বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিস্তার বাড়ছে। মানুষের হাতের মুঠোয় এখন প্রযুক্তি সঙ্গে ইন্টারনেট। আর সে সুবাদে তারা যুক্ত হয়ে পড়ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যগুলোর সঙ্গে। ফেসবুক, টুইটারের সরব উপস্থিতি আছে বটে। তবে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা বর্তমানে তুঙ্গে।
এই ফেসবুকের জনপ্রিয়তার কারণ হলো, মানুষ কথা বলতে চায়। প্রকাশ করতে চায় নিজেকে। নিজের মতামত যেমনই হোক না কেন সে সেটা অন্যের সঙ্গে ভাগ করতে চায়। শুধু তাই নয়, যদি অন্যের মতামত তার পছন্দ না হয় সেক্ষেত্রে নিজের যুক্তিও তুলে ধরতে আগ্রহী অধিকাংশ সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহারকারীরা।
তবে মানুষ আসলে কতটুকু কথা বলতে পারেন? অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি কতটুকু নিজেকে মেলে ধরতে পারেন? এই বিতর্ক রয়েছে আমাদের মাঝে। বাকস্বাধীনতার সঠিক প্রয়োগ কি বাংলাদেশে সম্ভব হচ্ছে? ইন্টানেট ব্যবহার করে যে জাতির আলোচনার মাধ্যমে পাবলিক স্ফেয়ার তৈরি হওয়ার কথা। সেটা কি আদৌ বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে? নাকি ক্রমাগত নিজের মত প্রকাশে তাকে বাধার সম্মুখীন হতে হয়? এমন বহু প্রশ্নের উত্তর বের করে আনার জন্য বর্তমানে একটি ব্যক্তিগত গবেষণার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এই গবেষণার শুরুর দিকে বাংলাদেশে লিখিত বাকস্বাধীনতার ওপর তেমন উল্লেখযোগ্য বইয়ের তালিকা পাওয়া যায়নি। যা দিয়ে একটা অনুমান নির্ভর আলোচনাও করা যেতে পারে। আর এই জন্য বাকস্বাধীনতা নিয়ে একটি বই বাংলাদেশে অবশ্যই দাবি রাখে। আশা রাখা যায় এই গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল নিয়ে বাংলাদেশের বাকস্বাধীনতার পরিস্থিতি নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বই রচনা করা যেতে পারে।
আর এই জন্যই ব্লগারদের কাছে অনুরোধ রইলো এই গবেষণায় অংশ নেওয়ার জন্য। উল্লেখিত লিংকটিতে ক্লিক করে সার্ভের প্রশ্নের উত্তর দেয়ার অনুরোধ রইলো সকলের প্রতি। বাংলা ব্লগ তখন থেকেই জনপ্রিয় যখন ফেসবুকও বাংলাদেশে তেমন গুরুত্বপূর্ণ আসনে আসতে পারেনি। এই গবেষণার দ্বিতীয় পর্যায়ে ব্লগের মতামত প্রকাশের বিষয়গুলোও সামনে আনার চেষ্টা করা হবে।
নিচের লিংকে ক্লিক করে জরিপে অংশ নিন। একটি তথ্যনির্ভর গবেষণার সুযোগ করে দেয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
Social Media: Situation of Freedom of Speech in Bangladesh
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৪