ফোরাত নদীর উপত্যাকায় ঘুমিয়ে থাকে কিছু
স্মৃতি, মানুষের মাথার খুলি।
আমি যতবার হাত দিয়ে কবিতা লিখি
অক্ষর গুলো মুছে মুছে যায়।
বুকের মাঝে হেঁটে বেড়ায় কিছু মানুষের পা
আমি আমার হাতকে চিনি না!
বার বার লিখে যাই সেমেটিক জাতির গল্প।
কিছুকাল আগে গড়ে তোলা ইটের ঘরদোর,
বউয়ের নাকের নোলক
উৎসর্গ করি দেবতা ‘মারদুকের’ নামে।
আমি ঈশ্বরকে সচক্ষে দেখিনি কখনো
দিব্যি প্রভু ‘তিয়ামতকে’ চিনে নিই
যিনি চার পায়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন—
শক্ত ভিত্তির উপর।
এই শীতেও—
কিছু মানুষের হানাহানি দেখে আমি ভয় পাই
প্রভু ‘তিয়ামত’ আমাকে বুকে টেনে নেন!
উন্মুক্ত করেন মাছের খোলসের মত চামড়া।
সেইসব রাতকানাদের পেছনে ফেলে
আমি বরং প্রভুর ডানায় ভর করে উড়ে যাই।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১৮