদিন আমার ফোন নিয়ে সেটাতে wifi সেট আপ করতে যাব, অবাক হয়ে দেখলাম সেখানে প্রক্সি সার্ভার সেট করার কোনও অপ্শন নাই। ইন্টারনেট প্রক্সি সার্ভার বুয়েট এ এবং বাইরের বেশির ভাগ বিশ্ব বিদ্যালয়ের wifi সংযোগ এর মাধ্যম। আমার তখন android 1.6 ভার্সন ছিল। 2.2 তে আপডেট করার পরে প্রক্সি সেটিং করার একটা অপ্শন এসেছে। কিন্তু প্রক্সি দিয়ে ইন্টারনেট browse করা সম্ভব হয় নি। এবং আজ অবধি এটার সমাধান android করে নি। (দেখুন বাগ ট্রাকের: http://code.google.com/p/android/issues/detail?id=1273 )
2। সবচেয়ে বাজে সমস্যা হচ্ছে আমাদের মতন east indese এর লোক জনের, যাদের ভাষার লিপি সংস্কৃত থেকে উত্পত্তি। আমাদের ক এ-কার কে লিখবার সময় উনি কোডে এ আগে ক আর পরে এ কার লিখতে হয় । এটাকে স্ক্রীন এ দেখবার সময় কম্পিউটার সয়ংক্রিয় ভাবে অর্ডার ঠিক করে দেয়। এছাড়া যুক্তাক্ষর গুলিও আলাদা বর্ণ আকারে থাকে। এটা দেখানোর কে প্রযুক্তি সেটার নাম কমপ্লেক্স স্ক্রিপ্ট rendering । যারা উইনডোজ এক্স পি ব্যবহার করতেন / করেন, পিসি নতুন করে উইনডোজ সে আপ দিলে দেখেছেন যা বাংলা লেখা এরকম আসে :

এক্স পি এর ক্ষেত্রে মান যায়, সেটা সেই ২০০৩ এর অপারেটিং সিষ্টেম। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে যে android এ কোনও কমপ্লেক্স স্ক্রিপ্ট এর সাপোর্ট নাই। এটা যে শুধু আমাদের মাথা ব্যাথা তাই না, তামিল , তেলেগু, হিন্দী, তিব্বতী সব ভাষার অক্ষর উল্টা পাল্টা আসবে এই অংদ্রইড এর browser এ। না পারবেন কোনও ব্লগ দেখতে, না অন্য কিছু করতে। অ্যাপল এর আই ওএস এর এই সমস্যা ছিল। কিন্তু আই ওএস এর ৪ সংস্করণ এর পর থেকে সেটা পুরো পুরী ভাবে কমপ্লেক্স স্ক্রিপ্ট rendering সাপোর্ট করে। আই ওএস এর নিজস্ব বাংলা ফন্ট আছে, কিন্তু android এ বাংলা ফন্ট পেতে হলে আপনার ডিভাইস কে হ্যাক করতে হবে ("root" ইউজার হিসেবে লগ ইন করা)। এবং এরপরেও বাংলা ঠিকমত দেখা যাবে না। স্যামসুং আর সনি ইন্ডিয়া তে android এর কিছু পরিবর্তণ করে সরবরাহ করে বলে জানা গেছে, যেগুলো indian ভাষা সাপোর্ট করে। কিন্তু ইউরোপ আমেরিকা থেকে ইমপোর্টেড ডিভাইস এ বাংলা সাপোর্ট নাই। দেখুন: http://code.google.com/p/android/issues/detail?id=5925 এমন কী android এর পরের ভার্সন এও সাপোর্ট থাকবে বলে এখনো গুগল কিছু বলে নাই।
৩। সনি এরিকসন বলে দিয়েছে যে android 2.1 এর পরে তারা তাদের ডিভাইস কে আর নতুন android এর ভার্সন দিবে না। কিছু হ্যাকার গ্রুপ android এর লেটৈস্ট ভার্সন compile করে cyanogen mod নামে রিলিজ করে। android 1.6 থেকে 2.1 এক ই ফোনে অনেক দ্রুত চলে। 2.3 এর গতি আরও দ্রুত। তবে সবগুলির এক ই সমস্যা। ফোন মাঝে মাঝে হ্যাং করে। মাঝে মাঝে রিস্টার্ট করে। ষ্ট্যাবিলিটি android সিষ্টেম এর একটা বড় সমস্যা।
android এর যে ভার্সন গুলি, সে কাপ কেইক (1) ডোনাট (1.6) eclair (2.1) froyo (2.2) gingerbread (2.3) honeycomb (3) প্রত্যেক টা desert বা ফাস্ট ফুড এর নামে করা হয়েছে। আমি নাম গুলি সার্থক মনে করি। আপনি ডেজার্ট মূল খাবারএর পরে অল্প করে খাবেন, মজা পাবার জন্য। সেটা কখনো মূল খাবার হতে পারে না। android ও বর্তমানে যে স্তরে আছে, সেটা শুধু খেলনা অপারেটিং সিষ্টেম। apple বোরিং একটা ফল হলেও তার নানা ভিটামিন ও পুষ্টি গুণ আছে। অ্যাপল এর আই ফোন বা আই প্যাড অনেক কম ভিডিও ফর্ম্যাট সাপোর্ট করে, কিন্তু যা সাপোর্ট করে তা একদম ঠিক ভাবে করে। আশা করি গুগল android এর দুর্বলতা গুলির দিকে আরও মনোযোগী হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




