
আজকের পর্ব 'স্টার ট্রেক ইনটু ড্রাকনেস' মুভিটা নিয়ে । এটা স্টার ট্রেকেরই একটা সিক্যুয়াল কাহিনী । হিন্দী সিরিয়ালের মত না যে ঘটনার বর্ণনা রবারের মত ইলাস্টিক । বরং এর ঘটনাগুলো খুবই ক্ষনস্থায়ী এবং প্রতিটাতেই কিছু না কিছু নতুন চমক থাকে । ভাবছেন কি চমক ! আপেলের আইডিয়া কিন্তু এই স্টার ট্রেক থেকেই ধার করেছেন স্বয়ং স্টিভ জবস । তিনিও স্টার ট্রেকের ভক্ত ছিলেন । এটা আমার হাইপোথিসিস । পাঠকের এটা নিয়ে দ্বন্দ থাকলেও থাকতে পারে । যাই হোক, মুভিটাতে ফিরে আসি । যা বলছিলাম, এটা পপকর্ণ খাওয়া জাতীয় মুভি না, বরং পোলাও, কোর্মা নিয়ে বইসে দেখার মত মুভি । মুভিটা আসলে ফিকশন লাভারদের জন্যে । যারা সিরিয়াস টাইপ মুভি দেখেন, তারা এটাকে খেলনাও বলতে পারেন ।
প্রসঙ্গে ফিরে আসি । স্টার ট্রেক মানে তাঁরার পথে দুঃসাহসিক যাত্রা, অনেকটা পদব্রজে । বলার কারণ হয়ত একটাই । আমরা মুভিতে মহাশুণ্য আবিষ্কার করলেও, এখন বাস্তবে মঙ্গলগ্রহেই পা ফেলতে পারি নাই । এই কল্পনার কাহিনীটার যাত্রা শুরু হয় ক্যাপ্টেন জেমস টি খিরকে ঘিরে । শেষের নামটা আসলে উচ্চারণ করতে হবে 'কিরক্', অনেকটা দাঁতে দাত চেপে গলার ভেতর থেকে শব্দটা বললে যেমন শোনাবে ঠিক সেরকম করে । এই চরিত্রটা কিন্তু কোনো সুপার চরিত্র না । একটা বস্তিতে থাকা আর চারটা সাধারণ মানুষের মত এক বালক থেকেই এর উত্থান । এখানে বলে রাখা ভাল, মুভি আর সিক্যুয়ালের মাঝে একটু অদল বদল করা হয়েছে । ১৯৬৬-২০১৩ এর মাঝে স্টার ট্রেকও তো অনেক টাইমলাইন পাড়ি দিয়েছে । অদল বদলের কারণটা পরে বলছি । নীল চোখের সেই ছেলেটা আর দশটা লোকের মত মদ খেয়ে বারে মারামারি করে নাকটা ফাটিয়ে ফেলে । তারপর তার নাক দিয়ে রক্ত ঝরে, সে আর কেউ নয় - আমাদের খির ভাই । বিশ্বাস করা যায়, সে আসলে এত বিশাল একটা স্টারশীপের ক্যাপ্টেন । খির এর চরিত্রে আমার উইলিয়াম সাটনার থেকে ক্রিস পাইনকেই বেশি ভাল লাগে । আগেরটাকে দেখলে কেন জানি বেশি লুইস মনে হয় । যদিও পরবর্তীতে উইলিয়ায় সাটনারের 'নাইন ওয়ান ওয়ান' এর উপস্থাপনা দেখে আমি ফ্যান হয়ে গেছি । ক্রিসকে এটটু এটটু ইনোসেন্ট মনে হয় । নীল চোখে শুধুই স্বপ্ন
শুরুতেই দেখা যাবে একদল বোরখা পড়া লোক লাল রংয়ের বনের মধ্যে দিয়ে দৌড়াচ্ছে । বোরখা কিন্তু সবসময় কালো রঙের হবে তার কোনো মানে নাই । হলদেও হইতে পারে । বনের রংটা লাল না দিয়ে অন্য কোনো কালার দিলে একটু রিয়েলিস্টিক মনে হইত । এই লাল রংচংয়া লতাপাতা আমাকে টমক্রুজের ওয়ার ওফ দ্য ওয়ার্ল্ডস এর কথা মনে করিয়ে দিল । ঔটা একটা কনফিউজিং মুভি । কিছু বুঝার আগেই যুদ্ধ শেষ । যাই হোক, প্রসংগে ফিরে আসি ।ওটা একটা রেসকিউ মিশন । কিন্তু শর্ত হল, আইন ভাঙা যাবে না । মানে প্রাইম ডিরেক্টিভ ল মানতে হবে । আমি এই ল এর কথা শুনেই আসছি শুধু । চুন থেকে পান খসলেই প্রাইম ডিরেক্টিভ ল ভায়োলেট হয়ে যায় । কিন্তু ল'টা যে কি, দিনের পর দিন আর রাতের ঘুম হারাম করেও বুঝতে পারলাম না । কিন্তু খির ভাই এইসব আইনের থোরাই তোয়াক্কা করে ! খিরের আসলে ইউএসএর নাগরিক না হয়ে বাংলাদেশের নাগরিক হওয়া দরকার ছিল । আফটার অল আমাদের বীরের রক্ত
মুভির শেষ পর্বে খিরকে মরতে দেখা যায় । যেভাবে কৈমাছের মত কাতড়াতে কাতড়াতে মরতেছিল, আমি ভাবতেছিলাম বেটা মরে না কেন, ফিল্ম আর কত্ত লম্বা করবে, আমার বাসটা মিসই হয়ে গেল বুঝি । আর ডিটেলসে গেলাম না । সব বলে দিলে তো মজাই নষ্ট । নিজেই আবিষ্কার করুন নিজের মত করে । মুভিটা মিস কইরেন না !
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




