"কোনো জাতীয় বা আঞ্চলিক মহাসড়ক বেহাল দশায় নেই" -যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।"বর্তমানে দেশের কোথাও
কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম হচ্ছে না। চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। বাজার-পরিস্থিতিও অনেক ভালো।" -স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন।
"ঈদে বাড়ি গেলে ঘরে তালা লাগিয়ে যাবেন।" - স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন।
এই সব কথা শুনে কি হাসা উচিৎ নাকি ক্ষোভ প্রকাশ করা উচিৎ নাকি নির্বাক থাকা উচিৎ কিছুই বুঝতে পারছি না। জনগণকে কতবড় মূর্খ্য মনে করলে এসব কথা বলতে পারে। যেকোন সমস্যা সমাধানের আগে সমস্যার কথা স্বীকার করতে হবে তারপর না সমাধান। আপনার যদি মাথা ব্যাথা হয় তাইলেই না আপনি ডাক্তারের কাছে যাবেন। আপনি যদি স্বীকারই না করেন আপনার মাথা ব্যাথা আছে তাহলে কি ডাক্তারের কাছে যাবেন ? আর ডাক্তারের কাছে না গেলে আর ডাক্তারই বা আপনাকে ঔষধ দিবে কিভাবে ? আমাদের রাজনৈতিক নেতারা কোন সমস্যার কথাই স্বীকার করেন না। - তাহলে তারা তার সমাধান কিভাবে করেবন ? আমরা জানি আমাদের সরকারের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু তারা যদি সমস্যার কথা স্বীকার করে তাদের স্বল্প সামর্থ দিয়ে যতটুকু পারুক সমাধান করত বাকিটা হয়ত জনগণ ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখত। কিন্তু তারাতো কোন সমস্যার কথাই স্বীকার করেনা।
তাদের কথামত বাংলাদেশ একটি স্বর্গরাজ্য। এখানে খুন খারাপি নাই! চাদাবাজী নাই! সন্ত্রাস নাই! রাস্তাঘাট ঠিকঠাক আছে ! কার কোন অভাব নাই ! দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ! সবার ঘরে ঘরে চাকুরী আছে ! শেয়ার বাজার ঠিকঠাক আছে ! পদ্মা সেতুতে কো দূর্নীতি হয় নাই ! আবুলের মত দেশপ্রেমিক আছে ! মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সরাসরী কথা বলার জন্য মোবাইল নাম্বার আছে ! আমাদের তো কোন সমস্যা দেখতেছি না। এমন একটি স্বর্গরাজ্য পৃথিবীতে আর কোথাও নেই। আমরা জাতী হিসাবে আসলেই অকৃজ্ঞ। সবার উচিত এই সফল সরকারকে আগামী ৫ বছরের জন্য পূণঃ নির্বাচিত করা। এবং এর জন্য কোন নির্বাচনেরও প্রয়োজন নাই! কারন যুদ্ধ অপরাধের বিচার করার জন্য তাদেরকে জনগণ নির্বাচিত করেছে। সুতরাং যতদিন যুদ্ধ অপরাধের বিচার না হবে ততদিন তারা নির্দ্বিধায় ক্ষমতায় থাকতে পারে। আর বিচার করতে করতে ২০-৫০ বছর যাই লাগুক এই সফল সরকার ক্ষমতায় থাক। আর আমরা আম-জনতা স্বর্গরাজ্যে সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে থাকিব ! ! !

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




