তবে একটা কথা আপনারা বলতে ভুলে গেছেন, ভুল আসলে ঐ বিল্ডিংটার। আগুন লাগার সময়ে সে সাহস করে দৌড় দিলে কিন্তু আর আগুনটা এভাবে ছড়াত না। এতগুলো মানুষও মরত না।
শুনলাম, রেস্টুরেন্ট এর ম্যানেজারকে নাকি গেফতার করা হয়েছে? এ কেমন কথা। এই বেচারারে লাগলে অশুভ দূর করার আশায় কুরবানি দেন। সেটার অন্য যুক্তি। কিন্তু গ্রেফতার কেন! এই মানুষটারে পেদাইয়া কোন পুনটা উদ্ধার করবেন আপনারা!
রাজউক, সিটি কর্পোরেশন, সরকার বা ভবনের মালিক সবায় অত্যন্ত সৎ, পরিশ্রমী এবং মেধাবী। তারচেয়েও বড় কথা হচ্ছে তারা কোনো ভুল করতে পারে না। এখানে সবই ঠিক ছিল, নিয়ম মেনে হয়েছিল। ভবনের বোকামিতে এই ঘটনাটা ঘটলো। বোবা ভবনের আগুনের ভয়াবহতা জানার কথা না, এই হলো মুশকিল। বুঝলেতো তার উইড়া গিয়া বুড়িগঙ্গায় ডুব দেয়ার কথা! আহারে বোকা।
রাজউক বা কর্পোরেশন চেতনাসম্পন্ন মানুষ চালায়। কোনো গরু বা হাঁসের উপরে এর পরিচালনা ভার থাকলে না হয় একটা কথা ছিল। রাজউক ও তার প্রভুদের ভুল হবে এ অসম্ভব।
আপনারা কি ভাবছেন উপরের সংলাপ আমার! আরে না। আজ সকালে একটা হাঁস আরেকটা হাঁসকে গল্পোাচ্ছলে এসব বলছিল। আমি কান খাড়া করে শুনে লিখে ফেললাম। আপনারা আবার কিছু মনে করেন নাইতো?
নোট: উপরের অংশটি সরোজ মেহেদীর ’হংসমিথুন’ গল্প থেকে নেয়া হয়েছে। গল্পটি কখনো বই আকারে প্রকাশিত হবে বলে লেখকের আশা।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪