somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

একজন নীলমেঘ
মানুষ পাহাড় ডিঙায়, পর্বত ডিঙায়, আমি সময়কে ডিঙাতে পারি না। আমি এক জায়গায় জড় হয়ে বসে থাকা মানুষ, ঘূর্ণনশীল পৃথিবী ঘুরবে, আর আমি তার গতিতেই এগিয়ে যাবো। মানুষের ভালো ব্যবহারগুলো সব মরিচীকা, কোথাও সুখ নেই, চারিদিকে অহেতুক সৌন্দর্য।

মা- নারী এবং ঘর সামলানো

০৭ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাসায় ঢুকার পরেই ঘরের দিকে তাকিয়ে দেখি ঘরটা কেমন ছন্নছাড়া ছন্নছাড়া লাগতেসে। বুঝে গিয়েছি বাসায় আম্মু নেই। মা বাসায় থাকলে ঘরের যে আবহাওয়া, বাসায় না থাকলে তার আবহাওয়া একদম ১৮০ ডিগ্রি উলটো। এটাই হচ্ছে মায়ের ম্যাজিক। তার উপস্থিতিই সব কিছু বদলে দেয়ার জন্য যথেষ্ট, আল্লাহ্‌ তার মাঝে এই এক অসাধারণ গুণ দিয়ে দিয়েছে, যা একজন বাবার পক্ষে পরিপূর্ণ করা সম্ভব না। তার মানে কি বাবার মধ্যে কিছু দেয়নি? অবশ্যই দিয়েছে। বাবা হচ্ছে এক আশ্রয় স্থল, তিনি থাকা মানে নিশ্চিন্ত থাকা, কোন না কোন কিছু হয়েই যাবে, ভরসা পাওয়া।
আপনার কাছে নারীর সংজ্ঞা কি?



আমি কোন গ্রামীণফোন ফ্যান নই, কিংবা গ্রামীণফোনের সেই কন্টেন্ট বানানোর সাথে যুক্ত কেউও নই, সেটা আগেই বলে নিলাম। কারণ তাদের এবারের নারী দিবসের পোস্টারটা নিয়ে কিছু কথা বলবো ভাবছি। এই পোস্ট নিয়ে এতো এতো মতামত দেখলাম যে দুটো কথা না বললেই নয়। এই পোস্টের লাইম লাইটে আসা হচ্ছে মিথিলার শেয়ারের মাধ্যমে! সে একজন মিডিয়া পার্সন, তার কোন কিছু শেয়ার করা মানেই সেটার কিছুটা ইমপ্যাক্ট সোশ্যাল মিডিয়াতে পড়বেই, এটাই তাদের পাওয়ার। তাই হতে পারে এটা গ্রামীণফোনের কোন এক মার্কেটিং স্ট্যান্ট, যাতে মানুষের কাছে একটু বেশিই ছড়ানো যায়। এটা জাস্ট আমার একটা ধারণা বৈকি। এবার আসি মূল কথায়।

সেই পোস্টের পর বহু পুরুষ এবং মহিলাকে বলতে দেখেছি, কেন তাকে দুই জায়গাই সামলাতে হবে, কেন সে ঘর না সামলালে কি হবে! অনেক পুরুষ বলতেসে সে ঘর সামলাতে পারে, সেও সব পারে! যেই মেয়ে এই কথাটি বলে, আমার খুব জানতে ইচ্ছে হয়, তার মা কি ঘর সামলিয়ে, ঘরের কাজ না করেই তাকে বড় করেছে? সে কি এই বিষয়টার ইমপ্যাক্ট কখনো অনুভব করেনি? একজন মা, একজন নারীই পারে তার ঘরকে শান্তির জায়গা করতে। যদি সে এই কাজ না করে, তবে কোন বাবা/পুরুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তারা সাহায্য করতে পারে, হেল্পিং হ্যান্ড হতে পারে, তবে পরিপূরক নয়। এখানে আমি কোন ধর্মীয় চিন্তা নিয়ে আসবো না, সাধারণ চিন্তাধারা থেকেই পুরো বিষয়টা বলার চেষ্টা করবো।
আমাদের দেশে বহু মা আছে যারা বাহিরে কাজ করে এরপর ঘরে এসেও ঘরের সকল কাজ করে। শুধু যে এখনকার অনেক নারী তা কিন্তু নয়, পূর্বে এবং অতীতেও এমন বহু নারীই আছে, তারা যদি সেভাবে ম্যানেজ করে আসতে পারে, এখন এটাকে সম্মানের চোখে দেখলে তা কেন দৃষ্টি কটু হবে আমার জানা নেই। আর তারা ঘর এবং বাহির দুই জায়গাতেই কাজ করে এসে খুব খারাপ কোন উদাহরণ তৈরি করে ফেলেছে কিনা আমার জানা নেই, নাহলে বর্তমানে এধরণের কথা কেন আসবে! আর পুরুষরা ভালো রান্না করতে পারে অনেকে, অনেক কাপড় ও ধুঁতে জানে, তাই বলে সে ঘরের সব কিছু মায়ের মতো করে করবে এটা চিন্তা করা ভুল। আমি যদি আমার বাসার কথা বলি, আমার বাবা এসব কিছুই পারে, কিন্তু তার যে টেম্পারমেন্ট, এতো কিছু করার পর তা আর নরমাল লেভেলে থাকে না। কিন্তু এই একই কাজ আমার মা বছরের পর বছর করে যাচ্ছে, তবে তার কিন্তু এই কাজ নিয়ে কোন টেম্পারমেন্ট হাই হয়ে যাওয়ার ব্যাপার নেই!!!
এর মূল কারণ এই যে, নারীর মাঝে যেই সহনশীলতা, মায়া-মমতা রয়েছে, তা পুরুষের মাঝে নেই। এটা যেমনি লাগুক শুনতে, এটাই সত্য।
আপনাদের কি মনে হয় তা মুক্ত মনে জানিয়ে যেতে পারেন। কোন ঝগড়াঝাঁটি নয়, কথা হোক সমঝোতায়।
ওহ হ্যাঁ, আপনার কাছে নারী মানে কি? আমার কাছে কেন যেনো নারী মানে যিনি ঘরে শান্তি বিলিয়ে বেড়ায় তাকেই মনে হয়।

সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:০৯
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঘরে আগুন, মন্দীরে হামলা, মাজার ভাঙ্গা, পিটিয়ে মানুষ মারা এমন মেধাবী এদেশে দরকার নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৩২



২০০১ সালে দেলাম ঘরে আগুন দেওয়া ও মন্দীরে হামলার জঘণ্য কাজ। ২০০৪ আবার দেখলাম ঘরে আগুন, মন্দীরে হামলা, মাজার ভাঙ্গা, পিটিয়ে মানুষ মারার জঘণ্যতম ঘটনা।জাতি এদেরকে মেধাবী মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিক্ষাঙ্গনে অপ্রীতিকর ঘটনার মুল দায় কুৎসিত দলীয় লেজুরভিত্তিক রাজনীতির

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৫

সোস্যাল মিডিয়ার এই যুগে সবাই কবি, লেখক, বুদ্ধিজীবি সাজতে চায়। কিন্ত কেউ কোন দ্বায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে রাজী নয়। ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটা মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে । এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোমলমতিদের নিয়ে আমি কি বলেছিলাম?

লিখেছেন সোনাগাজী, ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৪



আমি বলেছিলাম যে, এরা ভয়ংকর, এরা জাতিকে ধ্বংস করে দেবে।

ড: ইউনুসের সরকারকে, বিশেষ করে ড: ইউনুসকে এখন খুবই দরকার; উনাকে টিকিয়ে রাখতে হলে, কোমলমতিদের থামাতে হবে; কিভাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পিটিয়ে মানুষ মারার জাস্টিফিকেশন!

লিখেছেন সন্ধ্যা প্রদীপ, ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩

এদেশে অনেক কিছুই সম্ভব।বর্তমান এলোমেলো সয়য়ে যা সম্ভব না বলে মনে করতাম তাও সম্ভব হতে দেখেছি।তবে মানুষকে কয়েক ঘন্টা ধরে পিটিয়ে মারাকে ইনিয়েবিনিয়ে জাস্টিফাই করা যায় এটা ভাবিনি।তাও মেরেছে কারা?
একদল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আহা তোফাজ্জল

লিখেছেন সামিয়া, ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৪




মৃত্যু এখন এমনি সহজ
ভিডিও করতে করতে;
কথা বলতে বলতে
ভাত খেতে দিতে দিতে;
কনফিউজড করতে করতে
মেরে ফেলা যায়।

যার এই দুনিয়ায় কেউ অবশিষ্ট নাই
এমন একজনরে!
যে মানসিক ভারসাম্যহীন
এমন একজনরে!
যে ভবঘুরে দিক শূণ্য
এমন একজনরে!
যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×