somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

একজন নীলমেঘ
মানুষ পাহাড় ডিঙায়, পর্বত ডিঙায়, আমি সময়কে ডিঙাতে পারি না। আমি এক জায়গায় জড় হয়ে বসে থাকা মানুষ, ঘূর্ণনশীল পৃথিবী ঘুরবে, আর আমি তার গতিতেই এগিয়ে যাবো। মানুষের ভালো ব্যবহারগুলো সব মরিচীকা, কোথাও সুখ নেই, চারিদিকে অহেতুক সৌন্দর্য।

আত্মমগ্ন প্যাচাল-১

২১ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অনেকদিন পর আসলাম সামুতে। অনেকদিনটাও কম নয় নেহায়েত, ৪ বছর ২৯ দিন পর!!! নানান কাজের ব্যস্ততায় আর আসা হয় না এদিকটায়, আর চারিপাশের ভার্চুয়ালের জয়জয়কারে আসল মানুষের বড্ড অভাব এখন। ইদানীংকালে মানুষজন খুব ভালো বুঝে গিয়েছে, কেউ সামনাসামনি আর সত্যি কথা বলে না, তাই খুব গোপনে পরিচিত মানুষদের বলে অপরিচিত থেকে সত্যটা জিজ্ঞেস করতে!!! আর মানুষও সুযোগ পেয়ে অ্যানোনিমাসলি যত কথা আছে বলে দেয়।

আমি তো আরিফ আর হোসাইন ভাইয়ের মতো এতো ভালো লেখক নই, যে যখন যেমন ইচ্ছা লিখবো। মাঝেমাঝে যদিও ইচ্ছে জাগে কিছু লিখি নাহয়, হয়তো মনের আবেগে ৫-৭ লাইন লিখেও ফেলিঃ

" আমি কিন্তু লাইফে একদমই রিস্ক নেই না,
মাঝে সাঝে হাতের ঝাল মেটাই পকেটমার
আর রাস্তাঘাটের ঘনধোলাইয়ে হাত লাগিয়ে,
আমি কিন্তু কোন রিস্কই নেই না,
কেবল চুপচাপ ঝিমুনির ভানে রাস্তায়
বাসের সিটে পাশের মহিলার গায়ে হাত ছোঁয়াই"


তারপর লেখাগুলো ব্যাকস্পেসে চাপ পরে মুছে যায়, কিন্তু লেখাগুলো আর আলোর মুখ দেখে না। চারপাশের গরম হাওয়াতে কখনো সখনো ভাবি গলার স্বর গাড় করে কিছু সত্যি কথা বলবো। কিন্তু কি ভেবে যেনো সেসবও বলা হয় না। বিশ্ব রাজনীতি আর দেশের রাজনীতি যে একনয়, তা অনেকেই ভাবে না। আর গরিব মানুষগুলো এর ওর মুখের কথা শুনে সেসবই সত্যি ভাবে, বাবু মতো লোকটা তো নিশ্চই না জেনে কিছু বলবে না।
সেদিন গ্রামে যাওয়ার পরে ভ্যানওয়ালা মামা বলতেসে, মামা জিনিসপত্ররের এত্তো দাম! কিভাবে যে কি চালামু বুঝি না। ওদিকে আমেরিকা ব্যাটা যুদ্ধ লাগাইয়া সব জিনিসপত্রের দাম বাড়াইয়া দিসে, আমাগো সরকার আর কি করবো কন! তার জ্ঞানের কথা শুনে হাল্কা শীতের বিকালের আকাশের দিক তাকাইয়া বাতাস উপভোগ করতে লাগলাম। তার জ্ঞানটুকুতে সে যে শান্ত্বনা পাচ্ছে, তা নিয়েই সে খুশি থাকুক না, আমার কি দরকার তার খুশির মাঝে বাগড়া হওয়ার?

এখনকার ডিজিটাল যুগের পোলাপান মায়ের পেট থেকে বের হয়েই ডিজাটাল হয়ে যায়, কথায় কথায় এই কথাটাই বলে তাদের বাবা-মায়েরা। কিন্তু তারা কখনো এটা বলে না যে, ছোট থেকেই বাচ্চাকে ভুলাইতে তারা মোবাইলে ভিডিও, কার্টুনসহ দুনিয়ার সকল জিনিস দেখায়। আর প্রেগনেনসি টাইমে মা নিজেও মোবাইলেই মুখ গুঁজে থাকে। তেতো হলেও কথা কিন্তু সত্য। কিছুদিন আগে কোন এক কোম্পানি এরকমই একটা এড বানিয়েছিলো, বাবা-মা তার সন্তানকে কোর্টে হাজির করে সারাদিন মোবাইল নিয়ে থাকায়, তখন সন্তান বলে তোমরাই তো খাওয়ানোর জন্য আমার হাতে মোবাইল তুলে দিসো, আমাকে ভুলিয়ে রাখতে মোবাইল আর টিভি ব্যবহার করসো, আর এখন এসব নিয়েই কমপ্লেইন করতেসো!!! আসলেই আমরা কমপ্লেইন করা জাতি, কিন্তু কখনো চিন্তা করি না, কমপ্লেইন করে সময় নষ্ট না করে বরং তার সমাধান খুঁজলে হয়তো সমস্যাটা নিয়ে আর বসে থাকা লাগতো না।

মোবাইলের কথা বলতে বলতেই মাথায় আসলো, আমরা যে পরিমাণে ডিজিটাল ডিভাইস ইউজ করি বিভিন্ন এন্টারটেইনমেন্টের জন্য, আমাদের ব্রেণে এতে ডোপামিন নিস্বঃরণের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে অন্য কোন কিছুতে মনোযোগ আসে না, যতক্ষণ ওইসব এন্টারটেইনমেন্টে থাকি ততোক্ষণেই ভালো থাকা হয়, এর বাহিরে লাইফ হয়ে যায় একঘেয়েমি, আর তখনি তরুণ প্রজন্মের সবচেয়ে আলোচিত শব্দ বলে বলে সোশ্যাল মিডিয়া ভরে ফেলে মানুষ, আর তা হচ্ছে "ডিপ্রেশন"। তবে তারা কখনো ডিপ্রেশন বা বিষন্নতা আর স্যাডনেস বা ভীষণ রকম মন খারাপ একই জিনিস নয়। কেউ যদি ডিপ্রেশনে থাকে, তবে তার পক্ষে দৈনন্দিন কাজকর্ম করাটা কখনোই সম্ভব হয় না। আসলে ডিপ্রেশন বলা তরুণদের বেশিরভাগই মূলত এই ডোপামিনের স্বীকার। তবে সবাই যে সেইম তা না।

চলতে চলতে চারপাশ থেকে প্রতিনিয়তই নানান রঙের মানুষ দেখি, খুব দ্রুতই চারপাশ বদলে যাচ্ছে। আমরা বলি সময় বদলায়, আসলে কথাটা ভুল, হবে মানুষ বদলায়। মুনীর চৌধুরী তার রক্তাক্ত প্রান্তর নাটিকায় ঠিকই বলেছেন
"মানুষ মরে গেলে পঁচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে অকারণে বদলায়"
আর সাথে আমি যুক্ত করি সময়ে সময়ে বদলায়।

সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২২
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৯

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???



আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে আছি,
আমাদেরও যার যার অবস্হান থেকে করণীয় ছিল অনেক ।
বলা হয়ে থাকে গাছ না কেটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×