![]()
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার জন্য নিজের সংগঠন থেকে যিনি বহিষ্কৃত হয়েছেন, সেই যুবলীগ নেতা আবুয়াল হোসেন অরুণের নামে বরিশাল নগরীতে একটি সড়ক রয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, আবুয়াল নিজেই এ সড়কে তার নাম বসিয়েছেন। আবুয়াল বলছেন, সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের অনুমতি নিয়েই সড়কের নাম দেওয়া হয়েছে। তবে ওই সড়কের নামকরণের বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দিচ্ছে না নগর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা।
নগরীর উত্তর সাগরদী এলাকার ওই সড়ক সিটি কর্পোরেশনে ১৮ নম্বর সড়ক হিসেবে নথিভুক্ত হলেও এখন তাতে ফলক ঝুলছে, 'আবুয়াল হোসেন সড়ক'। স্থানীয়রা অবশ্য মদিনা মসজিদ দ্বিতীয় গলি নামেই এ সড়ককে চেনে।
৩শ' ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৮ ফুট প্রস্থের ওই সড়ক দিয়ে ১০টি বাড়ির প্রায় ১০০ বাসিন্দা চলাচল করছেন। আবুয়ালের বাড়ি ওই সড়কেই।
সড়কের পাশের একটি বাড়ির বাসিন্দা হুমায়ন সরদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, স্থানীয় প্রবীণ শিক্ষক হাফেজ শামসুল আলম বিশ্বাস ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ সড়ক তৈরি করেন। ২০০৮ সালে তা সিটি কর্পোরেশনের তালিকাভুক্ত হয়। এরপরই তা নিজের নামে করেন আবুয়াল।
গত ২ অগাস্ট নথুল্লাবাস বাস টার্মিনালে ভাংচুর এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় আবুয়ালসহ ১১ জনকে গত ৪ নভেম্বর বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় যুবলীগ।
আবুয়াল বরিশাল জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরণের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত তিনি।
হুমায়ন সরদার জানান, এ সড়কের নাম শামসুল আলম বিশ্বাসের নামে করতে ২০০৯ সালের ২৮ জানুয়ারি স্থানীয়দের পক্ষ থেকে নগর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়। তবে কর্তৃপক্ষ কোনো সাড়া দেয়নি।
শামসুল আলম বর্তমানে পক্ষাঘাতগ্রস্ত। তার ভাতিজি হালিমা খাতুন মায়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমার চাচার নামে না হোক, অন্য কারো নামে সড়কের নাম হলেও আপত্তি নেই। কিন্তু আবুয়াল হোসেন অরুণের মতো সন্ত্রাসীর নামে সড়কের নাম হতে পারে না।"
সড়কের নামের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিখিল রঞ্জন দাস শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেছি কি না, আমি জানি না। কোনো রাস্তার নামকরণ মাসিক সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে করা হয়। কীভাবে এই নামকরণ হয়েছে, তা এ মুহূর্তে বলতে পারবো না।"
এ বিষয়ে আবুয়াল বলেন, "সড়কটি সংস্কারের অনুমোদনের জন্য নগর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হলে মেয়রের অনুমতিতেই নামকরণ হয়।"
"তবে এলাকাবাসী আপত্তি করলে এ নাম প্রত্যাহার করা হবে", বলেন তিনি।
আবুয়াল গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাকেরগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে ছয় প্রার্থীর মধ্যে চতুর্থ হন তিনি।
View this link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





