আজ আমাদের এতই দূর্ভাগ্য যে আমরা এমন একটা দেশে বাস করি, দেশের প্রায় প্রতিটি জায়গায় আজ দূর্ণীতি এমনভাবে চলছে যে এটাই এখন স্বাভাবিক। তারই একটা অংশ সিলেটে কেন্দ্রিয় কারাগার। যেখানে প্রকাশ্যে চলছে ঘুষ দূর্নীতি। ঘুষ ছাড়া কোন কাজই করা যায় না। কারাগারের গেইটে তেমন একটা যাওয়া হয়না। আমার কয়েকজন ফেন্ড ও আমার ইউনিয়নের তিনজন মেম্বার একটা রাজনৈতিক মামলা কারাগারে আছেন। তাই আমি গতকাল ও আজ সিলেট কেন্দ্রিয় কারাগারে যাই তাদেরকে দেখার জন্য। গেইটের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে প্রতিটি কর্মকর্তাই টাকার জন্য হা করে বসে আছে। টাকা ছাড়া ভেতরে প্রবেশ করা কঠিন। গেইটের বাহিরে কিছু রিসিট করা হয়। হটাৎ তারা সেই রিসিট বন্ধ করে দেন। তার পর শুরু হয় টাকার খেলা। যারা টাকা দেবে তারা ভেতরে যেতে পারবে। টাকা ছাড়া তাদের সাথে কথাও বলা যাবে না। ভেতরে যাওয়ার পর ওখানে পুলিশকে টাকা না দিলে একজন কয়েদিকে পাচ মিনিট পরই বিদায় করে দেওয়া হয়। কিন্তু ওখানে যদি পুলিশকে একশত টাকা দেন তবে আপনি এক ঘন্টাও কথা বললে কোন সমস্যা হবে না। প্রত্যেকটা পুলিশ প্রকাশ্যে টাকা গ্রহন করে। তাদের এসব অপকর্ম দেখার যেন কেউ নেই। বাহিরে তথ্য কেন্দ্রে দুইজন পুলিশ বসা থাকে কেউ গেলে তারা নিজে থেকেই বলবে। আসামী দেখতে যদি চান এক হাজার টাকা দেবে নিরবে দেখতে পারবে। এছাড়াও প্রায় প্রতিটি কাজে পুলিশ প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহন করে। সেখানে যেন এটাই নিয়ম।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





