ঘটনা হচ্ছে কি, গত এক মাস ধরে আমি একটা জ্বীনের বাচ্চার পাল্লায় পড়ছি। এক দুপুরে ঘুম থেকে উঠে দেখি সে আমার বিছানায় বসে কেউমেউ করে। প্রশ্ন করলে, কোনো জবাব দেয় না। একি বিপদ! বড় হলে তাকে বিয়ে দিয়ে দায়িত্ব সারব চিন্তায় আছে। কিন্তু সে ছেলে না মেয়ে বুঝেতেছি না। তবে এতটুকু বুঝি, চরিত্রগতভাবে মানুষের মতোই নরবান্দর। যেমনই হোক, তাকে বড় করা আমার দায়িত্ব। আমি সেটা মন দিয়ে করছিও। কেমন বান্দর একটা উদাহরণ দিলে বুঝবেন। সে আমারে ডাকে ন্যাংটু বলে। কতো বড় ফাজিল চিন্তা করেন। আর হঠাৎ হঠাৎ অদ্ভূত সব আবদার করে বসে। যেমন, গতকাল মধ্যরাতে আমারে ডাইকা তুইলা কইল-হাতির দাঁতের চচ্চরি খাওয়ার খুব সখ। একটু রাইন্দা দিবিরে ন্যাংটু। আমি চোখ ড্যাবড্যবা করে তার দিকে তাকালে সে হাসে। বলে, কতদিন পরোটা দিয়ে হাতির দাঁত খাইনা। দে না...
সেই জ্বীনের বাচ্চা নিয়ে কতো কাহিনী! সবচেয়ে বড় কাহিনীটা ঘটল যখন নোবেল কমিটি জ্বীনের বাচ্চা সুচারুরূপে লালন পালনের জন্য আমার নামে বিশেষ নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করল।’ সারাদেশে রীতিমতো হইচই পড়ে গেল।
আমার নোবেল পাওয়ার গল্প আপনাদের আরেকদিন শোনাব। এখন যাই, একটা গলা খেয়ে গলা পিসলা করি। একটু পর আমার বাসায় থাকা মশাদের সাথে মিলে একটা মশাঙ্গীত গাওয়ার চেষ্টা করব। ইদানিং গানের চর্চা শুরু করেছি। আর আমাকে যিনি গান শেখান মানে আমার গুরু তিনি কোনো মানুষ নন, একজন বিশিষ্ট মশা… সেই মশার কাহিনীও পরে শুনতে পারবেন...
(কি ব্যাপার ভয় পেয়ে গেছেন! ভয় পাওয়ার কিছু নাই। উপরের অংশটুকু আমার ‘পাগলের গল্প সিরিজের’ একটা গল্প থেকে নেয়া। সিরিজটি প্রকাশিত হইলে টাকা দিয়ে কিনে বাকি অংশটুকু পইড়েন। আপাতত অপেক্ষায় থাকেন।)
নোট: পরিবেশটা গুমট ভারী হয়ে আছে। দমবন্ধ অবস্থা। ভাবতে ভাবতে লিখলাম, লিখে ভাবলাম এখানেও শেয়ার করি। আপাতত সব ভুলে নিজের মতো করে, নিজের জগতে ভালো থাকার ক্ষণ চলছে। তার কিছুটা আপনাদের পাতে...
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৪৪